icon

পার্বত্য চট্টগ্রামের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মুখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংকট সমাধানের পথ

Jumjournal

Last updated Jun 2nd, 2020 icon 1422

কি এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী?

১৯৩৮ সালে আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী রবার্ট পার্ক প্রথম ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠী’র ধারণা আলোচনা করেন। সমাজের মূলধারা, গতি এবং সুযোগসুবিধা থেকে অনেক দূরে যারা জীবনযাপন করেন তারাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। যে জনসমষ্টি অপেক্ষাকৃতভাবে বেশী সুবিধাবঞ্চিত, উৎপাদনে যথেষ্ট  অক্ষম, অভাবের কারণে উন্নয়নের জন্য কর্মমূখী হওয়ার মানসীক ও শারিরীক অবস্থায় নেই, পুষ্টিহীনতা, ভগ্নস্বাস্থ্য ও অশিক্ষা যাদের নিত্যসঙ্গী এবং সনাতনী চাষাবাদে জীবনযাপনে যারা বিশ্বাসী তারাই সাধারণভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংজ্ঞায় পড়েন।

এ প্রসঙ্গে একটা খুবই যৌক্তিক এবং প্রয়োজনীয় প্রশ্ন হল আমাদের দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আদৌ আছে কিনা?

কোনো একটি বিশেষ নির্ধারিত মানদন্ড দিয়ে কোনো জনগোষ্ঠীকে প্রান্তিক বা প্রান্তিক নয় বলে চিহ্নিত করে ফেলা ভুল হতে পারে। ‘প্রান্তিক’ শব্দের ধারণাটিকে বুঝতে হবে। শুধু শ্রেণি বা লিঙ্গভেদে বুঝলে যেমন হবে না, একইভাবে কোনো বিভাজনও টানা যাবেনা।

মোট কথা যারা এখনো দারিদ্র্য ও অভাব সাথী করে হাসি, কান্না এবং আনন্দ বেদনা নিয়ে আমাদের সমাজে আমাদের সাথে আমাদের তুলনায় পিছিয়ে থেকে জীবন নির্বাহ করছেন তাঁরাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

আমরা জানি, বর্তমানের করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী খাদ্যাভাবের মুখোমুখি হয়েছে, যা সামনে আরো ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। 

যেহেতু পাহাড়িরা বেশিরভাগই জুম নির্ভরশীল অথবা বাগান নির্ভরশীল, বাজার বন্ধ হওয়ার কারনে জুম চাষিরা আরো বেশি ক্ষতির সম্মুখে  পড়ছে।


যারা সারা বছরের টাকা উপার্জন মৌসুমী (সিজনাল) ফলনের উপর নির্ভরশীল বর্তমান পরিস্হিতির কারনে তারা তো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেই, সাথে যাদের চাষাবাদের জমি নেই দিনে এনে দিনে খায় তাদের অবস্থা আরো শোষনীয় হচ্ছে।

কারন এই করোনার প্রকোপ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল জন্য যে কী পরিমান ভয়ংকর হতে পারে তা অভাবনীয়।


বর্তমান লকডাওনের কারনে যেই খাদ্য অভাব সৃষ্টি হয়েছে,  তা রোধ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন,  ব্যাক্তি উদ্যোগে ত্রান দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছেন।  

আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি রক্তদাতা সংগঠন উন্মেষ, জুবদা, পাহাড়ি উদ্যেক্তা হাট, কাচালং ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ, সবুজ খাম, টিএসএফ, বনফুলের জন্য জুম্ম তারুণ্যর ভালবাসা,  বিএমএসসি  নামক সেচ্ছাসেবী উদ্যেগ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে যারা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ত্রান দিয়ে  যাচ্ছেন পাহাড়ের মানুষ দের জন্য।


কিন্তু ভাবনা হচ্ছে,  আসলেই কী এই ত্রান দেয়া এই খাদ্য অভাব দূর করার জন্য স্হায়ী সমাধান? নাকি অন্য কিছু ভাবতে হবে আমাদের।


আমার মতে এই ত্রান দেওয়া স্থায়ী নয়, ত্রান দেওয়া স্বল্প সময়ের জন্য হতে পারে। কেনো স্থায়ী সমাধান নয়,  তা নিচে দেয়া হলো-

১) প্রয়োজনের তুলনায় এখনও ত্রানের পরিমাণ অল্প। অনেক দিনের সক্ষমতা মেটানোর মত ত্রান প্রতি পরিবারকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

২)ত্রান এর উদ্যোগ সমন্বিত না হওয়ায় প্রয়োজনের সাথে বিতরণের সামঞ্জস্য করা যায় না। এখানে  নিম্ন আয়ের মধ্যেও পরিবারভেদে আর্থিক অবস্থা ( একেকজনের সঞ্চয় একেকরকম) এবং প্রয়োজন ( কারো পরিবার বড় হলে, শিশু, অসুস্থ মানুষ বেশি থাকলে বেশি প্রয়োজন) অনুসারে বন্টনের জন্য যে পরিমাণ লোকবল দরকার সেটাও বিচ্ছিন্ন উদ্যোগে সম্ভব না৷ এতে যার সবচেয়ে প্রয়োজন তার বঞ্চিত হবার সম্ভাবনা থাকে।

৩)বেশি দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব এমন পরিমাণে অপচনশীল খাদ্য দ্রব্য দেয়াই প্রায় অসম্ভব কাজ৷ নিজেরা উৎপাদন না করতে পারলে শেষ পর্যন্ত বাজার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হবে৷ 

বর্তমানের লকডাউন পরিস্থিতির কারণে যোগান কম থাকায় দাম বেশি হবে, ঘাটতি হবে৷ এ  কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ জরুরি পণ্য কিনতে পারবেনা, বঞ্চিত হবে। ত্রাণ দ্রব্য যেহেতু একবার ব্যবহারেই শেষ হয়, এটা পরে প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা যায়না৷

বরং প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদনে অংশ নিতে পারলে নির্দিষ্ট এলাকার মানুষেরা সামাজিকভাবে দারিদ্রের মোকাবেলা করতে পারবে। এটা তাদের নিজস্ব ক্ষমতায়ন ও বাড়াবে, অনিশ্চয়তাও কমাবে৷

আমাদের তাই এই ত্রান দেয়া এর  বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে, কারন আসন্ন যেই খাদ্যাভাব তা সামনের দুই-তিন মাসের নয়,  পরিস্হিতির উপর নির্ভর করে তা বছর ঘুরতে পারে।  আর যদি তা হয় তাহলে সামনে আরো বিশাল বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

এই আসন্ন বিপদ মোকাবেলা করার জন্য আমি কিছু পয়েন্ট ভেবেছি, আশা করি আপনারাও  আপনাদের ভাবনা যোগ করবেন।


বর্তমান করোনা পরিস্হিতি মোকাবেলা করার জন্য আমরা যেই যেই পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারি-

১) প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে কার্বারি -হেডম্যান  এবং বর্তমানে যারা করোনা পরিস্হিতির কারনে গার্মেন্টস কর্মীরা বেকার হয়ে আছেন,  বিভিন্ন ভার্সিটির, কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রি দের নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে।

এই কমিটি গঠনের ফলে যারা বেকার হয়েছেন তারা যদি দায়িত্ব পান বা কাজের সুযোগ পান তাহলে তাদের সৃজনশীল মেধা শক্তি কে কাজে লাগাতে পারবেন এবং হতাশায় পড়বেন না, ছাত্র- ছাত্রীদের নতুন প্লাটফর্ম গঠন হবে তাদের একাডেমিক শিক্ষা তারা মাঠপর্যায়ে প্রয়োগ করতে পারবে।

কার্বারী – হেডম্যান রা যেহেতু চার্কেল চিফ ও সরকার কর্তৃক মনোনীত  হন সেহেতু তারা তাদের  নিজ নিজ গ্রাম ও মৌজার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকেন এবং তারাই এই কাজটি এগিয়ে নিতে পারেন।

২) প্রত্যেক গ্রামের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে কোন পরিবারে কি প্রয়োজন বা কতটুকু প্রয়োজন তা কমিটির মেম্বার এবং ভলান্টিয়ার রা তদারকি করবে।

কারন যার যার এলাকার লোকজন ই নিজের এলাকার ব্যাপারে ভালো মতো অবগত।

৩) বিভিন্ন সংগঠন থেকে দেয়া ত্রান গুলো সব গ্রাম  কমিটির কাছে জমা থাকবে, এবং তা গ্রামের মানুষদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুসারে ভাগ করে দেয়া হবে।

এতে করে বর্তমানে কোন পরিবার দেখে যাচ্ছে বারবার ত্রান পাচ্ছে অথবা কোন পরিবার একবার ও পাচ্ছে না সেই সমস্যা লাঘব হবে। অপরদিকে প্রত্যেক গ্রামে  খাদ্য নিরাপত্তা ও বজায় থাকবে।

৪) যেহেতু আমাদের সবার আগে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে,  তাই বৃহদায়তন ভলান্টিয়ার কমিটি গঠন করতে হবে,  চাষ করার জন্য।

এতে করে চাষাবাদ এ সমবায় পর্যায়ে আমরা নিতে পারবো।  কারোর যদি জুম চাষ এ ভলান্টিয়ার এর প্রয়োজন হয় তখন এলাকার ভলান্টিয়ার রা সাহায্য করতে পারবে,  এবং জমি তে গ্রামের সবার জন্য জুম এবং অন্যান্য চাষাবাদ চাষ হতে সাহায্য করতে পারবে।

৫) শহর কেন্দ্রিক যারা আছেন,  তারা বিভিন্ন টিম আকারে দায়িত্ব নিতে পারেন,গ্রাম কমিটির সাথে যোগাযোগ করার জন্য।যাতে প্রয়োজন অনুসারে গ্রাম কমিটির কাছে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র  পৌঁছে দিতে পারে।

এতে করে কখন কি দরকার তা গ্রাম কমিটি সহজে পেয়ে যাবেন, তাদের নির্দিষ্ট টিম কমিটির কাছ থেকে,  এবং পুরো জিনিসটাতে শৃংকলা বজায় থাকবে।

৬) বিভিন্ন কৃষিবিদদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যাতে করে জানা যায় এই সময়ে কি চাষ করলে বেশি উপযোগি হবে, এবং দ্রুত ফলন দিবে।

কারন কখন কো সার, কীটনাশক দিতে হবে তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, যাতে উৎপাদিত ফলন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

৭) যেহেতু লকডাউন, এর কারনে যে যার জায়গা থেকে নিজ এলাকার জন্য কী ভালো হবে তা গ্রাম কমিটি গঠন করে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার উদ্যোগ গ্রহন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৮) জুমচাষের পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে পশুপালন করতে হবে অন্তত- হাঁস,মুরগি যা প্রোটিনের যোগান দিবে ।

কারন আগে পাহাড়িরা বিভিন্ন গবাদি পশু পালন করলেও, বর্তমানে তারা গবাদি পশু পালনে বিমুখ এবং এর ফলে পাহাড়ি পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত  এবং বাজার নির্ভরশীলতা বাড়ছে।

৯) বাড়ির আশেপাশে খালি জায়গায় বিভিন্ন সবজি বীজ রোপন করতে হবে যা ভবিষ্যতে সবজির যোগান দিবে ।

১০) যে সকল সবজি (যেমন-বাশঁ কোরল ,শিমুল ফুল , মূলা ,শিম ) ইত্যাদি শুকিয়ে সংরক্ষন করতে হবে ।

যাতে করে বিভিন্ন তরকারির মৌসুম  চলে গেলেও রিজার্ব ফুড হিসেবে তা খেয়ে জীবন ধারন  করতে  পারে।

১১) বর্তমানে যেহেতু বাজার বন্ধ এতে করে পাহাড়ের যারা মৌসুমি উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল তারা যাতে ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার ব্যাবস্হা গ্রহন করতে হবে।

করোনার লকডাউনের কারণে ঢাকাস্থ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন অথবা চ্যারিটি অর্গানাইজেশন যেমন – বিদ্যানন্দ,  পাশে আছি innitiative,  বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সহ অনেক সংগঠনই কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে তাদের উৎপাদিত ফসলাদি কিনছে।  আমরাও তাই আমাদের পাহাড়ি কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য সেই সব সংগঠনের সুদৃষ্টি কামনা করতে পারি।

১২) যেসব এলাকা দুর্গম সেসব জায়গায় সাহায্য পাঠানোর জন্য দরকার হলে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে তা করতে হবে।

১৩) প্রত্যেকটা  জিনিসের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

এতে করে কোন জায়গায় দুর্নীতি করার সুযোগ থাকবে না। প্রত্যেক টিম সমন্বয় কারি কে নিজের ডকুমেন্টস দেখাতে বাধ্য থাকবে।

এক্ষেত্রে আমি বলবো-এ সব কাজে কারোর না কারোর নেতৃত্বের পাদপ্রদীপে আসতে হবে। মানবিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের কর্মীরা ইচ্ছে করলেই এ কাজটি এগিয়ে নিতে পারেন।

কে কি কাজ করলো অার কে কি করলো না সেটি বড় কথা নয়।  বড় কথা হচ্ছে গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মানুষের আসন্ন এই খাদ্য অভাবকে  জয় করে দেবার টেকসই কর্মোদ্যম সৃষ্টি করা।

এই করোনাভাইরাস ও লকডাউন পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভাবতে হবে এবং তাঁদের তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আমাদের ভূলে গেলে চলবে না যে, এ চলমান খাদ্য সংকট দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্রতর হতে পারে।

যদি তাই হয় তাহলে এ খাদ্য সংকট কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে আগাম প্রস্তুতির জন্য এ উৎপাদন মৌসুম তথা সর্বাগ্রে জুমচাষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।  জুমে উৎপাদন করা না গেলে তাহলে ত্রাণ দিয়ে খাদ্য অভাবকে দূরীভূত করা যাবেনা।

বর্তমানের সার্বিক পরিস্থিতিতে আমাদের আরো অনেক স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন৷ আমি ধারণা করি, এমন সময় ব্যাপকহারে স্বেচ্ছাসেবকদের এগিয়ে আসার আহবান আমাদের সার্কেলের প্রধানরা দিতে পারেন, কারণ সর্বত্রই তাদের  পরিচিতি এবং গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে এবং  বৃহত্তর তিন পার্বত্য জেলা আসন্ন বিপদের বিরুদ্ধে একসাথে লড়তে পারবে।

তাই আমি আশা করি, আমাদের সার্কেল প্রধানরা এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিয়ে সমন্বয়কারী হবেন।উপরের উল্লিখিত পয়েন্ট গুলো আমরা দেখতে পারি কোন জায়গায় সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা সকলে  পাহাড়ের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে পারি।


এবং আরেকটা জিনিস,  এই পরিস্থিতিতে বুদ্ধিজীবী সেজে ভেবে বসে থেকে লাভ নেই, ভাবনা টা বাস্তবায়ন করাটাই সকলের কাছে মূখ্য হতে হবে।

প্রমী খীসা
লেখকঃ প্রমী খীসা

লেখকঃ প্রমী খীসা, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।
RSS
Follow by Email
Facebook
Twitter

আরও কিছু লেখা

Leave a Reply