করোনা ভাইরাস পরবর্তী বিশ্বঃ সামাজিক,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গতিপথ
1398
করোনা ভাইরাস পূর্ববর্তী পৃথিবী সম্পর্কে আমরা যতটা অবগত, করোনা পরবর্তী বিশ্ব আমাদের ততটাই অজানা। বর্তমান করোনা ভাইরাস শিখিয়েছে এত দিনের বিশ্বায়ন টেকসই নয়।
করোনা ভাইরাস বিশ্বায়নের কালো অংশে আলো ফেলে আমাদেরকে নতুন ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে, নতুন কিছু অভ্যাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
করোনা ভাইরাস আমাদেরকে উন্নয়নের সম্পর্কে ধারণা বদলিয়ে দিয়েছে যে শুধুমাত্র উঁচু উঁচু দালানকোটা কিংবা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা মানেই উন্নয়ন নয়।
রাষ্ট্রের নাগরিকের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা, খাদ্যর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্র কতটা ব্যার্থ তা করোনা ভাইরাস আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।
করোনার এই সংকটকালে বিশ্বে করোনা পরবর্তী রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আমাদের মনে শঙ্কা জাগিয়ে দেয়। করোনা পরবর্তী বিশ্বে কি হতে চলেছে?
(১) নজরদারী বৃদ্ধি
জর্জ অরওয়েলের একটি বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র রয়েছে যা বিগ ব্রাদার নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালের তার একটি উপন্যাসে তিনি এই চরিত্র সম্পর্কে তুলে ধরেছেন।
বিগ ব্রাদার্স ওসেনিয়ার একজন রাষ্ট্র নেতা, যিনি সেখানকার প্রত্যেক নাগরিকের উপর কড়া নজরদারিত্ব করে থাকেন। এই করোনাকালীন বিশ্বে আরেকবার এই ‘বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং ইউ’ চরিত্রটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়।
করোনার এই সময়ে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া সহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে নাগরিকদের নজরদারিত্বের মধ্যে রাখার জন্য বিভিন্ন অ্যাপস সিস্টেম চালু করেছে এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নজরদারিত্ব বৃদ্ধি করেছে।
যার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ তাদের নাগরিকদের চলাচল তথা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছে। এই বিষয় নিয়ে ইয়োভাল নোয়া হারারির বক্তব্য বেশ আলোচিত হচ্ছে।
তিনি তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছেন এই করোনা মহামারীর পরে গণ-নজরদারিত্বমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থ্যা সৃষ্টি হবে।
যদিও বর্তমানে কয়েকটি দেশে সাময়িক আকারে তা পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে তা স্থায়ীভাবে চালু হওয়ার আশংকার কথা তিনি ( ইউভাল নোয়া হারারি) জানিয়েছেন।
এসব সিস্টেমের ফলে রাষ্ট্র একজন নাগরিকের আবেগ-অনূভুতিসহ সব তথ্য জেনে যাবে। সে যদি একটা কাশি কিংবা হাঁচিও দেয় তাহলে তা রাষ্ট্রের নজরে আসবে।
যেমন কেউ যদি কোনো রাষ্ট্রের প্রধানের বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য করলেও রাষ্ট্র তা জেনে যাবে। ফলে রাষ্ট্রগুলো করোনা পরবর্তীকালে আরো বেশি স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠবে।
(২) ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল চীনের উহানে হলেও চীন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বেশ দক্ষতা দেখিয়েছে।
অথচ বিশ্বে মোড়ল বলতে আমরা যাঁদের জানি আমেরিকা, ইউরোপ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যার্থতা দেখিয়েছে এবং করোনাভাইরাসের ফলে তাদের জনজীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তারা নিজেদের রাষ্ট্রে করোনা মোকাবেলায় যেমনি ব্যর্থ হয়েছে তেমনি তারা মোড়লের ভূমিকায় থেকেও অন্য অনুন্নত কিংবা উন্নয়নশীল রাষ্ট্র গুলোকে কোনো ধরণের সহযোগীতা করতে পারেনি।
অন্যদিকে চীন অতিদ্রুত তার দেশে করোনা মোকাবেলা করে আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে তার সহযোগীতা পৌঁছিয়ে দিয়েছে। যার ফলে চীন একটি নব্য বিশ্বায়ন প্রতিষ্ঠায় অনেক এগিয়েছে।
এই নিয়ে চীন আর আমেরিকার মধ্য তুমুল দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেলেও ক্ষমতা পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্যর দিকে ঝুঁকছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
ফলে আগে আইএমএফ সহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা গুলোতে আমেরিকার প্রভাবের কারণে অনেক অনুন্নত রাষ্ট্র আমেরিকার কাছে নতজানু হলেও তারা এখন চীনের সাথে সম্পর্ক গড়তে বেশি উদগ্রীব হবে।
তাছাড়া চীনের ২০১৩ সালের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড প্রকল্পের অধীনে থাকা রাষ্ট্রগুলোর প্রতি চীন করোনার সংকটকালীন সময়ে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার ফলে আমেরিকা-চীন দ্বন্দ্বে নতুন জ্বালানী দিয়েছে।
অনেক রাষ্ট্র তাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিবর্তন করে চীনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলবে। ক্ষমতার আঞ্চলিক মেরুকরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। চীন কেন্দ্রিক নব্য বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। ফলে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হয়ে পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্যর দিকে ঝুঁকবে।
(৩) স্বার্থবাদী রাষ্ট্র
করোনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এতদিনকার বিশ্বায়ন টেকসই নয়।
এতদিনকার রাষ্টগুলোর মধ্যে পরস্পর পরস্পরের প্রতি সম্পর্ক আসলে মিথ্যা তা আমাদেরকে করোনা ভাইরাস নতুন ভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এইসব সম্পর্কের মুলে ছিল বাণিজ্য স্বার্থ।
আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেখেছি তাদের পরস্পরের মধ্য সীমান্ত বন্ধ সহ বিভিন্ন পদিক্ষেপ নিতে।
এমনকি খোদ ইতালি অভিযোগ করেছে করোনাকালীন সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রগুলো তাকে কোনো ধরনের সহযোগীতা করেনি।
অন্যদিকে অনেক উন্নত রাষ্ট্র এই করোনা সংকটে নব্য উপনিবেশকতার মতো তাদের বাণিজ্য স্বার্থ অনুযায়ী অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগীতা করে উপনিবেশবাদ সৃষ্টি করার কৌশল অবলম্বন করেছে।
রাষ্ট্রগুলো করোনা পরবর্তী আরো বেশি এককেন্দ্রিক এবং স্বার্থবাদী হয়ে উঠবে। করোনা পরবর্তী বিশ্বে এই স্বার্থবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে।
(৪) স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
করোনাকালীন বিশ্বে উন্নত-অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর তা আমাদের কারোর অজানা নয়।
রাষ্ট্রসমূহ তাদের নাগরিকদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা, করোনা টেস্ট করাতে ব্যর্থতাই পর্যভূষিত হয়ে ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জানান দিয়েছে।
উন্নত রাষ্ট্রগুলোর চাইতে অনুন্নত রাষ্ট্র গুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরো ভঙ্গুর। করোনা ভাইরাস আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে একটি পারমাণবিক বোমা কিংবা সামরিক অস্ত্র রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ।
সামরিক অস্ত্রের চাইতে একটি রাষ্ট্রে স্বাস্থ্যখাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ কিংবা স্বাস্থ্য বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার প্রয়োজনীয়তা করোনা ভাইরাস রাষ্ট্রগুলোকে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান বিশ্বে কিউবা রোল মডেল হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।
তাই করোনা পরবর্তী বিশ্বে রাষ্ট্রসমূহ স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্ব দিবে এবং স্বাস্থ্য খাত উন্নত করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
স্বাস্থ্যখাত গুলোতে টেলিমেডিসিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে না গিয়ে টেলিমেডিসিনের সুবিধা গ্রহণ করবে।
(৫) বেকারত্ব বৃদ্ধি
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন জারির কারণে অনেক নাগরিকের চাকরি চলে যাওয়ায় গোটা বিশ্ব জুড়ে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে।
গত এপ্রিল পর্যন্ত আমেরিকার পরিসংখ্যান বুর্যোর তথ্য অনুযায়ী আমেরিকাতে বেকারত্ব বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। যা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে হওয়া মহামন্দার পর সর্বোচ্চ।
তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” সিস্টেম চালু হওয়ায় অনেক অফিস সহকারীর প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিয়েছে।
নাগরিকরা বাসায় বসে অফিস করার সিস্টেমে অভ্যস্ত হওয়ায় বাসায় বসে কাজ করছে। ফলে বড় বড় অফিসের ধারণা অনেকটা পাল্টে গিয়েছে।
ফলে অফিসের অনেক কর্মী তাদের কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। করোনা পরবর্তী বিশ্বে আর্টিফিশিয়েল ইন্টেলিজেন্সের ধারণা বৃদ্ধি পাবে।
কেননা করোনা ভাইরাস মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখিতে শিখিয়েছে। এই আর্টিফিশিয়েল ইন্টেলিজেন্স ধারণার ফলে অফিসগুলোতে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
ফলে করোনা পরবর্তী বিশ্বে অনেক মানুষ প্রযুক্তির চাহিদা বৃদ্ধিতে তাদের চাকরি হারাবে।
(৬) যাতায়াত
করোনা ভাইরাস মানুষকে দূরত্ব বজায় রাখতে অভ্যস্ত করেছে, ফলে করোনা পরবর্তী বিশ্বে মানুষ গণপরিবহন এড়িয়ে চলবে।
ব্যাক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। অনেক দেশের নাগরিকরা সাইকেলের ব্যবহারকে যুক্তিযুক্ত মনে করছেন।
চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে কিছুটা লকডাউন শিথিলের পর মানুষকে সাইকেল নিয়ে তাদের অফিসে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
ফলে করোনা পরবর্তী বিশ্বে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে।
এছাড়াও বিমান চলাচল সীমিত হয়ে পড়বে, মানুষ অতি প্রয়োজন ছাড়া বিমানে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে চাইবে এরবাইরেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতে যে লোকসান গুনছেন তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করবে। ফলে বিমানের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে।
(৭) অর্থনীতি
করোনা ভাইরাসের ফলে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। বেকারত্ব চরম আকার ধারন করবে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ব্যবস্থায় মারাত্মক ধাক্কা লাগবে।
আইএমএফ বলছে গত শতাব্দীর ১৯২৯-১৯৩০ সাল পরবর্তী বিশ্বে এইবার অর্থনৈতিক মন্দা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। বৈদেশিক মুদ্রার রেমিটেন্সের উপর নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে হুমকি চরম আকার ধারণ করবে।
যেহেতু দেশে দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে রেমিটেন্স কমে যাবে। বিশেজ্ঞরা বলছেন করোনার সংকট কাটিয়ে উঠতে দেশগুলোকে বেশ বেগ পেতে হবে।
অন্যদিকে তেলের বাজার সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় অনেক রাষ্ট্র হুমকিতে পড়েছেন, শেয়ার বাজারে ধ্বস নেমে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।
করোনার এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দেশগুলোকে অর্থনৈতিক প্রণোধনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
এছাড়া স্ব স্ব রাষ্ট্র তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রণোধনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
করোনাকালীন অর্থনীতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ও অাভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এত কিছুর পরেও দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কত দিন লেগে যাবে তা নির্ণয় করা কঠিন।
(৮) প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি
করোনা পরবর্তী বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। অফিসগুলোতে ঘরে বসে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জুম, ওয়াটসএ্যাপ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমাজন, আলিবাবার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনাকালীন পরিস্থিতে অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হলেও অনলাইন প্রতিষ্ঠান সমূহের ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত হয়েছে। চীনের হুয়াউয়ের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমূহের পণ্য বেচা-কেনা (যেমন সুপারশপ) অনলাইনে বৃদ্ধি পাবে। মানুষ ক্যাশ টাকা ব্যবহারের চাইতে মোবাইল ব্যাংকিং তথা কার্ড মানি ব্যবহার করবে।
বিভিন্ন পার্সেল সার্ভিস বৃদ্ধি পাবে। উবার ইটসের মতো প্রতিষ্ঠান গুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। রেস্তোরাগুলো তাদের খাবার বিক্রির জন্য অনলাইন নির্ভর হয়ে উঠবে।
স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনলাইন নির্ভর পাঠদান বৃদ্ধি পাবে। পুরো শিক্ষাকার্যক্রম অনলাইন নির্ভর হয়ে উঠবে।
(৯) মানুষ তার বাসস্থানের ক্ষেত্রে গিঞ্জি পরিবেশ এড়িয়ে নিরাপদ বসবাস যোগ্য স্থান খুঁজবে
বাসার আশেপাশে যেনো হাঁটার জন্য পার্ক থাকে এরকম পরিবেশ চাইবে, জিমের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাবে। মানুষ বুঝতে শিখেছে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা।
ফলে ভিটামিন যুক্ত ফল-সবজির দাম বৃদ্ধি পাবে। মানুষ হোটেল রেস্তোঁরাগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিবে। ফলে রেস্তোোরা গুলোতে পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে খরচ বাড়বে, ফলে খাবারের দাম বৃদ্ধি পাবে।
তবুও আমাদের বিশ্বাস এই বিশ্ব আবার তার স্বাভাবিক অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াবে। মানুষ এই সংকটকাল কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে শুরু করবে, হয়তো মাস-বছর লেগে যাবে।
মানুষের মধ্যে অসীম সাহস আমাদের মনে আশ্বাস জাগায় আমরা ঘুরে দাঁড়াবো, বিজয়ী মানুষ আবার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে হাসবে।
তথ্যসূত্রঃ
(১)https://www.thedailystar.net/opinion/news/new-world-after-the-coronavirus-pandemic-1891561
(২) https://www.politico.eu/article/the-world-after-coronavirus-crisis-society-culture-economy/
(৩) https://foreignpolicy.com/2020/03/20/world-order-after-coroanvirus-pandemic/
(৪)https://www.aljazeera.com/news/2020/03/world-coronavirus-pandemic-200326055223989.html
(৫) https://www.dw.com/en/the-day-a-better-world-after-coronavirus/av-53356102
(৬) https://www.bbc.com/bengali/news-52362511
(৮) https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/61113
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।