জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় আদিবাসীদের জ্ঞান ও দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ
1488
জলবায়ু জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় আদিবাসীদের জ্ঞান ও দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার আরও প্রমাণ পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার দাবানল থেকে।
অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সর্বনাশী দাবানল ১৫০০ টিরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে যা পুরো দেশটিকে ছারখার করেছে। যাঁরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালিয়ে সবকিছু ফেলে রেখে গিয়েছিল তাঁরা ফিরে আসার পর দেখতে পায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
কোন ধরণের বীমার পরিমাণ সেইসব হারানো সামগ্রীর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে পারে না যার মূল্যের পরিমাণ আর্থিক মূল্য দিয়ে পরিমাপ করা যায় না, যেমন: বাচ্চাদের আঁকা ছবিগুলি, পুরনো বন্ধুদের দেওয়া উপহার কিংবা পারিবারিক ছবিগুলি– যা এখন চিরতরে চলে গেছে।
৬৬ বছর বয়সী নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা ফিল শেপার্ড হান্টার ভ্যালি, যখন আগুনের শিখাগুলি ক্রমশ ঘনিয়ে আসতে শুরু করে তখন সে তাঁর সম্পত্তি সরিয়ে নিয়ে যায়।
ধেয়ে আসা আগুনটি যখন মূল বাড়িটি এবং তার সংলগ্ন ছাঊনিগুলোকে গ্রাস করছিল তখন তিনি সেই দৃশ্য অনলাইনে দেখছিলেন এবং মনে মনে ভাবছিলেন তিনি যদি তাঁর বাসায় ফিরে যান তবে তিনি তাঁর বাড়ির ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থাই শুধু খুঁজে পাবেন।
তবে ফিলের এটি ভুল ধারণা ছিল, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-কে তিনি বলেন, “আমি যখন পাগলের মত করে ছুটে এসেছিলাম তখন আমি এটি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে তখনও আমার বাড়িটি অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে।
আগুনটি বাড়ির শুধু চারপাশটাই পুড়িয়েছিল … দেখে মনে হচ্ছিল যেন কেউ এখানে আগুনটির ধেয়ে আসা দেখছিল এবং তাই সে আগুনটিকে বাড়ির বাইরে রেখেছিল, তবে সেখানে আসলে কেউ-ই ছিল না।”
২০১৯ সালে অ্যামাজনের একটি অংশে দাবানলের দরুন প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যখন ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা ব্রাজিলের সাভানা অঞ্চলের স্থানীয় জনজাতিদের সাথে একযোগে কাজ করা শুরু করে তখন গ্রীষ্ম মৌসুমে দাবানলের পরিমাণ প্রায় ৫৭% কমে যায়। © Sarah Shenker/Survival
আপাতদৃষ্টিতে মি. ফিল অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার যে কথা বলছেন তাকে অস্ট্রেলিয়ানরা সাংস্কৃতিক দহন (Cultural Burning) বলে, এটি আদিবাসীদের এমন একটি ভূমি ব্যবস্থাপনার কৌশল যা কেবল অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার আদিবাসীরাই চর্চা করে না, বরং পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য বহু আদিবাসী এবং জনজাতিরা (Tribal Peoples) ব্যবহার করে।
সাংস্কৃতিক দহন (Cultural Burning) বিভিন্ন কারণে অনুশীলন করা হয় এবং এর অনেকগুলি সুবিধা রয়েছে।
এখানে মূল বিষয়টি হলো ভূপৃষ্ঠ স্তরে ছোট আকারের নিয়ন্ত্রিত আগুন জ্বালালে তা দাহ্য উদ্ভিজ্জ পদার্থকে পুড়িয়ে সাফ করে ফেলে এবং যার ফলে এটি নিয়ন্ত্রণহীন অগ্নিশিখার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে তাই আগুন আর সহজে ছড়াতে পারে না।
কিন্তু উপনিবেশিক শক্তিগুলো সাংস্কৃতিক দহনের (Cultural Burning) ব্যবহারকে ঠিক মতো বুঝতে না পেরে যেখানেই এর ব্যবহার খুঁজে পেয়েছে সেখানেই নিষিদ্ধ করে এবং এটিকে তারা অগ্নিসংযোগের সমতুল্য বিবেচনা করেছিল, যা ছিল একটি ভয়ানক ভুল।
সাংস্কৃতিক দহনের (Cultural Burning) উপর নিষেধাজ্ঞা কেবল দাবানলের ঘটনার প্রকোপ বাড়িয়ে তুলেছিল তা নয় বরং এর সাথে তার তীব্রতাও বেড়ে গিয়েছিল।
তবে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন যে আগুন অনেক বাস্তুতন্ত্রেই এক অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপঃ এমন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে যারা আসলে বংশবৃদ্ধি করার জন্য আগুনের উপর নির্ভর করে।
এখন বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণাদি প্রমান করে যে, বিশ্বজুড়ে আদিবাসী এবং জনজাতিরা (Tribal Peoples) শুধু তাঁদের চারপাশের পরিবেশের যত্ন ও ভারসাম্য রক্ষা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না, বরং তাঁরা সক্রিয়ভাবে জীববৈচিত্র্যকে বৃদ্ধি করে।
তাই আদিবাসী এবং জনজাতিদেরকে তাঁদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করা কিংবা তাঁদের জীবনযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে মারাত্মক পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম মরুভূমির একটি আদিবাসী জাতি, মার্টু জাতির (Martu People) এক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তরুণ নেতা কার্টিস টেলর নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন:
“মার্টুদের বিশ্বাস বলে যে, দেশে যদি লোক না থাকে তখন সমস্ত প্রাণীরাও অনুপস্থিত হয়ে যায়। মানুষ এবং পশুপাখি যখন অনুপস্থিত থাকে, তখন দেশটি অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা ভালো থাকে না। ফলে সেখানে আর ভারসাম্য থাকে না।”
কিন্তু ইতিহাসের পাঠ থেকে কেউ কিছু শিখে না, ফলে ক্ষমতাসীন জাতিগোষ্ঠীগুলি আদিবাসী ও জনজাতিদেরকে সহিংসভাবে জোরপূর্বক তাঁদের বসবাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করে চলছে এবং তাদের বর্ণবাদী ভ্রান্ত ধারণা যে আদিবাসীরা ও জনজাতিরা যেহেতু ভূমির উপর নির্ভরশীল তাই তাঁরা “আদিম”– যার কারণে ক্ষমতাসীন জাতিগোষ্ঠীগুলি আদিবাসী ও জনজাতির পরিবেশ বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতার বিষয়টি উপেক্ষা করে চলছে।
একজন বাকা মহিলার বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের দৃশ্য
© Fiore Longo/Survival
এই বানানো ক্রমাধিকারতন্ত্রে শিকার এবং সংগ্রহ (Hunt and Gather) করে বেঁচে থাকা লোকদের “সর্বনিম্নস্থ” হিসাবে দেখা হয়।
কিন্তু ভাবুন তো একবার, এভাবে জীবনযাপন করতে হলে আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ জীববিজ্ঞানী, একজন দক্ষ ভূগোলবিদ এবং দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়া দরকার।কঙ্গো অববাহিকার বাকা জাতিরা (Baka People) জীবিকা নির্বাহের জন্য শিকার এবং সংগ্রহ (Hunt and Gather) করে।
তাঁদের কাছে পশুর বয়স, লিঙ্গ এবং মেজাজের উপর নির্ভর করে শুধু হাতির জন্যই ১৫টি আলাদা শব্দ রয়েছে এবং শিকারীরা তাঁদের বনে কখন এবং কোথায় ঘাপটি মেরে থাকে তা তাঁরা সহজেই শনাক্ত করতে পারে।
তাহলে কেন কেউ তাঁদের কথা শুনছে না? এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার, পরিবেশ সংরক্ষণকারী ইন্ডাস্ট্রিগুলোই তাঁদের ভূমি চুরি করছে এবং তাঁদের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থাই হচ্ছে পরিবেশ ধ্বংসের সবচেয়ে বড় দুষ্কৃতিকারী।
মেসোক জা’র (Messok Dja) একটি বাকা গ্রামের বাসিন্দারা সার্ভাইভাল ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, “World Wide Fund for Nature (WWF) আমাদের অরণ্যে পৌঁছেছে এবং আমাদের সম্মতি ছাড়াই বনে সীমানা স্থাপন করছে।
এমনকি আমাদের কাছে কেউ কিছু ব্যাখ্যাও করেনি। তারা কেবল আমাদের জানিয়েছিল যে আমাদের আর বনে যাওয়ার অধিকার নেই। ইতোমধ্যে ইকোগার্ডগুলি আমাদেরকে হয়রানি করছে।
তারা আমাদের লোকদেরকে অন্যায়ভাবে মারধর করছে অথচ চোরাচালানকারীদের হাত থেকে হাতিদের রক্ষা করছে না।”
তবে আদিবাসীদেরকে এবং জনজাতিদেরকে ভূমি থেকে আলাদা করা এবং তাঁদের জীবনযাত্রার পদ্ধতি এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার কৌশল নিষিদ্ধ করার অর্থ এই যে ধীরে ধীরে তাঁদের জ্ঞান এবং দক্ষতা হ্রাস করে দেওয়া।
আদিবাসীদের জ্ঞান কেবল অন্যান্য বস্তুগত সম্পদের মত নয় যা পাশ্চাত্যরা তাঁদের নিজস্ব হীন স্বার্থের জন্য কাজে লাগাতে পারে।
বরং এটি অন্য কারোর স্বত্বাধীন নয় এবং কখনই তা হতে পারে না: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের এই জ্ঞান লিখিত হয় না বরং এই জ্ঞান তাঁদের ভিতরে বাঁচে, শ্বাস নেয় এবং বেড়ে ওঠে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য অবশ্যই তাঁদের মানবাধিকার নিঃশর্তভাবে বহাল থাকতে হবে, কিন্ত জলবায়ুর জরুরি অবস্থায় আদিবাসীদের এবং জনজাতিদের অধিকারকে অবজ্ঞা করা শুধু চরম ভুলই নয়, বরং এটি আমাদের পক্ষেও সম্ভাব্যভাবে মারাত্মক।
এটি বলা আদর্শিক হবে না যে, শুধুমাত্র আদিবাসীদের প্রজ্ঞাই আমাদের জলবায়ু সংকট থেকে বাঁচাতে পারবে কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা মানবতার অন্যতম প্রগাঢ় বোধশক্তিগুলোর একটি। এটি আমাদের গ্রহকে বাঁচানোর লড়াইয়ে অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার।
আমাদের তথাকথিত সভ্য সমাজ তাঁর এই নিজস্ব সাম্রাজ্যবাদী ধারণা দ্বারা ব্যাপকভাবে ভুগছে যে “অন্যান্য” সমাজগুলি, যাঁরা ভূমির উপর নির্ভরশীল তাঁরা বিশ্বায়িত বাজার অর্থনীতির সাথে সামান্যই সম্পর্কযুক্ত এবং তথাকথিত সভ্য সমাজের তুলনায় তাঁদের খুব সমান্যই বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন বোধশক্তি রয়েছে এবং তাই প্রায়শই তাঁদের জ্ঞান এবং বিশ্বদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করা হয় কাল্পনিক ও কুসংস্কার হিসাবে।
তবে, আমাদের তথাকথিত সভ্য সমাজের নিজস্ব বিজ্ঞানই তার নিজের ভুল প্রমাণ করে দিচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী তার অগণিত উদাহরণ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চলের আলাওয়া জাতি (Alawa People) এক অনন্য ধরণের দাবানলের বর্ণনা দিতে “জারুলান (Jarulan)” শব্দটি ব্যবহার করে; এই দাবানল ইচ্ছাকৃতভাবে এক বিশেষ ধরণের পাখির দ্বারা সৃষ্টি হয়।
জারুলান কোনও রূপকথার কাহিনী নয়, এটি রূপকও নয় এবং এই বিশেষ ধরণের পাখিও একরকম রূপক নয়, এটি আক্ষরিক অর্থেই সত্য।
২০১৭ সালের একটি গবেষণামূলক গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে তাদের শিকারকে খোলা জায়গায় বের করে আনার জন্য জন্য একটি নয় বরং তিনটি প্রজাতির পাখি ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন ছড়ানোর জন্য দায়ী।
বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলি শুধু কয়েক মাস বা বছর ধরে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে, কিন্তু আদিবাসীদের জ্ঞান ও দক্ষতা সহস্রাব্দ জুড়ে পুঞ্জীভূত হয় এবং তাঁদের এই জ্ঞান ও দক্ষতাকে আমরা কোনভাবেই উপেক্ষা করতে পারি না।
২০০৪ সালের এশীয় সুনামিতে ২৩০,০০০ এরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল, যা দেখে মনে হয়েছিল কোনও সতর্কতা ছাড়াই সুনামি আঘাত হেনেছে।
তবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীরা অনেক আগেই সুনামি আঘাত হানার সংকেত পেয়ে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল যা তাঁদের সুরক্ষিত রেখেছিল এবং এই সম্প্রদায়গুলি বিপর্যয়ের হাত থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পেয়েছিল।
পাশ্চাত্য সমাজ প্রকৃতিকে শুধু একটি ব্যবহার্য সম্পদ হিসাবে দেখে, হোক তা আনন্দ বা লাভের জন্য এবং পাশ্চাত্য সমাজ এমনও মনে করে যে মানুষ প্রকৃতির থেকে বিচ্ছিন্ন কিংবা তারও ঊর্ধ্বে রয়েছে।
অন্যদিকে, বেশিরভাগ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর দর্শনানুসারে মানুষ এবং প্রকৃতি এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পারস্পরিকভাবে নির্ভরশীল।
ইয়ানোমামি (Yanomami) ওঝা দাভি ইয়ানোমামি তাঁর দ্য ফলিং স্কাই (The Falling Sky) বইয়ে লিখেছেন, “ইতোমধ্যে শ্বেতাঙ্গদের প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য এবং মেশিন তৈরির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ধাতব পদার্থের চাইতেও বেশি মজুত রয়েছে; আরো মজুত রয়েছে প্রয়োজনের চাইতেও বেশি খাদ্য উৎপাদনের জন্য জমি; আরো রয়েছে প্রয়োজনের চাইতেও অধিক পরিমাণ কাপড়; এবং আরো রয়েছে চলাচলের জন্য অঢেল সংখ্যক গাড়ি ও বিমান।
তবুও তারা আমাদের বনাঞ্চলের ধাতব পদার্থগুলোকে প্রবলভাবে আহরণ করতে চায় যাতে করে তারা আরো বেশি পরিমাণে এসব জিনিসপত্র তৈরি করতে পারে।
অথচ তাদের কলকারখানার দুর্গন্ধ ইতোমধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে … যেকোন সময় এসব কলকারখানার নির্গত কালো ধোঁয়ার তৈরি অন্ধকার আমাদের ঘরে নেমে আসতে পারে, যাতে করে আমাদের বাচ্চারা আর সূর্যের চেহারা দেখতে না পায়।”
সময় এখনই আদিবাসী এবং জনজাতিদের কথা শোনার।
তথ্যসূত্রঃ Survival International
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।