করোনাকালীন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্ভাব্য কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে
1696
উপরের ছবিটি দেশের স্বনামধন্য পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের ৭ এপ্রিলের প্রতিবেদন।
এটি শুধু লামা উপজেলার চিত্র নয় বরং বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়িসহ রাঙামাটির সাজেকসহ খাগড়াছড়ির আরো কয়েকটি অঞ্চলে বিরাজমান খাদ্য সংকটের বাস্তবতাকে ইঙ্গিত করে।
খাদ্য সংকটে জর্জরিত এসব এলাকার পাড়া প্রধানরা (কার্বারি) জানান, দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় এসব এলাকায় প্রশাসন থেকে ত্রাণ-সাহায্য দিতে কেউ আসেন না।
করোনার কারণে জুম চাষ করা যাচ্ছে না বলে খাদ্য উৎপাদন যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি উৎপাদিত পণ্যও বাজারে বিক্রি করে লাভ করতে পারছেন না আদিবাসী জুম চাষীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট আরো বেশি ঘনীভূত হচ্ছে।
বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতি
জাতিসংঘের (UN) খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর (CFS) একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙে পড়ার ফলে দুর্ভিক্ষ তৈরি হওয়ার প্রবল শঙ্কা রয়েছে। দুর্ভিক্ষে তিন কোটি মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
তাছাড়া জাতিসংঘের (UN) বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্হা (FAO) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে করোনার কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। খাদ্য সংকটের দায় যতটা না খাদ্যস্বল্পতার, তার চেয়ে ঢের বেশি খাদ্য সরবরাহজনিত সমস্যার।
দুর্ভিক্ষে তিন কোটি মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া জাতিসংঘের (UN) বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্হা (FAO) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক ভিত্তি যেহেতু দুর্বল তার ফলে দরিদ্র মানুষের খাদ্য সংস্থান করা দুরূহ হয়ে উঠছে। এমতাবস্থায় শুধু আপদকালীন সময়ে ত্রাণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। বরং একটি সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্যোগকালীন সময় ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে কীভাবে খাদ্য সংকটকে মোকাবিলা করা যাবে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ত্রাণ কার্যক্রমঃ
করোনার থাবায় জনজীবন আজ নাকাল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এর মাঝেও দরিদ্র মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে নানা পেশাজীবি ও সামাজিক সংগঠন সমূহ।
“করোনাকালে পাহাড়ে অন্ন জুটুক সবার আহারে” স্লোগানকে সামনে রেখে ‘সবুজ খাম ফাউন্ডেশন’ পাহাড়ের তিন পার্বত্য জেলায় ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। সবুজ খাম ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কর্মসূচীর সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমী খীসা জানান, “আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০টির অধিক পরিবারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাড়াচ্ছি। পাহাড়ের অনেক দুর্গম এলাকায়ও আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।”
পাহাড়ি উদ্যোক্তা হাট ও জুবদা’র (জুম্ম ব্লাড ডোনারস এসোসিয়েশন) যৌথ প্রচেষ্টায় ‘ইমার্জেন্সি রিজার্ভ রিলিফ ফান্ড’ গঠনের মাধ্যমে পাহাড়ের জুম চাষী এবং খাদ্যাভাবে পীড়িত এলাকায় জরুরি খাদ্য সরবরাহ দিচ্ছে বলে জানান ফান্ডের মুখপাত্র এভিনিউ চাকমা।
পাহাড়ি উদ্যোক্তা হাট ও জুবদা’র (জুম্ম ব্লাড ডোনারস এসোসিয়েশন) যৌথ প্রচেষ্টায় ‘ইমার্জেন্সি রিজার্ভ রিলিফ ফান্ড’ গঠনের মাধ্যমে পাহাড়ের জুম চাষী এবং খাদ্যাভাবে পীড়িত এলাকায় জরুরি খাদ্য সরবরাহ দিচ্ছে বলে জানান ফান্ডের মুখপাত্র এভিনিউ চাকমা। এছাড়াও তিনি জানান ‘ইমার্জেন্সি রিজার্ভ রিলিফ ফান্ড’ মূলত দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছেঃ
১। ত্রাণদাতাদের (যারা ত্রাণ বিতরণ করছেন) সাথে সমন্বয় করে উত্তোলিত টাকা হস্তান্তর করা, যে এলাকায় সবচেয়ে জরুরী প্রয়োজন (বিবেচনা স্বাপেক্ষে) ও
২। গরীব কৃষকদের (প্রয়োজন স্বাপেক্ষে) মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা, যাতে পার্বত্য চট্রগ্রামে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য সংকট রোধ করা সম্ভব হয়। প্রয়োজনে লজিস্টিক সাপোর্ট সহ আনুষঙ্গিক সকল সাহায্য ও পরামর্শ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
পাহাড়ের প্রান্তিক মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য একদল ভাবুক আদিবাসী তরুণ ‘বনফুলের জন্য জুম্ম তারুণ্যের ভালোবাসা’ সংগঠনের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এছড়াও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন,ঢাকাস্থ আদিবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত CHT Covid-19 Emergency Aid Committee(CCEAC), পার্বত্য মানবিক ফাউন্ডেশন, চাকমা সার্কেলের রাণী য়েন য়েন, বোমাং সার্কেল, মং সার্কেল সহ নানা ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক উদ্যোগের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে খাদ্যের অভাব স্বল্পপরিসরে কমানো গেলেও দীর্ঘস্থায়ী সংকট সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে নীতিমালা ও পরিকল্পনা কৌশল যে অতিসত্ত্বর দরকার তা দিন দিন অনুভূত হচ্ছে।
খাদ্য সংকট সমাধানে বিশেষজ্ঞ অভিমত
বিশিষ্ট কৃষিবিদ, রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মানিত উপ-পরিচালক এবং বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’র (FAO) সাবেক পরামর্শক পবন কুমার জানান, “খাদ্য সংকট সমাধানের জন্য জুম চাষীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
চলমান লকডাউন পরিস্থিতির কারণে জুম চাষীদের কাছে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মীরা যেতে পারছেন না ফলে পাহাড়ের জুম উপযোগী ভূমি অনাবদী থেকে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
পাহাড়ে এপ্রিল-মে মাসে ধানের বীজ বপন করার সময় কিন্তু করোনার কারণে চাষীরা যেহেতু বীজ বপন করতে পারছেন না সেহেতু শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে ও আরেক সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হবে।”
পাহাড়ে এপ্রিল-মে মাসে ধানের বীজ বপন করার সময় কিন্তু করোনার কারণে চাষীরা যেহেতু বীজ বপন করতে পারছেন না সেহেতু শীগ্রই ব্যবস্থা না নিলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে ও আরেক সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হবে।
তিনি দুর্গম পাহাড়ে খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে তার নিম্নে উল্লেখিত অভিমত প্রদান করেনঃ
১। জুম ফসলের সাথে জুম আলু, জুম কচু, জুম মিষ্টি কুমড়া, জুম চাল কুমড়া এবং যে সব জুম ফসল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় সেসব ফসল বেশি বেশি আবাদ করা।
২। পাহাড়ের প্রচুর কলা হয়, অনেক সময় কম দামে বিক্রি করতে হয়। কলা সিদ্ধ করে কলার বাকল ফেলে দিয়ে ভালভাবে রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা। ভাতের অভাব হলে শুকনা কলা পিচে পাউডার করে ভাতের বিকল্প হতে পারে।
৩। সামনে পাহাড়ে বাঁশ কোড়ল আসবে, এগুলো শুকিয়ে রাখা।
৪। জুমের আশেপাশে শিমুল আলু রোপন করা, যা ভাতের বিকল্প হতে পারে।
৫। জুমে ভুট্টা, যব, কাউন বেশি বেশি বপন করা এবং পরিপক্ব হলে সংরক্ষণ করা।
৬। জুমে পাহাড়ের ঢালু জমিতে আগাছানাশক স্প্রে না করা, এতে ছড়া/ঝিরি/খালের ছোট ছোট মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী উদ্ভিদের বংশ বিস্তারে ক্ষতি হতে পারে। এগুলোই আদিকাল থেকে পাহাড়ে প্রাণীজ আমিষের উৎস।
৭। প্রাকৃতিগতভাবে ছড়া/ঝিরি/খালের পাড়ে অনেক শাক-সবজি জন্মে, যেমনঃ তারা (পাহাড়ি সবজি), ঢেঁকিশাক সেসবগুলোকে সংরক্ষণ করা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সাবেক জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা শোভন চাকমা প্রতিবেদককে জানান, “খাদ্য সংকট এখন পুরো বিশ্বকেই সামাল দিতে হবে। খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টির উপরও জোর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত না করা গেলে স্বাস্হ্য কাঠামো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়।
এছাড়াও অষ্ট্রেলিয়ার দ্য ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের (The University Of Queensland) পিএইচডি গবেষক এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সাবেক জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা শোভন চাকমা প্রতিবেদককে জানান, “খাদ্য সংকট এখন পুরো বিশ্বকেই সামাল দিতে হবে।
খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টির উপরও জোর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত না করা গেলে স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়।”
তিনি আরো জানান,”গবেষণা করতে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের এক বিরাট অংশ প্রাণীজ আমিষ থেকে বিভিন্ন কারণে বঞ্চিত হন। ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রেখেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে গৃহপালিত পশু-পাখি পালন করার জন্য উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে পুষ্টি নিশ্চিত করার উপর তিনি জোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ভাতের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে জুমের ভুট্টা, শিমুল আলু, কলার পাউডার এবং মিষ্টি কুমড়া আদর্শ বিকল্প হতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস সহ পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে ভাতের বিকল্প হিসেবে উল্লেখিত খাদ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
অতীতের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়- থানচি, রুমা, লামা, কেওক্রাডং, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি, পাথরঘাটা, মগবান,জুরাছড়ি, থেগাকুল, সাজেক, বরকল, দুধুকছড়া, করল্যাছড়ি, বাঘাইছড়ি ইত্যাদি এলাকায় এখনো খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।
মোটা দাগে বিশ্লেষণ করতে গেলে, দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য সংকট সমাধান করাটাই এখন মূল চ্যালেঞ্জের বিষয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল সমূহ চিহ্নিত করে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এখন অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ। তিন পার্বত্য অঞ্চলসমূহের মধ্যে অধিক দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন ত্রাণ কর্মসূচী করোনাকালীন সময়ে নিশ্চিতপূর্বক জুম চাষীদের চাষাবাদে সকল ধরনের কৃষিজ সেবা চালু করা সময়ের দাবি।
অতীতের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়- থানচি, রুমা, লামা, কেওক্রাডং, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি, পাথরঘাটা, মগবান, জুরাছড়ি, থেগাকুল, সাজেক, বরকল, দুধুকছড়া, করল্যাছড়ি, বাঘাইছড়ি ইত্যাদি এলাকায় এখনো খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।
স্বল্প মেয়াদী সমাধান হিসেবে-
১। ত্রাণ কর্মসূচীতে সমন্বয় আনতে সকল সংগঠনকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসা,
২। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি পৌঁছে দেওয়া,
৩। সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষকে খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ যোগান নিশ্চিত করা,
৪। এলাকা প্রধান (কার্বারি)কে নিয়ে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা রেজিস্টার্ড করা।
সংকট মোকাবেলায় কিংবা সমাধানে শুধু একজনের উপর দায় বর্তায় না বরং সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি পরিসরে সংকট সমাধানে –
১। জেলা ও কিছু উপজেলা পর্যায়ে হিমাগার স্থাপন (কোল্ড স্টোরেজ) যেখানে উৎপাদিত খাদ্য সংরক্ষণ ও মজুত করা যাবে,
২। ধান ছাড়া ভুট্টা, শিমুল আলু, মিষ্টি কুমড়া উৎপাদনে জোর দেওয়া,
৩। পাহাড়ী অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ চালু রাখা,
৪। প্রাণীজ আমিষের চাহিদা ও ঘাটতি মেটাতে নিজ নিজ বাড়িতে পশু পালনের জন্য উৎসাহ করা,
৫। সমন্বিত কৃষি ও প্রাণীসম্পদ সেলের মাধ্যমে চাষী এবং খামারিদের সেবা প্রদান করা,
৬। স্থানীয় বাজার ব্যবস্থা সুসংহতকরণ,
৭। সর্বোপরি খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ কাঠামো মজবুত করা। সংকট মোকাবেলায় কিংবা সমাধানে শুধু একজনের উপর দায় বর্তায় না বরং সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের খাদ্য সংকটের সমাধান আদিবাসীদের হাতেই রয়েছে। নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কৌশলই খাদ্য সংকটকে দূর করতে পারে।
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।