চাকমাদের মৃতদেহ সৎকারের কিছু রীতি

Jumjournal
Last updated Mar 21st, 2020

1430

featured image

চাকমাদের মৃতদেহ সৎকারের রীতি-পদ্ধতি নিয়ে কিছু লেখার তাগিদ অনুভব করছি অনেকদিন ধরে। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত না থাকায় লেখা সম্ভব হয়নি।

আমাদের দাদু-জ্যাঠুরা ধীরে ধীরে আমাদের ছেড়ে একে একে চলে যাচ্ছেন। তারা সবাই যখন আর দুনিয়াতে থাকবে না তখন আমরা কি করব।

নারী-পুরুষের মৃত্যু হলে চাকমা ‘রিদি-সুধোম’ অনুযায়ী মৃত সৎকারের নিয়ম-রীতি আমরা তো জানি না। চাকমা জাতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপুর্ণ অংশ মৃত সৎকারের নিয়ম-কানুন।

এই সংস্কৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদেরই। এই চিন্তা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত সুধী-সজ্জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি বহুবার। খুব একটা সাড়া মেলেনি।

সম্প্রতি গ্রামে গিয়ে ধনরাজ চাকমা দাদার কাছ থেকে মৃতদেহ সৎকারের নিয়মাবলী সম্পর্কে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করি। ধন দাদা প্রায়ই মৃতদেহ সৎকারের কাজ করেন।

এ নিয়ে পরিবারের লোকজনের নানা আপত্তির কথাও জানান। বলেন- বাড়ির লোকজন এসব কাজ করতে বারণ করে। আমি বললাম- এত বড় পুণ্যের কাজ বারণ করার কি আছে ?

তিনি বলেন- মৃতদেহ সৎকার করলে জ্ঞান বাড়ে, অভিজ্ঞতা বাড়ে। শোকগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে সামাজিক দায়িত্ব পালন করা আমি পুণ্য কাজ মনে করি।

আমি বললাম দাদা- মানুষ দান- ধর্ম- পুণ্য কাজ করে জ্ঞানের জন্য। ধ্যান-সাধনা করে জ্ঞানের জন্য। মৃতদেহ সৎকারের সময় সর্বদা মনে জাগে একদিন আমকেও মৃত্যুবরণ করতে হবে।

একদিন সবকিছু ছেড়ে এই পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিতে হবে। এটা অনেক বড় জ্ঞান। যে কাজ করে জ্ঞান বাড়ে সে কাজ ছেড়ে দিও না, পরিবারের লোকজন যাই বলুক।

পৃথিবীতে জ্ঞানের চেয়ে মুল্যবান জিনিস আর কিছুই নেই। বই পড়ে তা জেনেছি।

মৃত দেহ সৎকারের উপাদানঃ

রাধাঘরঃ মৃতদেহ সৎকারের সময় প্রাচীনকালে রাধাঘরের ব্যবহার ছিল। বাশ ও গাছ দিয়ে কিছুটা লম্বা চারকোণা রাধাঘর বানানো হয়। বর্তমানে রাধাঘরের ব্যবহার কম হয়।

রাধাঘর তৈরির সময় চাকমা বর্ণমালা ‘হা’ ‘লাহ্’ লিখতে হয়। রাধাঘরের মাঝখানে বাশের বেত দিয়ে প্রতীকিভাবে ‘কঅ’ (ঘুঘু পাখি) বানাতে হয়। বাশের বেত দিয়ে রাধাঘরের চারকোণায় ৪টি হাতি বুনে দিতে হয়।

‘একপল্লা’ (এক স্তর) রাধাঘর বুনলে শুকর জবাই করে কর্ম (সাপ্তাহিক ক্রিয়া) করা লাগত। ‘দ্বপল্লা’ (দুই স্তর) করলে মহিষ জবাই করে কর্ম (সাপ্তাহিক ক্রিয়া) করা লাগত।

বর্তমানে বুদ্ধ ধর্মের প্রভাবে মহিষ ও শুকর জবাই করে কর্ম (সাপ্তাহিক ক্রিয়া) করার নিয়মটা বিলুপ্ত প্রায়। রাধাঘরও এখন যে কেউ বানাতে পারে না। বর্তমানে রাধাঘরের ব্যবহার নেই বললেই চলে।

সাম্মেঙ ঘরঃ মৃতব্যক্তিকে গোসল করানোসহ প্রয়োজনীয় কাজে সাম্মেঙ ঘর ব্যবহৃত হয়। বাঁশ, বাঁশের তৈরি ‘কেইম’ ‘বেত’ প্রভৃতি দিয়ে সাম্মেঙ ঘর বানানো হয়।

বাড়ি থেকে মৃতদেহ বের করে সাম্মেঙ ঘরে তোলা হয় এবং গোসল করিয়ে পুরোনো কাপড়-চোপড় খুলে দিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়।

আলঙঃ মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর পর ‘সাম্মেঙ ঘর’ থেকে ‘আলঙে’ তুলতে হয়। বাড়ি থেকে শ্মশান পর্যন্ত মৃত দেহ নিয়ে যাবার কাজে আলঙের ব্যবহার হয়।

মৃত সৎকারের কাজে ‘আলঙ’অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। আলঙের ওপর বিছানা বিছিয়ে সাদা কাপড়ে মৃতদেহ ঢেকে রাখা হয়। সেখানে তার মুখে ভাত দেয়া হয়। মৃতের শিয়রে চাউল ও তুলা রাখা হয়।

চাউল ও তুলা একসাথে নিয়ে বয়স্করা ‘সেপ-বোত্তা’ দিয়ে আর্শীবাদ করে বিদায় জানান আর ছোটজনরা প্রনাম জানিয়ে ভুলত্রুটি ও অপরাধ ক্ষমা চেয়ে বিদায় জানায়।

‘মরায়-জেদায় ফারক গরানা’ (মৃত ও জীবিতদের পৃথক করা) কাজ সেরে নেয়া হয়। অনেকেই ‘ঘাট পারাপারের’ টাকা দেন যা ‘বুগো কড়িও’ বলা হয়।

মৃতদেহকে শ্মশানে নেয়ার আগে আলঙটাকে ৭ বার বাড়ির প্রধান দরজায় স্পর্শ বা লাগালাগি করতে হয় এমন নিয়ম আছে। আলঙের সাথে সাম্মেঙ ঘরটাও শ্মশানে নিয়ে যেতে হয়।

এছাড়া ‘আলগ ঘর’ মাচাং ঘর হলে ‘থোবাক’ সাথে নিতে হয়। আলগ ঘর না হয়ে মাটির ঘর বা অন্যঘর হলে শুকনো বা মরা বাশ সংগ্রহ করে তা বাড়িতে স্পর্শ করিয়ে মৃতের সাথে শ্মশানে নেয়ার নিয়ম আছে।

উগুদোচুমোঃ মৃত সৎকারের সময় নারীর ক্ষেত্রে ৭টি ও পুরুষের ক্ষেত্রে ৫টি ‘উগুদোচুমো’ (বাঁশের চোঙা) দরকার হয়। উগুদোচুমোতে পানি ভরে তা ছিটানো হয়।

সেগুলো বাড়ি আর শ্মশান দুই স্থানেই ব্যবহার করতে হয়। রান্নার কাজে বাঁশের চোঙা যেভাবে কেটে ব্যবহার হয় তার উল্টোভাবে কাটলে তাকেই ‘উগুদোচুমো’ বলা হয়।

স্বাভাবিক অবস্থায় পানি পান থেকে শুরু করে অন্য যে কোন কাজে উগুদোচুমো ব্যবহারের নিষেধ রয়েছে। তবে বৈদ্যদের চিকিৎসায় কখনো কখনো উগুদোচুমো ব্যবহারের কথা শোনা যায়।

কুং গাছঃ মৃতদেহ পুড়ে ফেলার জন্য জ্বালানি কাঠের স্তুপ বা রুবোকুর বানানোর আগে বন থেকে ৬টি গাছ সংগ্রহ করে ‘কুংগাছ’ গাড়তে হয়।

জ্ঞাতীকুলের লোকজনকে এই কুংগাছ গাড়তে হয়। নারী হলে ৭ পল্লা ও পুরুষ হলে ৫ পল্লা করে কুংগাছগুলোকে বাধঁতে হয়।

রুবোকুরঃ মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার জন্য যে জ্বালনি কাঠের স্তুপ বানানো হয় তাকেই ‘রুবোকুর’ বলা হয়। রুবোকুর বানানোর ক্ষেত্রে নারী পুরুষ ভেদে আলাদা নিয়ম রয়েছে।

মৃতদেহ নারীর হলে ‘৭ পল্লা’ (৭ স্তর) আর পুরুষের হলে ‘৫ পল্লা’ ( ৫ স্তর) ‘রুবোকুর’ তৈরি করতে হয়। সেই রুবোকুরটা প্রতীকিভাবে ক্রয় বিক্রয় করতে হয়। শ্মশানে গিয়ে মৃতের স্বজনরা পরষ্পরের কাছে রুবোকুর ক্রয়-বিক্রয় করেন।

রুবোকুর ক্রয়-বিক্রয় শেষে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিয়ে চন্দন কাঠ মিশিয়ে শুকনো বাঁশের টুকরায় আগুন জ্বালিয়ে মৃতদেহ দাহ করা হয়। দাহ করার আগে মৃতের মুখে একটি পয়সা দিতে হয়।

সবার আগে পরিবারের লোকজনকে রুবোকুরে আগুন দিতে হয়। পাড়া-প্রতিবেশী, পরিচিতজন, আত্মীয়-স্বজনরা জীবনের শেষ মুহুর্তের বিদায়কালে ‘আহ্ধঅ আগুন’ দিয়ে শেষ ভালোবাসা জানায়।

শ্মশানে প্রয়োজনীয় জিনিসঃ ‘তোবা’ (মাটির তৈরি ছোট পাত্র বিশেষ) ২টি, ‘হুম’ (মাটির কলসি) ১টি, ‘সরঅ’ (তোবার ঢাকনা) ১টি, ‘কোত্তি’ (পানি পানের সময় চাকমারা ব্যবহার করেন) ১টি, কোল্গি (হুক্কা বা দাবা খাওয়ার সময় ব্যবহৃত হয়) ১টি, ‘দাবা’ (হুক্কা) ১টি, ‘বিজোন’ (পাখা) ১টি, ‘কুরুম’ ১টি, ‘ভদং’ ১টি, ‘চাঢ়ি’ ১টি, ‘চুচ্চ্যাং তাগল’ ১টি।

‘দাতকাধি’ নারী হলে ১৪টি আর পুরুষ হলে ১০টি দাতকাধি লাগে। বাশের ‘কেইম’ দিয়ে দাতকাধি বানানো হয়।

‘গোচাবা’ পান, সুপারি, চুন একসঙ্গে বেটে ‘গোচাবা’ তৈরি করা হয়। শ্মশানে মৃতে আত্মার প্রয়োজন হতে পারে এই বিশ্বাস থেকেই এসব রেখে দেয়া হয়। ‘বেনা’ খড় দিয়ে বানানো হয় ‘বেনা’।

আগুন লাগিয়ে রেখে দেয়ার জন্য জুমিয়াদের অতি প্রয়োজনীয় বস্তু এই বেনা। মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে ৫ কুজ ও নারী হলে ৭ কুজ বিশিষ্ট বেনা শ্মশানের কাজে ব্যবহার হয়।

আহ্ঢ় ভাঝা ( হাড় ভাসানো)ঃ মৃতদেহ দাহ করার পরদিন হাড়ভাসানো নামে একটি নিয়ম পালন করা আবশ্যক। মৃতের ছেলেদের এই হাড় ভাসাতে হয়। ছেলে না থাকলে ভাতৃষ্পুত্র এ কাজ করে।

যদি ভাতুষ্পুত্র না থাকে ত হলে জ্ঞাতীকুলের কাউকে এই হাড় ভাসানো কাজটা করতে হয়। এটাই রীতি।

হাড় ভাসানোর নিয়ম ঃ ‘তোবায়’ (মাটির তৈরি ছোট পাত্র বিশেষ) ফুটো বা ছিদ্র করে নারী হলে ৭টি ফুটো আর পুরুষ হলে ৫টি ফুটো করতে হয়। তোবা ফুটো করে দাহ করার সময় মৃতের মুখ দেয়া পয়সাটি শ্মাশান থেকে খুজে নিতে হয়।

সেই সঙ্গে বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের জোড়া, বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের জোড়া, ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুেলর জোড়া, ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের জোড়া খুজে নিয়ে সংগ্রহ করে নারী হলে ৭ টুকরা, পুরুষ হলে ৫ টুকরা করে তোবায় ঢুকিয়ে হাড় ভাসাতে হয়।

( চাকমাদের বিশ্বাস দাহ করার সময় শরীরের অন্যসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভস্ম হয়ে গেলেও বাম হাতের, বাম পায়ের এবং ডান হাতের ও ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের জোড়াগুলো অক্ষত থাকে)

হাড় ভাসানোর সময় মৃত ব্যক্তি পিতা বা পুরুষ হলে ৫বার, মা বা নারী হলে ৭বার পানিতে ডুব দিতে হয় হাড়ভাসানোর দায়িত্ব পালনকারীকে।

এ সময় তার বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি সাদা সুতো দিয়ে বেধে রাখতে হয়। পানিতে ডুব দিয়ে গায়ের কাপড় -চোপড় খুলে পানিতে ফেলে আসতে হয়।

এমনকি কোমরে থাকা সুতা বা ‘ফারত দড়ি’ ছিড়ে পানিতে ফেলে দিতে হয়। (চাকমা পুরুষদের সচরাসর সবারই ‘ফারত দড়ি’ থাকে)। হাড় ভাসিয়ে নদী থেকে উঠে আসার সময় পিছনে তাকানো যায় না।

ডুব মারা অবস্থায় বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি এগিয়ে দেন, জ্ঞাতীকুলের বয়স্কজন সেই আঙ্গুলটাতে ধরে টেনে তুলেন। বস্ত্রহীন অবস্থায় ডাঙায় এসে কাপড়-চোপড় গায়ে দিতে হয়। ওই সময় তার দিকে কেউ দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে পারে না। এটাই নিয়ম।

কর্ম (সাপ্তাহিক ক্রিয়া) ও টাঙ্গোনঃ কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে বর্তমানে বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, পিন্ডু দান ইত্যাদি আয়োজন করা হয়। গ্রামবাসী আত্মীয়-স্বজন সবার জন্য আহারের ব্যবস্থা থাকে।

এর পাশাপাশি পরিবারের পক্ষ থেকে মৃতের আত্মার জন্য শ্মশানে গিয়ে ‘আদাঢ়া পোই’ দিয়ে খাবার দেয়ার একটা প্রথা আছে। আদাঢ়া পোই দেয়ার সময় শ্মশানে ১৪ হাত লম্বা ১টি ও ৭ হাত লম্বা ১টি দুটি ‘তাঙ্গোন কানি’ উড়ানো হয়।

এছাড়া বাত্তির ঘরেও ( হাজার প্রদীপ প্রজ্বলনের ঘর) ১৪ হাত লম্বা ১টি ও ৭ হাত লম্বা ১টি টাঙ্গোন উড়ানোর নিয়ম রয়েছে।

হোঅড়াঃ মৃতের আত্মার শান্তি ও সুখের উদ্দেশ্য এবং পুণ্য লাভের আশায় চাকমা নারীরা ফুল ও কারুকার্য এঁেকে সুন্দর একটি কাপড় বুনেন। এই কাপড়টির নাম ‘হোঅড়া’।

এটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়। এটি বুনতেও বেশ কিছু নিয়ম পালন করতে হয়। চাকমা রমণীদের বিশ্বাস সুন্দরভাবে ফুল তুলে হোঅড়া সমানভাবে বুনতে পারলে পরজন্মে সুন্দর ও সমান দাত নিয়ে জন্ম নেয়া যাবে।

হোঅড়া বুনার আগে ঘিলে-কেজোই পানি দিয়ে শুদ্ধ হয়ে নিতে হয়। (ঘিলে-কোজোই- এক প্রকার বনৌষধি বিশেষ)। ঘিলে-কোজোই ভিজিয়ে রেখে সেই পানি গায়ে ছিটানো হলে শুদ্ধ ও পবিত্র হওয়া যায় বলে চাকমাদের প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে।

হোঅড়া বুনার পরে তা শ্মশানে রেখে দেয়া হয় মৃতের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে। হোঅড়ায় বুনা ফুল গুলো দেখতে অতিশয় সুন্দর হয়। চলবে…

ভাষাগত সীমাবদ্ধতা, শব্দগত দুর্বলতা রয়েছে অনেক। তথ্যের ঘাটতিও রয়েছে প্রচুর। সচেতন পাঠকমহলের কাছে ছেড়ে দিচ্ছি আমার এই আনাড়ি হাতের অপরিণত লেখাটা সম্পুর্ণ করতে আমার জানা নেই কিন্তু আপনারা জানেন, দয়া করে এমন তথ্য সন্নিবেশ করুন যাতে কয়েক দিনের মধ্যে আমার লেখাটা শেষ করতে পারি। ধন্যবাদ।


লেখা: বিহারী চাকমা (সাংবাদিক)

জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।

আরও কিছু লেখা