আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি, কল্পকাহিনী এবং বাস্তবতা

Reshmee_Chakma
Last updated Aug 9th, 2020

1109

featured image

বাংলাদেশের মানুষের অর্থনীতি (বিশেষ করে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর) প্রধানত কৃষিভিত্তিক। ভূমি রাজস্ব প্রশাসনের ১৯৫৬-৬৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট আয়তন ছিল ৩২,৫৯,৫২০ একর।

যার মধ্যে মোট ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ২,২৩,০০২ একর এবং নিট ফসলি জমির পরিমাণ ছিল মাত্র ১,৩০,০০০ একর। যার অর্থ দাঁড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৭% এরও কম জমি চাষের জন্য যোগ্য।

[১] হাল চাষের জন্য পর্যন্ত জমির পরিমাণ কম। ষাটের দশকে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের  চাষাবাদযোগ্য উর্বর জমির ৫৪,০০০ একর অর্থাৎ ৪০ শতাংশ অংশ পানিতে ডুবে যায়, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে ইতিপূর্বে  বিদ্যমান ভূমি সংকটে নতুন মাত্রা যুক্ত করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগোলিক এবং মাটির বৈশিষ্ট্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে জুম চাষের উপর নির্ভর করতে বাধ্য করে।  জুমের পাশাপাশি সমতলে, বিশেষ করে নদী উপত্যকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীরাও হাল চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন।

পূর্বে জুম শুধুমাত্র খাওয়ার জন্য পরিবারকে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য যোগান দিত না, উদ্বৃত্ত (surplus) খাদ্যও উৎপন্ন করতো।[২] কিন্তু বর্তমান অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

Jum-Cultivation
জুম নির্ভর অর্থনীতি

এক সময় উদ্বৃত্ত খাদ্য এলাকা হিসেবে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমানে খাদ্য ঘাটতি এলাকায় পরিণত হয়েছে।

[৩] “বাংলা সমতলের সুপরিচিত বৈশিষ্ট্য – দুর্দশা, অপুষ্টি, অনাহার – যা পাহাড়ে বিদ্যমান নেই।”, এই পুরনো মন্তব্যের আর সত্যতা নেই।

[৪]কাপ্তাই বাঁধের পর, বিশেষ করে হ্রদের আশেপাশে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা তাঁদের জীবিকার উৎস হিসেবে ফল বাগান চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

কেউ কেউ মৎস্য শিকারকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে, যেটি পূর্বে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য অসমাদৃত পেশা ছিল। প্রারম্ভিক বছরগুলোতে ফল বাগানকারীরা মোটামুটি সফলও হয়।

[৫] কিন্তু পরে তাঁরা মাটি ক্ষয়ের কারণে এবং পর্যাপ্ত বাজারজাতকরণ সুবিধার অভাবে সফলতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারেনি।

kaptai dam
কাপ্তাই বাঁধ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা

বাংলাদেশের ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ১২১ মিলিয়নের বেশি জনসংখ্যা ভিড় করে ছিল (১৯৯৫ সালে)।

[৬] সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসখ্যার হার সত্তর দশক পর্যন্ত প্রায় একই ছিল। কিন্তু ১৯৭৪ এবং ১৯৮১ সালে বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।

এই সময়ে, যখন বাংলাদেশের জনসখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১৮%, তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিল ৪৭%। সরকারের অর্থায়নে সমতল থেকে বাঙালি সেটলারদের পরিকল্পিত অভিবাসনের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছিল।

১৯৫১ সালে আদিবাসী এবং বাঙালি জনসংখ্যার অনুপাত ছিল ৯১:৯ এবং ১৯৬১ সালে ৮৮:১২। কিন্তু ১৯৮১ সালে অনুপাত হয়েছিল ৫৯:৪১।

[৭] কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬০-১৯৮৭ সালের সময় (প্রধানত সত্তর দশকের শেষের দিকে এবং আশির দশকের শুরুর দিকের সময়ে) রাষ্ট্র অর্থাধীন পূর্ণবাসন প্রোগ্রামে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় ৫,৮০,০০০ বাঙালি বসতি স্থাপন করেছিল।

[৮] বাঙালিদের পরিকল্পিত পুনর্বাসনের ফলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান শোচনীয় অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

ভূমি সংকট আরো তীব্র হয় (জোরপূর্বকভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি দখল ছিল নিত্যদিনের ঘটনা) এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পেশার কাঠামোগত ধরণও পরিবর্তিত হয়।

পেশা প্রধানত দুইটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়েছিল, কৃষি এবং অ-কৃষি। ১৯৬১ সালে দেখা যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট কর্মজীবির প্রায় ৮৭% কৃষি কাজে যুক্ত ছিল এবং ১৯৮১ সালে তা ৫৯% এ নেমে আসে।

[৯] ঐতিহাসিকভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলো কৃষিজীবি। পেশার আকষ্মিক পরিবর্তন (অন্যান্য পেশায় নিযুক্ত হওয়ার সময় ও সুযোগ সুবিধা ছাড়া) অনেক আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে কঠিন অবস্থায় ফেলে দেয়, ঠিক যেন ‘পানির বাইরে মাছ’।

ব্যবসাদারিক মনোবৃত্তির প্রভাব      

পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসগত ও ভৌগোলিকগত অবস্থার কারণে আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে তেমনভাবে পরিচিত ছিল না।

পূর্বে বংশপরম্পরায় ভূমি অধিকার এবং বনজ সম্পদের প্রাচুর্যতার কারণে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবিকার জন্য বাজারের উপর নির্ভর করে থাকতে হতো না।

তাঁরা শুধুমাত্র কিছু সামগ্রী যেমন – লবণ, শুঁটকি, কৃষি সরঞ্জাম ইত্যাদি কেনার জন্য বাজারের উপর নির্ভর করে থাকতো।

তাঁরা তাঁদের উদ্বৃত্ত কৃষিজাত এবং বনজ পণ্যের বদলে বাঙালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঐসব সামগ্রী বিনিময়ে অভ্যস্ত ছিল।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যবসাদারিক মনোবৃত্তি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাবের চেয়ে নেতিবাচক প্রভাব আনে।

প্রথমত, ব্যবসায়িক কূটকৌশল তাঁদের কাছে অপরিচিত ছিল, এমনকি স্বভাব বশত তাঁরা সেগুলো অপছন্দ করতো। দ্বিতীয়ত, তাঁরা ব্যক্তিগত মালিকানা বিষয়ে এবং ভূমি ও অন্যান্য সম্পত্তির বাণিজ্যিক মূল্য সম্পর্কে কিছুটা অনবগত ছিল।

তৃতীয়ত, এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে, তাঁরা অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল (এখনো পর্যন্ত হচ্ছে)। অতীতের মতো, পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোপুরিভাবে সমতলের বাঙালি ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে শীর্ষ পদ ধরে রেখেছে এবং বাজারের বেশির ভাগ দোকান ও বাণিজ্যিক জায়গা তাদের মালিকানাধীন। তারা পাইকারি এবং খুচরা বাণিজ্যে অগ্রীম ঋণ, পরিবহণ এবং অন্যান্য সেবা খাতে প্রায় একচেটিয়া বাজার স্থাপন করে। 

ব্যবসা-বাণিজ্যের শীর্ষ পদে আছে এমন কোন আদিবাসী লোক খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এভাবে তুলনামূলকভাবে বাঙালিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনীতির উৎপাদন সম্পর্কিত বেশিরভাগ শাখার উচ্চ আসন ধরে রেখেছে।

এই রকম সুবিধা এবং বাজার ক্ষমতায় সহজে সক্রিয় হতে পারার কারণে বাঙালিরা তাদের নিরীহ আদিবাসী ভ্রাতৃগণকে প্রতিনিয়ত কাজে লাগাতে থাকবে।

বাজার অর্থনীতির অধীনে ধনীদের আরও ধনী হওয়া (বাঙালিদের ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয়) এবং গরীবদের আরও গরীব হওয়া (আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয়) প্রচলিত ধারণাটি অবশ্যম্ভাবী বলে মনে হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত দ্রুত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

Traditional handcraft
আদিবাসী হস্তশিল্প

শিল্পায়নের প্রভাব

বাংলাদেশি মানদন্ডে পর্যন্ত চট্টগ্রামে শিল্পায়নের অবস্থা নিম্নমানের। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্প যেমন কর্ণফুলী পেপার এবং রেয়ন মিল, কাপ্তাই হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রকল্প, কাঠ ফ্যাক্টরি, নৌকা তৈরির শিল্প কারখানা, জাহাজ শিল্প, আজিজ শিল্প ইত্যাদি রয়েছে।

কিন্তু এসব ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিরভাগ কর্মচারীই পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে থেকে আনা।  স্বাভাবিক কার্যকলাপের এক পর্যায়ে কর্ণফুলী পেপার মিলে মোট ৩,২৯০ জন কর্মচারীর মধ্যে মোট ১৪ জন পাহাড়ি লোককে নিযুক্ত করা হয়।

[১১] অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রেও প্রায় একই চিত্র। খুবই সাম্প্রতিক সময়ের আগ পর্যন্ত কাপ্তাইয়ের সর্ববৃহৎ হাইড্রোইলেক্ট্রিক প্রকল্প পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অন্ধকারে রেখে চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় বিদ্যুৎ সরবারহ করতো।

“পাহাড়ি মানুষের প্রতিটি ঘরকে এক একটি বৈচিত্র্যময় অথবা ভিন্নরকম অন্যান্য ছোট কারখানা বলা যায়”

[১২] — যদিও আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন রকম কারুশিল্পে (বুনন শিল্প, মৃৎশিল্প, বেতের কাজ, রঙের কাজ, কাঠশিল্প ইত্যাদি) দক্ষতার অধিকারী।

তাঁদের মধ্যে থেকে খুবই অল্প সংখ্যজন রাষ্ট্র-মালিকানাধীন সম্পর্কিত এবং অন্যান্য বৃহাদায়তন শিল্পে চাকরি খুঁজে পায়।

আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে শিল্পায়নের সুবিধা হিসেবে বর্ণনা করতে বলা যায়,

“স্থায়ী জনগণের মতামতের গুরুত্ব ছাড়া রাষ্ট্র অর্থায়নে প্রাকৃতিক সম্পদের (হাইড্রোইলেকট্রিসিটি, কাঠ, প্রাকৃতিক তেল, গ্যাস ইত্যাদি) ব্যবহার।”

উন্নয়ন প্রকল্পের প্রভাব

সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরনের  উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলো এ ধরণের উন্নয়নমূলক প্রজেক্টের ফল ভোগ করতে পারে না।

বস্তুত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর প্রকৃত অর্থনৈতিক কল্যাণে বিরুপ প্রভাব তৈরি করে।

ষাট শতকের শুরুর দিকে উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ব্যর্থতায় পরিণত হয়, কারণ স্থানীয় উৎপাদনকারীরা তাদের উৎপাদন থেকে বাজার মূল্যের তুলনায় অনেক কম মূল্য পেতেন।

জনগণের বাজারে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে এডিবি (ADB) অর্থায়িত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য কিছুটা সুবিধা নিয়ে এসেছিল।

পরবর্তীতে, এটি দু’ভাবে বাঙালিদের লাভবান করেছিল। প্রথমত, তাদের মাধ্যমে বাজারজাতকরণ একচেটিয়া হওয়ার ফলে আপনা-আপনি তারা সুবিধা অর্জন করেছিল। দ্বিতীয়ত, সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নের ফলে বাঙালি সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হতে সাহায্য করে।

সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ পদে বহিরাগতরা আসীন থাকতো যারা আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর সমস্যার প্রকৃতি নিয়ে চিন্তিত না কিংবা তাঁদের সমস্যা সমাধান নিয়ে খুবই সামান্য আগ্রহী।

স্থায়ী জনগণের বোর্ডের নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং প্রভাব ছিল খুবই সামান্য। বন উন্নয়ন প্রোগ্রাম এক হাতে দুর্নীতিগ্রস্থ অফিসারদের এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের লাভবান করে এবং অন্য হাতে নির্বিচারে পার্বত্য চট্টগ্রামের বন সম্পদ এবং বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে।

সম্প্রতি আরো কিছু জায়গা সংরক্ষিত বনের আওতায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টাও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে যাবে।

অনেকগুলো উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদাহরণ আছে যেগুলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতিসাধনে ইতিবাচক অবদানের চেয়ে আরও ক্ষতি করেছিল।

উপসংহার

আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা সন্তুষজনক অবস্থা থেকে অনেক দূরে। প্রধানত মানবসৃষ্ট সঙ্কট – এর জন্য দায়ী।

গত বছর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্য সামগ্রিক উন্নতির লক্ষ্যে বর্তমানে ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিপূর্ণ সু্যোগ তৈরি হয়েছে।

সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি নিমোক্ত ব্যবস্থাগুলো পরামর্শ দেবোঃ

  • আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পূর্বে ভোগকৃত ভূমি অধিকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী ঘরবাড়ি পুনরুদ্ধার;
  • ভারত থেকে প্রত্যাগত এবং অন্যান্য আভ্যন্তরীরণ উদ্বাস্তু লোকদেরকে যথাযথ পুনর্বাসন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ব্যবসা বাণিজ্যে বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষ বিধান সৃষ্টি (সংরক্ষণমূলক এবং উন্নয়নমূলক উভয় ব্যবস্থা);
  • আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে অধিক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি;
  • এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি;
  • আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কারুশিল্পের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক কারিগরি স্কুলের প্রতিষ্ঠা;
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা এবং পেশাগত অঙ্গসংস্থান ও সমবায় গঠন এবং কার্যকলাপের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা;

দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যমান কোটা সিস্টেম বাড়ানো; পার্বত্য চট্টগ্রামে উচ্চ ব্যবসা শিক্ষার জন্য একটি বিজনেস স্কুল প্রতিষ্ঠা।

টীকা

1. Also see Raja Devasish Roy, `Colonization, Marginalization and disempowerment of indigenous peoples in the Chittagong Hill tracts, Bangladesh; Will there be a reversal of the trend?’, a paper presented in a seminar on `Bangladesh: peoples Struggles (1971-1996), held between 18-20 October, 1996 in Montreal, Canada.

2. Khisa, A. L., Shifting cultivation in the Chittagong Hill Tracts, Dacca, 1963 (p. 71).

3. Shelly, M. R.(ed.), The Chittagong Hill Tracts of Bangladesh: The Untold Story, CDR,B. Dhaka, December, 1992, (p. 64).

4. Mey, Wolfgang (ed), Genocide in Chittagong Hill Tracts, Bangladesh, Copenhagen 1984 (pp. 81-82).

5. Raja Devasish Roy, `Land rights of the indigenous peoples of the Chittagong Hill Tracts’, in the Bulletin, 1993 Year of the Indigenous People, Dhaka, December, 1993 (p. 16).

6. Hossain, S.M., `Population Growth and Structure’, in Population and Development, MOHFW, GOB, Dhaka, 1996 (p. 61).

7. Chakma, P.B., `Chittagong Hill Tracts and its Development’, in the Bangladesh Journal of Buddhist Studies, vol. 111, no. 1, Dhaka, May, 1986; also see Raja, op.cit.(1996) .

8. Barkat, A. and Huda, S. `Politico-Economic Essence of Ethnic Conflicts in the Chittagong Hill Tracts of Bangladesh, in the Dhaka University Studies, Part-D, December, 1988(p. 113).

9. Barkat, A.and Huda, S, op.cit.

10. Dewan, A., Class and Ethnicity in the Hills of Bangladesh, McGill University, Canada, 1979.

11. Ishaq, M.(ed.), Chittagong Hill Tracts, Bangladesh District Gazetteers, Dacca, 1975 (p. 139).

12. Ishaq, M.(ed.), op.cit.(p. 159).

13. Mey, Wolfgang, op.cit.(p. 31).

14. For detail see, Barkat, A. and Huda, S. op.cit., and Mey, Wolfgang, op.cit. Presented at Conference on Development in the Chittagong Hill Tracts held in December 1998 at Tribal Cultural Institute Auditorium, Rangamati.

অনুবাদকারীঃ রেশমি চাকমা

মূল লেখকঃ প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা 

উৎসঃ Between Ashes & Hope

জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।

আরও কিছু লেখা