করোনাকালে কেমন আছেন পাহাড়ের জুম্ম প্রবাসী সন্তানেরা?
1911
কোভিড-১৯ বা নভেল করোনার মহামারীতে সারা বিশ্ব আজ তালমাতাল। দৈনন্দিন জীবনকে স্থবির করে দিয়েছে এ নভেল করোনা ভাইরাস।
পুরো পৃথিবীর মানুষ আজ এ মহামারীর তান্ডব লীলায় স্তব্ধ। করোনার এ ভয়াল থাবা মনে করিয়ে দেয় ১৯১৮-১৯১৯ সালের ভয়াবহ স্প্যানিশ ফ্লু’র কথা।
স্প্যানিশ ফ্লু’র সংক্রমণে মারা গিয়েছিল সারা পৃথিবীর প্রায় ১০ কোটি মানুষ। করোনার সংক্রমণ হার বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯১৮ সালের সেই মহামারীর কথা মনে করিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বসবাস করছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে; আজ সুদূর উত্তর আমেরিকা থেকে শুরু করে ওশেনিয়া মহাদেশ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন।
মাখার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ দেশে পাঠিয়ে দেশের রিজার্ভ ফান্ডে (Reserve Fund) যেমন বৈদেশিক মুদ্রার যোগান দিচ্ছেন তেমনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও (GDP) প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ (Remittance) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা তথাঃ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা থেকে বিরাট এক অংশ প্রবাসে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে বসেও তাঁরা দেশ ও দশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
অনেক জুম্ম প্রবাসীরা কয়েক প্রজন্ম ধরে প্রবাসে রয়েছেন। প্রবাসে বাস করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের যেকোন মানবিক সহয়ায়তা কিংবা সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত।
আমরা আশাবাদী মানুষ, তাই প্রবাসী জুম্মদের নতুন কোন একটি প্রজন্ম হয়তো কোনএকদিন সংশ্লিষ্ট দেশের নেতৃত্ব দিবে বলে আমি আশা রাখি।
অর্থনৈতিক মন্দায় চাকরি হারানোর চিন্তায় রয়েছেন জুম্ম প্রবাসীরা। যদিও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মন্দা উত্তরণের জন্য।
বিশ্বব্যাপী করোনার থাবায় বিদেশে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম প্রবাসীরাও নানা টানাপোড়েনের মধ্যে বাস করছেন। বিদেশ বিভূঁইয়ে মহামারীতে পুরোপুরি আজ নাকাল পাহাড়ের জুম্ম প্রবাসী সন্তানেরা।
অর্থনৈতিক মন্দায় চাকরি হারানোর চিন্তায় রয়েছেন জুম্ম প্রবাসীরা। যদিও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মন্দা উত্তরণের জন্য।
এরই মাঝে প্রবাসে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুজন করোনা পজিটিভ কেসের মধ্যে নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন ভদন্ত জ্ঞানরত্ন মহাথেরো সম্প্রতি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং সেইসাথে আমরা আশা করি ফ্রান্সের করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
উত্তর আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ওশেনিয়ার অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন জুম পাহাড়ের সন্তানেরা।
শিকড়ের কাছ থেকে দূরে থাকলেও করোনার সময়ে পাহাড়ের খাদ্য সংকটে পড়া পাহাড়িদেরকে নানাভাবে সাহায্য পাঠাচ্ছেন প্রবাসী জুম্মরা।
মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে কর্মহীন থাকা সত্ত্বেও প্রবাসী পাহাড়িদের এই মানবিক সাহায্য আমাদেরকে শক্তি ও প্ররণা দেয়। দূরে থেকেও যে কাছে আসা যায় ঐক্যের এই সুর বৈশ্বিক করোনা মহামারীর সময়ে খুবই বিরল।
সে অসাধ্যকে সাধন করে জুম পাহাড়কে ভালোবেসে তাঁরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থের কিছু অংশ সহযোগিতার জন্য দান করছেন যা সাধুবাদ যোগ্য।
উত্তর আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন জুম পাহাড়ের সন্তানেরা।
বিদেশ বিভূঁইয়ে গিয়েও মানুষ তাঁর মূল শিকড়কে অস্বীকার করতে পারে না। প্রতিনিয়ত জেগে উঠে পুরনো সে আবেগময় স্মৃতি।
প্রবাসে থাকা জুম পাহাড়ের জুম্মদের সুখ-দুঃখের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা থাকবে আজকের এ লেখায়।
সিংগাপুরের একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার প্রকৌশলী টমাশ্বর চাকমা, কমর্সূত্রে বহুদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
সিংগাপুরে তাঁর করোনাকালীন অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানান,
“এশিয়ার মধ্যে সিংগাপুরের এত ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্হা থাকার পরও পরিস্থিতি প্রথমদিকে সামাল দেওয়া গেলেও বর্তমানে খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।
জীবন আগে, না জীবিকা আগে এ দোটানার মাঝেও সিংগাপুরের সরকার জীবনকে-ই আগে প্রাধান্য দিয়ে মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রযুক্তির ব্যবহার যে এ মুহূর্তে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে সেটি সিংগাপুরের সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ থেকে বুঝা যায়।
প্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট কর্মীরা অধিকাংশই বাড়ি থেকে কাজ করলেও তাঁরাও বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ে চিন্তিত।”
১৯৫৭ সালের হংকং ফ্লু, ১৯৬৮ সালের এশিয়ান ফ্লু কিংবা ২০১০ সালের সোয়াইন ফ্লু’র চেয়েও নভেল করোনা ভাইরাস যে কত ভয়াবহ সেটি নিত্যদিনের মৃত্যু সংখ্যাই জানিয়ে দিচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট যে করোনা সৃষ্টি করেছে সেটি খোদ বিশ্ব নেতারাই বলছেন। বিশ্ববাসীকে এক চরম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস।
জীবন আগে, না জীবিকা আগে এ দোটানার মাঝেও সিংগাপুরের সরকার জীবনকে-ই আগে প্রাধান্য দিয়ে মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য সকল ধরণের ব্যবস্হা গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যে এ মুহূর্তে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে সেটি সিংগাপুর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ থেকে বুঝা যায়।
“ইউরোপের ইতালিকেও হার মানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি। করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকে যথাসাধ্য সেবা দিচ্ছেন ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধারা তথা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্হ্যসেবার সাথে জড়িত কর্মীরা।
আমেরিকার ইতিহাসে করোনার ট্রাজেডি সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। একজন মার্কিন নাগরিক হিসেবে এই দুঃখ ও হতাশা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে,”
বলে জানান ক্যালিফোর্নিয়ার সার্ন বারার্নডিনো কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী জ্ঞান সাধন চাকমা।
তিনি আরো জানান,
“জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। পরিবার স্বজন থেকে দূরে থেকে মাসের পর মাস কাজ করতে হচ্ছে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের।”
জ্ঞান সাধন চাকমাদের মতো সকল ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল।
অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী রক্তিমা দেওয়ান জানান,
“অষ্ট্রেলীয় সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা ও জরুরি পদক্ষেপের দরুন করোনা রোগীর সংখ্যা সেখানে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। লকডাউন ও জনসমাগম রোধ করার কারণে ওশেনিয়া মহাদেশের এ দেশটি করোনা মোকাবেলায় সাফল্য অর্জন করেছে।”
আমরা সকলেই আশা করি, খুব দ্রুতই এই করোনা মহামারি হতে মুক্ত হয়ে আমরা আগের সুস্থ সাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো এবং এই প্রত্যাশা নিয়েই আমরা আগামী দিনগুলোর দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছি কেননা এই অন্ধকার কালো ঝড় থেমে গিয়ে একদিন আলো আসবেই, আর সেই দিন হয়তো আর বেশি দেরি নয়।
ক্যালিফোর্নিয়া পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী পন্নী চাকমা জানান,
“আমরা সবাই এমন একটা দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যেখানে কম বেশি সবাইকেই প্রতিটা দিনই প্রচন্ড শংকা আর অনিশ্চয়তার দোলাচলের মধ্যে দিয়ে পার করতে হচ্ছে।
আর এই শংকার নাম আমাদের সবারই জানা, কোভিড-১৯ বা করোনা যার তান্ডবে পুরো পৃথিবীর মানুষ তটস্থ প্রায়।
বিশেষ করে দেশ থেকে পরিবার পরিজন ছেড়ে আমরা যারা জুম্ম পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছি তাদের জন্য এ সময়টা আরো বেশি কঠিন কেননা একদিকে নিজের অজানা ভবিষ্যৎ অন্যদিকে দেশে ফেলে আসা পরিবারের চিন্তা।
আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য জুম্ম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তবে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কে এই সংখ্যাটা তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই বলা যায়।
আমি বর্তমানে এই ক্যালিফোর্নিয়ার হাইল্যান্ড নামক শহরে বাস করছি যেখানে আসে পাশে সব মিলিয়ে প্রায় শ’খানেক জুম্মর বসবাস যাদের বেশিরভাগই কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টরের সাথে যুক্ত।
আমি নিজেও একজন Fire Alarm Technology Designer হিসেবে Construction Sector এ কাজ করছি কিন্তু বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর এর নির্দেশ অনুযায়ী সাময়িকভাবে সবাইকে “stay home” থাকতে বলা হয়েছে এবং এর প্রভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত অনেক জুম্মদেরকে সাময়িক কর্মবিরতি বা (lay off) প্রসেস এর মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে যা প্রত্যক্ষভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে কেননা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেক্টর যেমন মেডিকেল, কনস্ট্রাকশান, ফুড, গ্রোসারি ইত্যাদি ছাড়া বাকি সকল ক্ষেত্রেই বলতে গেলে অনেকটা স্থবির অবস্থায় রয়েছে কিংবা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যেও কিছুটা আশার কথা হচ্ছে, যারাই বর্তমানে এই করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মক্ষেত্রে প্রভাবিত হয়েছেন বা হচ্ছেন তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও কিছুটা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে এবং ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট ও ফেডারেল সরকার নানাভাবে এই করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এখানকার জুম্মরা আমরা যারা আছি তারা সবাই একে অপরের সুখে, দুঃখে, বিপদে প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়ে এই কঠিন সময়টা পার করছি।
আর এত দুঃসময়ের মধ্যেও আমরা কখনোই আমাদের শেকড়কে ভুলে যায়নি তাইতো সবার আগে আমরা বাংলাদেশের পাহাড়ি প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে যারা খাদ্যসহ নানাবিধ অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে তাদের জন্য CAJPA (CHT-American Jumma People’s Association) এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।”
“আমরা সকলেই আশা করি, খুব দ্রুতই এই করোনা মহামারি হতে মুক্ত হয়ে আমরা আগের সুস্থ সাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো এবং এই প্রত্যাশা নিয়েই আমরা আগামী দিনগুলোর দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছি কেননা এই অন্ধকার কালো ঝড় থেমে গিয়ে একদিন আলো আসবেই, আর সেই দিন হয়তো আর বেশি দেরি নয়।”
নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জুম পাহাড়ের সন্তানেরা মহামারীর সময়েও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সাধ্যমত নিজেদের আদি শিকড় পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্মদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমেরিকান জুম্ম বুড্ডিস্ট এসোসিয়েশন (American Jumma Buddhist Association), জুম্ম ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে (Jumma Welfare Association UK) সহ অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপ থেকেও সহযোগিতা করেছেন প্রবাসী জুম্মরা।
ভালো থাকুক জুম পাহাড়ের প্রবাসী সন্তানেরা, হয়তো নতুন প্রজন্মের জুম পাহাড়ের প্রবাসীরা সেখানকার নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দিবে সে আশা রইল।
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।