বাংলাদেশে ককবরক ভাষার লিখিত চর্চায় অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত
2294
বাংলাদেশে ককবরক ভাষার লিখিত চর্চায় অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত
১৩ এপ্রিল, ১৯৯৬
প্রসঙ্গ আলোচনা করার পূর্বে ককবরক কি তার সমাধান প্রথমে দেওয়ার চেষ্ঠা করি। ত্রিপুরাগণ যে ভাষায় কথা বলে তাকে ককবরক বা “কক্ ব্রুং” বা “ক-বোরো” অর্থাৎ বরক বা মানুষের ভাষা বলে।
ভাষাতত্ববিদরা সারা পৃথিবীতে যে তিন হাজারেরও বেশী ভাষা প্রচলিত রয়েছে তাদের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ ২৫/২৬ টি ভাষাবংশে বিভক্ত করেছেন। যেমন- ইন্দো্-ইউরোপীয়, সেমীয়-হামীয়, আল-তাইব, দ্রাবিড়, চীনা-তিব্বতীয় বা ভোট্-চীনীয়, অষ্ট্রো-এশীয় ইত্যাদি গোষ্ঠী।
ককবরক ভাষা ঐতিহাসিক দিক থেকে চীনা তিব্বতীয় বা ভোট-চীনীয় ভাষার অন্তর্গত। ভাষায় ঐতিহাসিক বিবর্তনের পটভূমিটিকে বিশ্লেষণ করে ভাষা পন্ডিতেরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ভোট-চীনীয় ভাষার তিনটি শাখা রয়েছে- (১) চীনীয় (Chinese) থাই (Thai) এবং ভোট-বর্মী (Tibeto-Burmese)।
তিব্বত, আসাম, ত্রিপুরা, বার্মার সীমান্ত অঞ্চলে শেষোক্ত ভাষা শ্রেণীটি প্রচলিত । এই ভাষার কিছু কিছু সাহিত্যিক নিদর্শন রয়েছে। আর সবই অলিখিত ভাষা।
ভোট-বর্মী ভাষার অসংখ্য উপ-ভাষাও রয়েছে। ককবরক ভাষা ভোট-বর্মী গোষ্ঠীর অন্তর্গত বোভো (Boto) বা বোরো [বর-(ক)] শাখার ভাষা। কোচ, গারো, বোরো, কাছারী, ডিমাছা, হাজং, রাভা মেচ, চুটিয়া, রাজবংশী, বর্মা, প্রভৃতি বোডো (Boto) শ্রেণীর অন্তর্গত ভাষা।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে বোডো বা বোরো জনগোষ্ঠী চীনের মূল ভূ-খন্ডের ইয়াং সিকিয়াং ও হোয়াংহু নদীর মধ্যবর্তী উত্তর পশ্চিম অঞ্চল থেকে ধীরে ধীরে দক্ষিণ অভিমুখে অগ্রসর হয়ে এই অঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করেছিল বলে জানা যায়।
বাংলাদেশের পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট প্রভৃতি জেলায় এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে, মিজোরাম, বার্মা , কুচ বিহার ও আসামের বহু জায়গায় কক্-বরক ভাষা-ভাষীদের বসবাস রয়েছে।
ককবরক বিভিন্ন উপভাষার গঠন ও প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এবং ভাষা বিজ্ঞানের পদ্ধতি অনুসারে ধ্বনি গোত্রগত, রুপ গোত্রগত ও বাক্য গঠনগত বিচার বিশ্লেষণ করে সাম্প্রতিক কালের গবেষকরা কক্-বরকের বেশ সংখ্যাক উপ-ভাষার সন্ধান পেয়েছেন। এই জনগোষ্ঠীর কথ্য ভাষাগুলি সচরাচর ককবরক নামে পরিচিত।
ত্রিপুরা বা বরক জাতি ৩৬ টি উপ-ভাষায় কথা বলে। যেমন- (১) নাইতং, (২) ফাতং, (৩) গাবিং, (৪) দেইনদাক, (৫) টংবাই, (৬) মংবাই (৭) খালি, (৮) মুকচাক, (৯) আসলং, (১০) আনক, (১১) রিয়াং, (১২) উসুই, (১৩) কেত্তয়া, (১৪) কেমা, (১৫) বেরী, (১৬) দামপা, (১৭) গুরপাই, (১৮) জামাতিয়া, (১৯) হাপাং, (২০) হালাম, (২১) গর্জং (২২) গাইগ্রা, (২৩) থাকুলু, (২৪) মুইচিং, (২৫) গারো, (২৬) বোরো, (২৭) রুক্কনী, (২৮) কলই, (২৯) মলসম, (৩০) রাংখল, (৩১) জানতং, (৩২) চরই, (৩৩) বং, (৩৪) বংচের, (৩৫) কাছার, (৩৬) কলি।
এই উপ-ভাষা গুলির মধ্যে বাংলাদেশে মোট ১৬ টি (ষোল) উপভাষা প্রচলিত আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত উপ-ভাষা গুলির মধ্যে নাইতং, ফাতং এবং উসুই ভাষায় কথা বলে এমন ত্রিপুরার সংখ্যা বেশী।
আলোচনার মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি এবার। ত্রিপুরাগণ পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনগোষ্ঠী।
এছাড়া বাংলাদেশের সিলেট, কুমিল্লা, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর প্রভৃতি সমতল অঞ্চলেও ত্রিপুরাদের স্থায়ী বসবাস দেখা যায়।
এই জনগোষ্ঠীর মহারাজাগণ সুদূর অতীতে নিজেদের ভাষা কক্-বরকে বা ত্রিপুরা ভাষায় দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।
তখন রাজ দরবারে ত্রিপুরা ভাষায় লেখ্য রূপেরও অস্তিত্ব ছিল। ত্রিপুরার ইতিহাস শ্রী রাজমালায়-এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
কিন্তু মহারাজারা চন্দ্রবংশীয় আর্য হওয়ার লোভে নিজেদের ত্রিপুরা ভাষার চেয়ে বাংলা ভাষাকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে এর পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।
ফলে ত্রিপুরা হরফ অবহেলিত হয়ে কালক্রমে মৃতরূপ পেয়ে বসেছে। আবার এমনও প্রবাদ ত্রিপুরা সমাজে প্রচলিত আছে যে, ত্রিপুরার হরফ নাকি কলা পাতায় লেখা ছিল, একদিন তা রৌদ্রে শুকানোর উদ্দেশ্যে বাইরে আনা হলে সকলের দৃষ্টি অগোচরে ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে ছিল।
ত্রিপুরার হরফ ছাগলের পেটে যাওয়ায় ত্রিপুরাদের নিজস্ব কোন হরফ নেই। পরবর্তীকালে নিজস্ব হরফ উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও কোনরুপ জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়নি। এভাবে ত্রিপুরা ভাষায় আজ পর্যন্ত কোন নিজস্ব লেখ্যরূপ নেই।
অধুনা শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক ডঃ সুহাস চট্টোপাধ্যায় কলকাতার দি ইনস্টিটিউট অব ল্যাংগুয়েজেজ্ এন্ড অ্যাপ্লাইড লিঙ্গুইস্টিকসের মাধ্যমে ত্রিপুরার ককবরক ভাষায় লিখিত রূপ দেবার লক্ষ্যে কয়েকজন সহকারীর সাহায্যে এক গবেষণা প্রকল্প হাতে নেন।
ভাষা গবেষণার তত্ত্বগত দৃষ্টিভঙ্গীর পাশাপাশি সামাজিক সংহতি ও শিক্ষা বিস্তারের ব্যবহারিক প্রয়োজনের দিকটি তিনি উপেক্ষা করেন নি।
তার গবেষণার ফলে কক্-বরকের লিখন ও বানান পদ্ধতির কয়েকটি বিশেষ সূত্র সম্পর্কে আমরা অবহিত হই। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে কক্-বরক Official ভাষার মর্যাদা পেয়েছে।
তাই সেখানে ব্যতিগ্রস্ত বাংলাদেশের ত্রিপুরাদের বেলায় ভাষা উন্নয়নের বিষয়টি গৌণই রয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশেও এ ব্যাপারে যে কোন চেষ্টা চালানো হয়নি তা নয়।
বিক্ষিপ্তভাবে হলেও অনেকেই ত্রিপুরা ভাষায় নিজস্ব লেখ্যরূপ দেওয়ার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছিলেন।
জানা মতে, বাংলাদেশে ককবরকের লিখিত চর্চা বা সাহিত্য চর্চা প্রথম শুরু হয় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের প্রারম্ভে সম্ভবত চল্লিশ দশকের প্রথম দিকে।
এই সময় ফটিকছড়ির থানা এলাকার অধিবাসী সাধক খুশী কৃষ্ণ (বলং রায় সাধু) সর্ব প্রথম নাইতং ভাষায় অধ্যাত্মিক গান রচনা করেন এবং ঐগুলি প্রকাশ করেন।
এছাড়া সাধক খুশী কৃষ্ণের গুরু মহারাজ রত্নমনি সাধুও বেশ কয়েকটি গান রচনা করেন যেগুলি খু্বই জনপ্রিয হয়েছিল।
সাধক খুশী কৃষ্ণ (ত্রিপুরা)ই সর্ব প্রথম ত্রিপুরা গানকে বাংলা বর্ণে ছাপিয়ে প্রকাশ করেন। ককবরকে রচিত তার প্রথম বইটির নাম “ত্রিপুরা খা-কাচংমা খুমবার বই”।
তেত্রিশটি ত্রিপুরা গানের এই সংকলনটি ১৯৭৮ সালে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ থেকে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া “প্রাণ কাচাংমা” নামে তার একটি গানের বই চট্টগ্রামের মীরশরাই থেকে প্রকাশ করেছেন শংকর চন্দ্র ত্রিপুরা।
তারই পদাঙক অনুসরণ করে বাংলা হরফে সত্তর দশক হতে বর্তমান পর্যন্ত ককবরক সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে কতিপয় প্রবীন-নবীণ ব্যক্তিত্বের পদচারণা দেখা যায়।
তন্মধ্যে বরেন ত্রিপুরা, সুরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সুরেশ মোহন ত্রিপুরা, প্রভাংশু ত্রিপুরা, অলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রমূখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১৯৬৬ সালে বরেণ ত্রিপুরার “অজানা পাহাড়ী সুর” নামে ককবরক ভাষায় (অনুবাদসহ) একটি গানের বই প্রকাশিত হয়। বইটিতে খুশী কৃষ্ণ ত্রিপুরার গান, সাধু রত্নমনি মহারাজের গান এবং বরেণ ত্রিপুরার নিজের লেখা গানও রয়েছে।
ককবরকের লিখিত চর্চায় মিঃ সুরেন্দ্র লাল ত্রিপুরার অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি ত্রিপুরা ককবরক গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী গবেষক এবং ত্রিপুরা সংসদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে ত্রিপুরা সমাজের সাংস্কৃতিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
তার লেখা দুইটি উল্লেখযোগ্য বই হল “ককবরক অভিধান ও ব্যাকরণ” (১৯৯০) এবং “ত্রিপুরা শিক্ষার প্রথম পাঠ” (১৯৮৪)। দুটিই উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত।
ত্রিপুরা সমাজে বহুল প্রচারিত একটি জনপ্রিয় গীতিকাব্য “পুন্দাতান্নায়” বা জিজোক পুন্দা গীতিকাব্য ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ থেকে ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়।
সাধু চিত্তরঞ্জন ত্রিপুরা সর্বপ্রথম বাংলা থেকে শ্রী ভাগবদ গীতাকে “ককবরক” ভাষায় অনুবাদ করেন।
রাঙ্গামাটি “সাকানিকক প্রচার সংসদ” থেকে প্রকাশিত হয়েছে “কক্ সুরুংদি” (ভাষা শিখুন)। এভাবে বাংলা হরফে ককবরক ভাষায় সাহিত্যচর্চার বেশ প্রসার ঘটেছে বাংলাদেশে।
বান্দরবান জেলার উসুই ত্রিপুরাদের কক্-ব্রুং ভাষায়ও ইতিমধ্যে বাইবেলসহ একটি ককবরকের অভিধান বই প্রকাশিত হয়েছে।
তবে ককবরকের জন্য কোন লিপি বেশী গ্রহণযোগ্য বাংলা না রোমান এ নিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিতর্ক চলছে। বাংলাদেশেও এ সম্পর্কে নানাজনের নানামত দেখা যায়।
তবে বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কক্-বরকের যতগুলো্ বই প্রকাশিত হয়েছে তা শতকরা একশত ভাগই বাংলা হরফে লিখিত।
আধুনিক ককবরক সাহিত্যচর্চায় সুপরিচিত শ্রী প্রভাংশু ত্রিপুরা বাংলা হরফে “ককবরক” উচ্চারণে একটি সহজ উপায় বের করার লক্ষ্যে “কক্-বরক ও আদি শিক্ষা” নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন।
রেডিও বাংলাদেশ, পাহাড়িকা অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা ভাষায় যে স্থানীয় সংবাদ প্রচারিত হয় তা বাংলা হরফে লিখিত প্রভাংশু ত্রিপুরার প্রকাশিত পুস্তকের সহজ পন্থাকেই অনুসরণ করা হচ্ছে।
অনেকে আবার রোমান হরফে লেখার প্রতি আগ্রহী। তাদের সহজ যুক্তি হলো রোমান হরফে কক্-বরক ভাষা চর্চা করা হলে একদিকে বানান করতে যেমন সহজ হয় অন্যদিকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্যতাও বজায় থাকে। যাক্ এ ব্যাপারে আর অধিক অগ্রসর না হওয়ায় ভালো।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কক্-বরকে যতটুকু সাহিত্য চর্চা হয়েছে বা হচ্ছে তাতে একটি ভাষার লিখিত রূপে উত্তরণের প্রাথমিক সব শর্তাবলী পূরণ করা হয়েছে তা বলা যায় না ।
কারণ প্রত্যেকেই নিজ নিজ গোত্রকেই বেশী প্রধান্য দিয়ে সাহিত্য চর্চা করায় একটি সামগ্রিক স্রোত সৃষ্টির পেছনে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে যে ভাবেই হোক ইতিমধ্যে ককবরকে উন্নয়নের প্রচেষ্টা যতটুকু ঘটেছে, সে সবের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। পূর্বসুরীদের অসমাপ্ত কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে নতুন প্রজন্মের ককবরক প্রেমীদের অবশ্যই আরো অধিক সক্রিয় হতে হবে।
কারণ ত্রিপুরাদের আত্মপরিচয়ের একটি প্রধান উপাদান বলেই শুধু নয়, তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্যও ককবরকের লিখিত চর্চার বিকাশ ঘটানো দরকার।
আর একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, আমাদের চিন্তাভাবনা জীবনবোধকে প্রতিফলিত করতে পারে এমন একটি আধুনিক সাহিত্য ভান্ডার গড়ে তুলতে হলে ককবরকের লিখিত চর্চাকে অবশ্যই একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।
আর তা সম্ভব (১) একটি সুনির্দিষ্ট বানান ও উচ্চারণ রীতি চালু করা। (২) ত্রিপুরাদের বিভিন্ন দফার মধ্যে সমন্বয় সাধন পূর্বক সর্বজনগ্রাহ্য ও সকলে বুঝতে পারে এরুপ একটি সাধারণ “ককবরক” বের করা (যদিও এই কাজটি সহজ নয় এবং গবেষণার বিষয়)।
(৩)“ককবরকের” আদর্শরূপ প্রণয়নের জন্য “ককবরক” সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে ঘন ঘন আলোচনার ব্যবস্থা করা এবং গবেষণা কার্য চালিয়ে যাওয়া। (৪) এ কাজ দ্রুত ও সহজ হবে যদি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পাঠ্য সূচীর মধ্যে “ককবরক” পড়ানোর ব্যবস্থা করা যায়।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ত্রিপুরা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আলোচনা এবং সাংগঠনিক ভাবে অগ্রসর হওয়া।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
১. পূর-ই রাবাইন সাল ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত ১৯৮১ বৈসু সংকলন।
২. সান্তুয়া, ২য় বর্ষ ৩য় সংখ্যা।
৩. ত্রিপুরা ভাষা শিক্ষার প্রথম পাঠ।
৮. উপজাতীয় গবেষণা পত্রিকা ১৪৮ সংখ্যা।
লেখকঃ অপুল ত্রিপুরা
তথ্যসূত্রঃ তানজাং (জলপ্রপাত), জুম ঈস্থেটিকস্ কাউন্সিল (জা-ক)
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।