চাকমা প্রথাগত আইনে নারী
2039
নারীদের অবস্থান দেখেই বুঝা যায় একটা সমাজ কতটা সভ্য। যুগে যুগে নারীরা শিকার হয়েছে পুরুষের অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন, আর নিপীড়নের।
পুরুষেরা সবসময় চেয়েছে নারীদের দমিয়ে রাখতে। আর তাই পুরুষ শাসিত সমাজে সৃষ্টি হয়েছে নারী-পুরুষে বৈষম্য।
নারীরা বঞ্ছিত হয়েছে তাদের অধিকার থেকে। স্বাধীনতা আর অধিকারের ক্ষেত্রে সবাইকে সমান বলা হলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে তার কোন প্রয়োগ নেই।
বর্তমান যুগে তাই নারীর মর্যাদা আর সম-অধিকার আদায়ের জোর প্রচেষ্টা চলছে নানা উপায়ে।
এসব উপায়গুলোর মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে আইন প্রণয়ন এবং প্রণীত আইনসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন।
যদিও পৃথিবীর কোন দেশে নারীর সম-অধিকার সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি তথাপি অনেক দেশে নারীদের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে এবং তাদের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে।
আমাদের দেশের দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাই এদেশে নারীদের অবস্থা এবং সামাজিক অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয়। নারীরা পিছিয়ে রয়েছে পুরুষের চেয়ে অনেক বেশী।
দরিদ্রতা, নিরক্ষরতা, ধর্মীয় বিধি-নিষেধ, সামাজিক ঐতিহ্য ও প্রথার কারণে মেয়েরা পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে বৈষম্য এবং নারীর প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতন করা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নারী নির্যাতন রোধে আমাদের দেশে অনেক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যেমনঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (বিশেষ বিধান) ২০০৩, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ ইত্যাদি।
এছাড়া আমাদের দেশের সংবিধানে নারী অধিকার সম্পর্কে বিধান রাখা হয়েছে। সংবিধানে ১০ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সংবিধানের ২৮ ও ২৯ নং অনুচ্ছেদে যথাক্রমে নারী ও পুরুষ ভেদে বৈষম্য না করা এবং রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের এবং চাকুরী লাভের ক্ষেত্রে নারী পুরুষে বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এবার চাকমা সমাজব্যবস্থায় নারীদের অবস্থার দিকে দৃষ্টি দিই। চাকমা সমাজ ব্যবস্থা পুরুষ শাসিত।
পারিবারিক কাজকর্ম ছাড়া ও চাকমা নারীরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
যদিও চাকমা সমাজে প্রথাসমূহ তেমন সমৃদ্ধি লাভ করেনি তথাপি চাকমা সমাজে নিজস্ব অনেক সামাজিক প্রথা বিদ্যমান রয়েছে।
আর এই সামাজিক প্রথাই হচ্ছে চাকমা আইনের প্রধান উৎস। তাই চাকমা আইন হচ্ছে মূলতঃ প্রথাগত আইন।
প্রথা হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট সমাজে প্রচলিত আচার বা রীতি যা উক্ত সমাজের সদস্যগণ ঐতিহ্য হিসেবে অভ্যাস ও অনুসরণ করে।
অর্থাৎ জনগণ সত্য, ন্যায়সঙ্গত ও সমাজের জন্য কল্যাণকর মনে করে সাধারণভাবে দীর্ঘকাল যাবৎ যে আচরণ বা রীতি অনুসরণ করে তাকে প্রথা বলে।
কোন সমাজের ঠিক সৃষ্টির পূর্ব মূহুর্তেই প্রথার প্রচলন শুরু হয়। প্রথা হচ্ছে আইনের অনেকগুলো উৎসের মধ্যে অন্যতম উৎস।
চাকমা সমাজে সমাজপতি হচ্ছেন চাকমা রাজা স্বয়ং। সে হিসেবে তিনি সামাজিক বিচার ব্যবস্থার প্রধান।
তাঁর অধীনে প্রত্যেক মৌজায় হেডম্যান এবং কার্বারীগণ নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক বিচার পরিচালনা করেন।
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি (Chittagong Hill Tracts Regulation Act 1990) ৪০ নং ধারায় এ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
কার্বারী, হেডম্যান এবং চাকমা রাজা কর্তৃক চাকমা প্রথাগত আইনসমূহ কার্যকরী হয়ে থাকে।
এখন চাকমা প্রথাগত আইনে চাকমা নারীদের অবস্থান বিচার করা যাক। প্রথানুযায়ী বিবাহে চাকমা নারীদের স্বামীর সম্পত্তিতে কোন অধিকার জন্মায় না।
স্বামীর সম্পত্তির অধিকার থেকে সে সম্পূর্ণভাবে বঞ্ছিত হয়।
তবে ছেলেদের নাবালক অবস্থায় স্বামী মারা গেলে সে স্বামীর সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হতে পারে যতদিন পর্যন্ত না সন্তানরা সাবালক হয়।
সেই সাথে বিধবা পত্নী নাবালক সন্তানের অভিভাবক হিসেবে গণ্য হয়।
চাকমা প্রথানুযায়ী পুরুষরা একাধিক বিয়ে করতে পারে। এর সংখ্যায় কোন সীমা নেই। তবে সাধারণত দুই কিংবা তিনের অধিক বিয়ে করতে দেখা যায় না।
কোন স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহের সময় প্রথম নারীর অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
কোন স্ত্রী স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহ করতে বাধা দিতে পারেনা। এটা সম্পূর্ণ স্বামীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর মতামতকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে।
ক্ষেত্র বিশেষে দেখা যায় যে সন্তান সন্ততি নিয়ে প্রথমা স্ত্রী কষ্টের মধ্যে দিন পার করে। কারণ যদিও প্রথাগতভাবে পূর্বোক্ত স্ত্রী এবং সন্তানদের ভরণপোষণের দায়-দায়িত্ব স্বামীর, তিনি উক্ত দায়-দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন না।
Artwork by Kanak Chapa Chakma, Photo: Nantu Chakmaপ্রথানুযায়ী কোন স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ করার ক্ষমতা নেই। বিবাহ বিচ্ছেদ করার ক্ষমতা থাকে স্বামীর কাছে।
তবে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য স্ত্রী আবেদন করতে পারে এবং তার আবেদনের প্রেক্ষিতে কার্বারী বা হেডম্যান স্বামী এবং স্ত্রীর বক্তব্য শোনার পর “ছুরকাগজ” বা তালাকনামা প্রদানের জন্য স্বামীকে বাধ্য করে।
চাকমা সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় “ছুরকাগজ” প্রদানের মাধ্যমে। এই “ছুরকাগজ” হচ্ছে স্বামীর পক্ষে একাধিক স্বাক্ষীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি দলিলপত্র যা বিবাহ বিচ্ছেদের উদ্দেশ্যে স্ত্রীর বরাবরে সম্পাদন করে দেয়া হয়।
কতজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষর প্রয়োজন তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা সীমা নেই। “ছুরকাগজ” প্রদানের ক্ষমতা স্বামীর হতে থাকায় চাকমা সমাজে নারীদের স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে হয়। এই অত্যাচার থেকে মুক্তির পথ হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো।
স্ত্রীকে অত্যাচার করার জন্য স্বামীর শাস্তি বিধানের জন্য কোন প্রথা নেই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদ না ঘটিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে।
স্ত্রীকে নির্যাতনের জন্য শাস্তির ভয় না থাকায় স্বামী স্ত্রীর সাথে যথেচ্ছাভাবে আচরণ করে।
যা খুবই অমানবিক। অনেক সময় স্ত্রী স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অন্যত্র/বাবার বাড়িতে চলে যায় অথবা স্বামী স্ত্রীকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন স্ত্রী-স্বামীর কাছে ভরণপোষণের অধিকার দাবি করতে পারে না।
কারণ প্রথানুযায়ী স্ত্রী-স্বামীর সাথে থাকাকালেই কেবল ভরণপোষণের অধিকারী হয়। স্বামীর দোষে যদি বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তবে স্ত্রী বিয়ের সময় পাওয়া সমস্ত বস্ত্রালংকার পেয়ে খাকে।
আগেই বলেছি স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর অধিকার না থাকায় সে স্বামীর সম্পত্তি দাবি করতে পারে না। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাদের মধ্যে পুনঃবিবাহের কোন বাধা নেই।
মুসলিম আইনে যেমন বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হয় সে ধরনের কোন নিয়ম চাকমা সমাজে নেই।
কাজেই বিবাহ বিচ্ছেদের পরই তারা আবার বিয়ে করতে পারে। বিধবা বা “ছুরকাগজ” প্রাপ্তা স্ত্রীর ক্ষেত্রে ও দ্বিতীয় বিয়ে করতে কোন বাধা নেই।
সমাজে কোন নারী ও পুরুষের অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক ধরা পড়লে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টিকারী পুরুষটির কাছে শুকর দন্ড চাওয়া হয়।
যদি দেখা যায় যে তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কে কোন বাধা নেই তবে তাদের মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। আর যেক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পর্ক বাধা রয়েছে সেক্ষেত্রে তাদেরকে বিয়ে দেয়া হয় না।
শুধুমাত্র কিছু সামাজিক শাস্তি ছাড়া শুকর দন্ড দিয়েই পুরুষটি তার অপকর্মের জন্য মাফ পেয়ে যায়।
আর নারীটি হারায় তার সামাজিক মর্যাদা, এক্ষেত্রে পুরুষটি লঘু শাস্তি নিয়ে একজন নারীর জীবনকে নষ্ট করে দেয়।
কোন অবিবাহিতা বা বিধবা স্ত্রীলোক গর্ভধারণ করলে বা সন্তান জন্ম দিলে সাধারণত সমাজে ঐ সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় চাওয়া হয়।
তখন উক্ত স্ত্রীলোক যাকে উক্ত সন্তানের পিতা দাবি করে তাকে সামাজিক বিচারের সম্মুখীন হতে হয়।
কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরুষটি অস্বীকার করে। সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হলে তাকে উক্ত মহিলাকে বিয়ে করতে হয় নতুবা সন্তানের ভরণপোষণের ভার নেয়া এবং উক্ত মহিলাকে এককালীন কিছু অর্থ ও জমিজমা দেয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু ইতিমধ্যে মেয়েটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। সমাজ তাকে ঘৃণা করে এবং তার মানসিক যস্ত্রণা বেড়ে যায়। মেয়েটির স্বামীর সাথে সংসার করার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।
এক্ষেত্রে পুরুষটি অর্থ কিংবা জমিজমার বিনিময়ে পিতৃত্বের দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছে যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
চাকমা সমাজে মেয়েরা পিতা কিংবা মাতার সম্পত্তিতে কোন উত্তরাধিকার পায় না যদি তার কোন ভাই থাকে। ভাইয়ের অনুপস্থিতিতেই কেবল মেয়েরা মাতাপিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পায়।
তবে পিতা ইচ্ছা করলে তার সম্পত্তির অংশ বিশেষ মেয়ের নামে দান বা উইল করতে পারেন।
দান অথবা উইলের মাধ্যমে পিতার সম্পত্তি পেতে কোন বাধা নেই। কাজেই দেখা যায় উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ও চাকমা সমাজে নারী পুরুষে বৈষম্য আছে।
Returning Home by Kanak Chanpa Chakma, Photo: www.artisttrekker.com/kanak-chanpa-chakmaউপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, চাকমা সমাজে প্রথাগত আইনে নারীরা পুরুষের সম-অবস্থানে নেই।
এখানে নারী ও পুরুষে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় এবং নারীরা পুরুষের সমমর্যাদা পায় না।
মনে রাখতে হবে প্রথা মানুষেরই সৃষ্টি আর এই প্রথাসমূহ তখনই তাদের গুরুত্ব হারায় যখন সমাজের মানুষ এগুলোকে মানতে বাধ্য নয় বলে মনে করে। প্রথার বৈধতার জন্য কতগুলো শর্তের প্রয়োজন হয়।
যেমন-
(১) প্রথাকে যুক্তিসঙ্গত হতে হবে,
(২) প্রথা অবশ্যই বিধিবদ্ধ আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে,
(৩) প্রথাকে অবশ্যই স্মরণাতীত প্রাচীনত্ব, নিরবচ্ছিন্ন ও ন্যায্য-অধিকার হিসেবে অনুসরণ বা ভোগ করতে হবে,
(৪) প্রথা অবশ্যই সুনিশ্চিত ও সুনির্দিষ্ট এবং পরিবর্তনশীল ভাবধারার সাথে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী হওয়া উচিত।
বর্তমান চাকমা সমাজে পরিবর্তন এসেছে অনেক এবং দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের দেখতে হবে বর্তমান চাকমা সমাজ ব্যবস্থায় বহু পুরনো প্রথাসমূহের গ্রহণযোগ্যতা কতদূর।
অনেক প্রথা রয়েছে যা বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। এটা ঠিক, প্রথাসমূহ আমাদের ঐতিহ্য।
আর আমাদের সমাজে যে বিচার ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে তার মাধ্যমেই এসব ঐতিহ্যগত প্রথাসমূহ অনুশীলন করা হচ্ছে।
তাই যে ক্ষেত্রে সমাজে জনগণ প্রথাসমূহের উপর দ্বিমত পোষণ করবে সেক্ষেত্রে তারা বর্তমানে সমাজে প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার শরণাপন্ন হবে না।
সেজন্য আমাদের সামাজিক ঐতিহ্য বজায় রাখার স্বার্থেই বিরোধী দ্বিমত পোষণকৃত প্রথাসমূহের সংস্কার প্রয়োজন।
তাছাড়া বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এই প্রথাগত আইনসমূহ যথাযথ প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।
কারণ অনেকেই আইন লঙ্ঘন করে ঐ এলাকা থেকে পালিয়ে যায় এবং তাদেরকে সামাজিক বিচারের সম্মুখীন হতে বাধ্য করা যাচ্ছে না। এজন্য আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
তথ্যসূত্রঃ
১. “ চাকমা জাতীয় বিচার পদ্ধতি ও চাকমা উত্তরাধিকার প্রথা “- শ্রী বঙ্কিম কৃষ্ণ দেওয়ান।
২. গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।
৩. “ভোরের কাগজ সম্পাদকীয়” ৮ ই মার্চ ১৯৯১।
৪. “ব্যবহার তত্ত্ব” –আজিজুর রহমান চৌধুরী।
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।