ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন
617
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন
( ২০১০ সনের ২৩ নং আইন )
[ এপ্রিল ১২, ২০১০ ]
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন।
যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন:
১। (১) এই আইন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা:
২। -বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল;
(২) “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী” অর্থ তফসিলে উল্লিখিত বিভিন্ন আদিবাসী তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও শ্রেণীর জনগণ;
(৩) “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান;
(৪) “নির্বাহী পরিষদ” অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত নির্বাহী পরিষদ;
(৫) “পরিচালক” অর্থ ধারা ১১ এর অধীন নিযুক্ত কোন পরিচালক;
(৬) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(৭) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৮) “সদস্য” অর্থ কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য এবং সভাপতিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে ; এবং
(৯) “সভাপতি” অর্থ কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি।
আইনের প্রাধান্য:
৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা:
৪। এই আইন বলবৎ হইবার সঙ্গে সঙ্গে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হইবে, যথা :-
(ক) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী বিরিশিরি, নেত্রকোণা;
(খ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি;
(গ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান;
(ঘ) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কক্সবাজার;
(ঙ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি;
(চ) রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী, রাজশাহী;
(ছ) মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী, মৌলভীবাজার; এবং
(জ) সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত অন্য যে কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।
প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি:
৫। (১) কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যে স্থানে প্রতিষ্ঠিত হইবে সেই স্থানে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় থাকিবে।
(২) কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্য্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
(৩) এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হইবে স্বতন্ত্র আইনগত সত্ত্বাবিশিষ্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
সাধারণ পরিচালনা, ইত্যাদি:
৬। প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন একটি নির্বাহী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে নির্বাহী পরিষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
নির্বাহী পরিষদের গঠন:
৭। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবে, যথা :-
(ক) বিভাগীয় সদরে প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার বা তাহার মনোনীত একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার অথবা জেলা সদর ও উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন এবং খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান তিন পার্বত্য জেলায় প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;
(খ) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
(গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(ঘ) সরকার কর্তৃক মনোনীত শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নের অবদান রাখিতে পারিবেন এমন উৎসাহী স্থানীয় ছয়জন প্রতিনিধি, তন্মধ্যে কমপক্ষে চারজন স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত হইবে;
(ঙ) সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণের মেয়াদ হইবে তাঁহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে তিন বৎসর :
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যে কোন সময় যে কোন মনোনীত সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করিতে পারিবে কিংবা নির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন মনোনীত কোন সদস্য যে কোন সময় সরকারকে উদ্দেশ্য করিয়া তাঁহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে এক মাসের নোটিশ প্রদানপূর্বক স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
(৪) কোন মনোনীত সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উহা পূরণ করিতে হইবে এবং অনুরূপভাবে মনোনীত ব্যক্তি তাঁহার পূর্ববর্তী সদস্যের মেয়াদের অবশিষ্ট সময়ের জন্য উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।
(৫) কোন ব্যক্তি দুই মেয়াদের অধিক সদস্য হিসাবে মনোনীত হইতে পারিবেন না।
(৬) নির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনবোধে, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদান রাখিয়াছেন এমন অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মধ্য হইতে অনধিক, দুই ব্যক্তিকে নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে।
নির্বাহী পরিষদের সভা:
৮। (১) নির্বাহী পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) নির্বাহী পরিষদের সভা, সভাপতির সম্মতিক্রমে, সদস্য-সচিব কর্তৃক আহুত হইবে এবং সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি দুই মাসে নির্বাহী পরিষদের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইতে হইবে।
(৩) সভাপতি সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৪) নির্বাহী পরিষদের সভার কোরামের জন্য অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
(৫) প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় ও নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা নির্বাহী পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে নির্বাহী পরিষদের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
(৭) সভা আহবানের অন্তত সাত দিন পূর্বে সভার নোটিশ প্রদান করিতে হইবে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে এক দিনের নোটিশে বিশেষ সভা আহবান করা যাইবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী:
৯।প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
(ক) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বসবাসরত প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ইতিহাস, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তথা ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য, কারুশিল্প, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠান, রীতিনীতি, প্রথা, সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং গবেষণা কর্মসূচী পরিচালনা করা;
(খ) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবনধারা, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সমাজ ও সংস্কৃতির উপর সেমিনার, সম্মেলন ও প্রদর্শনীর আয়োজন এবং সেই সব বিষয়ে পুস্তক ও সাময়িকী প্রকাশনা এবং প্রামাণ্য চিত্র ধারণ ও প্রচার করা;
(গ) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জনগণকে জাতীয় সংস্কৃতির মূল স্রোতধারার সহিত সম্পৃক্ত করিবার লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসব উদযাপন, স্থানীয় শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
(ঘ) আন্তঃজেলা সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচী গ্রহণ করা;
(ঙ) নিজ ও সরকারি সহায়তায় দেশে ও বিদেশে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম তুলে ধরা;
(চ) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমপ্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী উৎসবসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা;
(ছ) ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য, নাট্য ও চারুকলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা;
(জ) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক এবং নাট্য সংগঠনসমূহকে আর্থিক অনুদান এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও অসহায় শিল্পীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা;
(ঝ) কৃতি ও বরেণ্য শিল্পীদের সম্মানী প্রদান করা;
(ঞ) কৃতি ও বরেণ্য শিল্পীদের সম্মাননা প্রদান করা;
(ট) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উপকরণাদি সংগ্রহপূর্বক জাদুঘর স্থাপন করা;
(ঠ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধনে সরকার কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন;
(ড) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
(ঢ) উপরি-উক্ত কার্যাবলী এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য বিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পাদন করা; এবং
(ণ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
নির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব:
১০। নির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
(ক) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা;
(খ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করা;
(গ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম, কর্মপরিকল্পনা ও বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন এবং সরকারের কাছে উহা অনুমোদনের জন্য সুপারিশ প্রেরণ করা; এবং
(ঘ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
পরিচালক:
১১। (১) প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন পরিচালক থাকিবেন। যিনি সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন।
(২) পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে।
(৩) পরিচালক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি নিম্নবর্ণিত কার্য ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন, যথা :-
(ক) পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করা;
(খ) পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা;
(গ) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও অর্থ বিষয়ক কার্যাদি পরিচালনা করা;
(ঘ) প্রতিষ্ঠানের বাজেট ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রস্তুত করিয়া অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পরিষদের নিকট উপস্থাপন করা;
(ঙ) প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য প্রাপ্য পরিশোধ, কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যয় নির্বাহের আদেশ এবং ব্যয় অনুমোদন করা;
(চ) প্রতিষ্ঠানের হিসাব সংরক্ষণ, হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রণয়ন, হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা এবং হিসাব নিরীক্ষা রিপোর্ট নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করা;
(ছ) প্রতিষ্ঠানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী বৎসরের কার্যক্রমের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করা;
(জ) প্রতিষ্ঠানের অর্থ আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা (ড্রয়িং ও ডিসবার্সিং অফিসার) হিসাবে দায়িত্ব পালন;
(ঝ) প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নিরূপণ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করা;
(ঞ) প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনাসহ উহার দলিল ও কাগজপত্র সংরক্ষণ ও হেফাজত করা।
(৪) পরিচালকের পদ শূন্য হইলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে পরিচালক তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ:
১২। (১) নির্বাহী পরিষদ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, শতকরা আশি ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্য হইতে নিয়োগ করিতে হইবে।
(২) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি এবং তাঁহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
তহবিল:
১৩। (১) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনার জন্য উহার একটি নিজস্ব তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথা :-
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(খ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(গ) কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(ঘ) প্রতিষ্ঠানের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং
(ঙ) অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
(২) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের তহবিল বা উহার অংশ বিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।
(৩) উক্ত তহবিলে জমাকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং উক্ত তহবিল জেলা সদরে অবস্থিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও পরিচালকের যৌথ স্বাক্ষরে এবং উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের একক স্বাক্ষরে পরিচালিত হইবে।
(৪) উক্ত তহবিল হইতে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যয় করা যাইবে।
(৫) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে উক্ত তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে।
বার্ষিক বাজেট বিবরণী:
১৪। প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ উহার উল্লেখ থাকিবে।
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা:
১৫। (১) প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট পেশ করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষর উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিষদের যে কোন সদস্য, পরিচালক এবং কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
(৪) নিরীক্ষার পর মহা-হিসাব নিরীক্ষক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরীক্ষার একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বরাবর পাঠাইয়া দিবেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান মন্তব্যসহ উক্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করিবে।
(৫) নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কোন ত্রুটি কিংবা অনিয়মের উল্লেখ থাকিলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে কার্যকর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া সরকারকে অবহিত করিবে।
বার্ষিক প্রতিবেদন:
১৬। (১) প্রতি বৎসরের ৩১ মার্চ এর মধ্যে প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান উহার পূর্ববর্তী বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবেন।
(২) সরকার প্রয়োজনবোধে, যে কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা:
১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা:
১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
তফসিল সংশোধনের ক্ষমতা:
১৯। সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা তফসিল সংশোধন করিতে পারিবে।
সরকার কর্তৃক তদন্ত পরিচালনা:
২০। সরকার কোন ব্যক্তি বা কমিটির মাধ্যমে যে কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কোন বিষয় সম্পর্কে তদন্ত কার্য পরিচালনা করিতে পারিবে এবং উক্ত তদন্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
সরকার কর্তৃক নির্দেশনা জারী, ইত্যাদি:
২১। সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে এবং প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করিতে বাধ্য থাকিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত:
২২। (১) ধারা ৪ এ উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতোপূর্বে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন, আদেশ, অফিস স্মারক, নোটিশ, বিজ্ঞপ্তি, পরিপত্র, ইত্যাদি, যদি থাকে, এতদ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিতকৃত উক্ত প্রজ্ঞাপন, আদেশ, অফিস স্মারক, নোটিশ, বিজ্ঞপ্তি এবং পরিপত্র এর অধীন গৃহীত ব্যবস্থা বা কৃত কার্য এই আইনের অধীন গৃহীত বা কৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) ধারা ৪ এ উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের-
(অ) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার, ঋণ, দায় ও দায়িত্ব যদি থাকে, সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উপর হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে; এবং
(আ) কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যদি থাকে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রণাধীনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন।
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।