বাহারি বাইক নয়, জুম্ম তরুণের চোখে স্বপ্ন ছড়াক চে-র সাইকেল

Sulav Changma Dhenga
Last updated Aug 20th, 2020

1466

featured image

লঞ্চযোগে মারিশ্যা থেকে ফিরছিলাম, লঞ্চ শুভলঙের কাছাকাছি যখন পৌঁছে…লঞ্চের ছাদ থেকে হা করে থাকিয়ে থাকি…লজ্জায়, ক্ষোভে ইচ্ছে করছিলো কাপ্তাই লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরে যাই।

পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি-গেরস্ত-রাজবাড়ি ডুবিয়েছে যে জল সে জলে প্রজন্মের নির্লজ্জ লাফালাফি আর ফাঁকে প্রচন্ড বৃষ্টির দিনেও সানগ্লাস পড়ে রকমারি সেলফি-কুলফি-বালফি আর কী কী সব ফী সমেত হিন্দি মিউজিকের তালে তালে পিকনিক বোটগুলো কেমন দুলছিলো তা দেখতে দেখতে আনমনে গালি দিচ্ছিলাম লারমাকে!!

এমন জাতিকে নিয়ে কেন যে অধিকারের স্বপ্ন দেখতে গেলেন, আমি বুঝি না!!

চাকমা ভাষায় “ফী” শব্দের অর্থ বিপদ/আপদ/কুফা!! যখন কোন গেরস্তের বাড়িতে অমঙ্গলসূচক কোন স্বপ্ন, অমঙ্গলসূচক কোন ঘটনা ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকে তখন “ঘিলে-হোজোই” পানি দিয়ে শুদ্ধ হয়ে অথবা বাড়িতে ভিক্ষু ডেকে এনে মঙ্গলসূত্র পাঠ করে “ফী” কাটানো হয়।

যেমন, ধরি কোন একটি গোজার লোক জঙ্গলে “হাট্টন্নে” যেয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত হলেন। তখন সেই গোজার সমস্ত লোকেরা যে যেখানেই থাকুক জানাজানি করে “ফী” বা অশুভ লক্ষণ/বিপদ/আপদ/কুফা কে কাটিয়ে নেন।

এরকম ঐতিহ্য এখনো চাকমা সমাজে প্রচলিত আছে। আমার স্পষ্ট মনে পড়ে আমি যেবছর এসএসসি পরীক্ষা দিই সেবছর আমাদের “হুরোহুট্টে” গোজার কেউ একজন জঙ্গলে বাঘের/ভালুকের আক্রমণে নিহত হয়েছিলেন।

এ ঘটনায় হুরোহুত্তে অধ্যুষিত আদামগুলোতে ঘিলে-হোজোই পানি দিয়ে “মাধা ধোনা” বা “ফী” ফেলাতে হয়েছিল। রাঙ্গামাটি শহরটাকে বিশেষত্ব দিয়েছে যে “ফুরমোন”, আমি খেয়াল করেছি সেই ফুরমোনের পাদদেশ এবং চারপাশ ঘিরেই রয়েছে হুরোহুট্টে অধ্যুষিত আদামগুলো।

যেমন- ফুরমোনের পূর্বপাশটাই রাঙাপান্ন্যে, ভেদভেদী, ঊলুছড়ি, হাদাছুড়ি, একেবারে পাদদেশে সাপছুড়ি, আমছুড়ি, শুয়োরছুড়ি, উত্তরের দিকে হুদুকছুড়ি, পশ্চিমে শেলছড়া। আরো একটু দূরে দূরে করে ছড়ানো হান্দবছড়া, দিয়োলিবাগ, শিলছড়ি, ধুট্টাঙ, তন্মিদুঙ এই আদামগুলোও হুরোহুট্টে অধ্যুষিত।

যারা আমাকে কাছ থেকে চিনে, তারা ভালোই জানেন আমি কীরকম “ফাত্তো”! ছোটবেলায় মা আমাকে গালি দিতে দিতে বলতেন “দিন্নোবো ভাদঅ মাজও হুগুরও দগ তিদিক তিদিক ফাত্তো ন বেড়েলে হি ভাত্তুন অহজম ন অন্দে?”

(“সারাটা দিন ভাদ্রের কুকুরের মতন তো তো না ঘুরলে কী পেটের ভাত হজম হয় না?”) এখন অবশ্য ফাত্তো বেড়াইতে বেড়াইতে নিরুদ্দেশ হলেও মা তেমন একটা আর দু:চিন্তা করেন না। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবেই, এ আস্থাটুকু জন্মে গেছে হয়তো!!

যাই হোক, একটু “সেহর”/ সুযোগ পেলেই আমি এখনো ফাত্তো বেড়াতে ভালোবাসি। রাঙ্গামাটি জেলার সবকটি উপজেলা, বান্দরবান জেলার সবকটি উপজেলায় পা রেখেছি।

সত্তা ছড়াটিকে কেন্দ্র করে বিস্তীর্ণ কাউখালী-বর্মাছড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে জুড়োছড়ির শলক লামনি, বরকলর থেগা উজোনি, লংগদু-বাঘাইছড়ির মেইনী-হাজলঙের গঙার, বিলেইছড়ির রেইংখং রিজেব কে কেন্দ্র করে যুগ যুগান্তরের যে সারাল্ল্যে জুম্ম আদামগুলো যখনই সুযোগ পেয়েছি তখনই ফাত্তো বেড়িয়েছি।

জমচুগ, ফুরমোন, ফালিটাঙ্যে, ঊড়িঙে মৌন, বিলেইছুড়ি মৌন কোনটাই বাদ দিচ্ছি না। নিজে তো ফাত্তো বেড়াই, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করার চেষ্টা করি ফাত্তো বেড়ান্ন্যে নামতে। এ নিয়ে আমার নামে স্কুলবেলা থেকেই বেশ দুর্নামও আছে!!

গেল ঈদের ছুটিতে ক্যাম্পাসের কয়েকটা ছোটভাইকে নিয়ে লম্বা একটা ফাত্তো বেড়ান্ন্যে দিয়ে আসলাম। প্রথম টার্গেট ছিলো ফুরমোন পাহাড়টার দক্ষিণ-পূর্ব পাশটা ঘিরে যে মৌজাগুলো রয়েছে সেই অঞ্চলগুলোকে কাভার করা।

যেমন- আমছড়ি মৌজা, রঙ্যেছুড়ি মৌজা, কামিল্ল্যেছুড়ি মৌজা, ঝগড়াবিল মৌজা। রাঙ্গামাটির আসামবস্তি ব্রীজ থেকে শুরু করে কাপ্তাই রোডের শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ উত্তর-দক্ষিণমুখী ২২কিলোমিটারের যে রাস্তাটি এখন রাঙ্গামাটির এলিটদের কাছে বৈকালিক প্রমোদভ্রমণ বা বাইকবিলাসিতার হেতু তৈরী করেছে এই মৌজাগুলো সে অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত।

ঝগড়াবিল মৌজাটাকে কেন্দ্র করেই রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিকল্পনা করা হয়েছে। মাত্র বছর পাঁচেক হবে এই রাস্তাটি হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তাটি হওয়ার পরে এই অঞ্চলের জীবনযাত্রায় দ্রুত কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

বেশকিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু নতুন হুমকী তৈরী হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে বটে কিন্তু স্থানীয় মানুষদের ভাগ্যে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। আদামগুলোতে নেই প্রাইমারি স্কুল, বিদ্যুত পৌঁছায়নি।

অথচ কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য যে বাঁধ সে বাঁধটি থেকে এই এলাকাগুলো একেবারেই হাতের নাগালের দূরত্বে অবস্থিত!!

বলাবাহূল্য, এই আদামগুলোর সবগুলোই কাপ্তাই বাঁধের করাল গ্রাসে পুরান রাঙামাটির তলিয়ে যাওয়া জনপদ থেকে উঠে আসা উদ্বাস্তুদের তৈরী। ইদানিং রাঙ্গামাটি শহরের বাবুরা জমি কিনে গড়ে তুলছেন পর্যটন স্পট, ফলজ বাগান ইত্যাদি।

উপর্যপুরি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে নতুন করে উচ্ছেদ হওয়ার আতঙ্ক ঘুরে-ফিরে আসছে স্থানীয় জনমনে। আর প্রত্যহ বিকেলে শহুরে তরুণরা বাইকে চড়ে এই রাস্তাটা ধরে একটা চক্কর দিয়ে আসেন।

জুমঘরগুলোতে যেয়ে সেলফি মেরে ফেসবুকে আপলোড!! অনেকে নাকি জুমঘরগুলোতে যেয়ে কিছু অপকর্মও সেরে আসছেন। জানতে পারলাম, মাত্র কয়েকদিন আগেও নাকি কোন একটি গ্রুপ মদ-তদ খেয়ে রীতিমতো জুমঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে এসেছে!!

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যখন দীর্ঘ ছুটি থাকে তখন শহরে পড়তে আসা তরুণরা বাড়িতে ছুটিতে আসে। এই সময়গুলোতে এই রাস্তাটি হয়ে যায় অঘোষিত পর্যটন কেন্দ্র!! সামপ্রতিক সময়গুলোতে শুভলঙ ঝর্ণা আর এই রাস্তায় একবার ঘুরে আসলে কখনোই মনে হবে না যে, পাহাড়ে কোন জুলুম চলে…..!!!

আমাদের তরুণ জুম্ম ভাই-বোনদের মনে এত ফূর্তি-রঙ্গ-ঢঙ্গ কোথা থেকে যে আসে আমি ভেবে পাই না! দুদিন পরপর সামপ্রদায়িক হামলা, সপ্তাহ না পেরোতে ধর্ষণ, মাস পেরোই কী পেরোই না ভূমি থেকে উচ্ছেদ!!

তাও ক্ষণিক সুখের লাগি সেলফি-কুলফি-বালফি মার্কা আমাদের এই ভাবলেশহীন জীবনযাত্রা আমাকে বড়ই ব্যথিত করে। গম ন চেদেম!! মুইও আগঙ সে দলত!! মুইও যে তোমা মানুজ দ!!! / ভালো সাজতে যাবো না, আমিও আছি সে দলে!! আমিও যে তোমাদেরই লোক!!!

আমার কোন বাইক নেই! চালাইতেও পারি না। কোনদিন বাইক কেনার সামর্থ্য অর্জন করতে পারবো কি না জানি না!! আগ্রহ তেমন একটা নেই!!

তবে বড় একটা পরিচিত সার্কেল থাকার সুবাদে কখনো কখনো সুযোগ পেলে আমিও বন্ধুদের বাইকে চেপে এই রাস্তাটা ধরে দু/এক চক্কর মেরে আসি। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন আসামবস্তি ব্রীজের উপর থাকি।

মনে করুন, যেই একটা সেলফি তুলতে যাবো আসামবস্তি ব্রীজের উপর, ঠিক তখনি ব্রীজের নীচে হুট করে চোখ চলে যায়। দেখি আমার বড়ভাইটি সেখানে কোন একটি ট্রাকে গাছ আপলোড করছে। তখন আর আমার সেলফি তোলা হয় না!!

আসামবস্তি ব্রীজের গোড়ায় খানিক উত্তরের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় ইয়া মোটা মোটা গাছের গুড়ি। সমগ্র রাঙ্গামাটি জেলা থেকেই প্রতিদিন এখানে নানান প্রজাতির গাছ আসে। সেগুলো ট্রাকে বোঝাই করে চিটাগাং বা ঢাকায় যায়।

মূল্যবান ফার্নিচার থেকে শুরু করে অনেক কিছুই তৈরী হয়। আমাদের গ্রামে এই গাছের গুড়ি তোলার বড়সড় একটা শ্রমিকের দল আছে। আমার আপন বড়ভাই তাদেরই একজন।

বিকেলের বেড়ানো শেষে যখন বাসায় ফিরি, সারাদিনের শ্রান্ত দেহটাকে একটুখানি স্নেহ দিতে দাদা তখন “এগপেগ” নিয়ে “সিংগবাই’ বসে থাকেন। সাথে তার ছোট্ট মেয়েটার খুনসুঁটি। আমি আমার ভাইঝির নাম রেখেছিলাম- রেগা! রেগা মানে সাঁকো!!

সেইমুহুর্তে যদি দাদাকে জিজ্ঞেস করি, আজ ইনকাম কেমন হলো?? উত্তর হবে বড়জোর ৩০০?! সেজন্যই বোধকরি ঢাকা শহরের ফার্নিচারের দোকানগুলোতে আমি আমার দাদার ফোঁটা ফোঁটা ঘাম দেখতে পাই!!

এখন!!! বাইকওয়ালা আমার বন্ধু। বন্ধু মানে ভাই, পরমাত্মীয়!! তাহলে আমার “গাছতুলোন্ন্যে” বড়ভাইটি নিশ্চয়ই সেই বাইকওয়ালারও ভাই।

তো, এক সহোদর ব্রীজের নীচে গাছ তোলে আরেক সহোদর ব্রীজের উপর সেলফি তোলে ব্যাপারটি কেমন কেমন না? আবার এক বাপ জুমে “মগদা দেগে সঙ দুগ গরে” / “মরি মরি কষ্ট করে” আর আরেকবাপের ছেলে বাইকে চড়ে শখের ফটোগ্রাফি করে ব্যাপারটা কেমন কেমন না?

ঠিক এভাবেই যদি আমরা চিন্তা করি, শুধু আসামবস্তি ব্রীজ কেন পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের চিত্রটাইতো এরকম। এক ভাই গাছ টানতে টানতে কষ্টে মরে যাচ্ছে-আরেকজন বনরুপা বাজারের শুকরের মাংস আর ‘রঙরাঙ’-র বোতলটা নিয়ে ফূর্তি করছে!

একবোন জুম অথবা “ভুই’ ছুলতে/নিরানি দিতে ‘মগদা’ দেখতেছে আরেকবোন সেই জুমের উপর যেয়ে সেলফি মারতেছে!!

আমার জুম্মো ভাইটির, আমার জুম্মো বাপটির, আমার জুম্মো বোনটির, আমার জুম্মো মা টির দু:খে সহভাগী হতে না পারি, অন্তত আমার আচরণে-আমার চলনে-আমার বলনে যেন সে অধিকতর দু:খ না পায়, অধিকতর কষ্ট না পায় সেভাবে তো অন্তত আমি থাকতে পারি!!

“ফী”-র কথা বলছিলাম। আপনার আমার জন্য যা বিনোদনের খোরাক, সেটা অন্য আরেকজনের কাছে “ফী” নয় তো? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাটা আজ জুম্ম তরুণ প্রজন্মের জন্য অনেকবেশী জরুরী।

এই যে, আসামবস্তি ব্রীজ, আসামবস্তি-কাপ্তাই রোড আপনার-আমার কাছে বৈকালিক বাইক ভ্রমণ বা সেলফি বিনোদনের খোরাক সেটা যে আরেক জুম্ম বাপ-ভাইয়ের কাছে “ফী” তা কি আমরা বুঝার চেষ্টা করছি?

সেভাবেই সাজেক, আলুটিলা, নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুক, বগালেক, কেওক্রডং জুড়ে যে হরেকরকমের “ফী” জন্মেছে সেগুলো “ঘিলে-হোজোই” পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা তো এই প্রজন্মেরই দ্বায়িত্ব।

প্রজন্মের অনেকেই ঘিলে-হোজোই চিনেন না হয়তো। চিনে নিতে হবে! উপাই নেই। অন্যথা এই “ফি” গুলো আমাদের বংশ “উবোদ-যাবোদ” করে দিবে যে!

ধনপুদির জন্য ঘিলেফুল পারতে যেয়েই রাধামন “কালাজামুরো” সাপের দংশনে বিষপ্রাপ্ত হয়েছিলো। রাধামনের উত্তরসুরি হবোই যদি “ফী” পরিষ্কার করার এই লড়াইয়ে মরি-বাঁচি লড়তেই হবে।

চে গুয়েভারার একটা বাইক ছিলো। চে-র সাইকেল নামেই সবাই চিনে। “চে-র ডায়েরী” এবং “ডাক দিয়ে যাই” বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়া আমার প্রথমদিককার বইগুলোর দুটি।

এ দুটি বই পড়েই জানা যায়, ডাক্তারি পড়া শেষে কীভাবে চে ঘুরে বেড়িয়েছেন ল্যাটিন আমেরিকার পথে-প্রান্তরে। নোট নিয়েছেন অগণিত মানুষের কষ্টের দাগ আর সেই দাগ মুছার জন্য করণীয় কী হতে পারে সেগুলো।

চে সাজতে যাওয়ার দরকার হয় না, পার্বত্য চট্টগ্রামের অগণিত জুম্ম বাপ-ভাই-বোনের কষ্টকে অণুধাবন করতে! অসংখ্য গণহত্যা, শতশত ধর্ষণ, পর্যটন ও উন্নয়নের নামে নিত্য বাপ-দাদার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার গল্প তোমার-আমার চোখের সামনেই তো ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন।

তাও কী আমরা আমাদের দৃষ্টি ওই বাহারি বাইকের উপরই রাখবো? একটা সেলফি, একটা বার্থ ডে পার্টির পিক, একটা রেস্টুরেন্টের চিকেন, একটা ব্যাচ পিকনিকের পিক নিয়েই কী ভরে রাখবো পুরো ফেসবুক টাইমলাইন? কোন অপরাধবোধ অথবা দ্বায়িত্ববোধ ছাড়াই?

লারমা আজ নেই! থাকলে নিশ্চয়ই বলতেন – বাহারি বাইক নয়; জুম্ম তরুণের চোখে স্বপ্ন ছড়াক চে-র সাইকেল।


লেখকঃ সুলভ চাকমা

জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।

আরও কিছু লেখা