
পথিবীর অনেক জাতির কম বেশী নিজস্ব ভাষায় দাগ কড়া বা প্রবাদ প্রবচন রয়েছে। ইহা কথায় শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় এবং ভাষার একটি অঙ্গ হিসেবে সাহিত্যকেও সমৃদ্ধ করে।
প্রবাদ প্রবচনে যুক্তিপূর্ণ ভাবার্থ ও তার মর্মার্থ গভীর। বাক্যের এক কথার ধারায় আনন্দ বা রসাত্ববোধ ব্যাখ্যা প্রদান করে।
বাংলায় প্রবাদ প্রবচন যেমন রয়েছে তেমনি তঞ্চঙ্গ্যাদেরও দাগ কড়া রয়েছে। এইগুলি তাঁদের লোক সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে রচিত।
সংরক্ষণের অভাবে এইগুলো অনেকটা বিলপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় দাগ কড়া বা প্রবাদ প্রবচন উদ্ধৃতি করা হলোঃ
১. গাইতে গাইতে গলা আরিতে আরিতে নলা।
২. গুই কবাল সুরুংঅত, বান্দর কবাল তারাংঅত।
৩. কাম শততু গইলে পুআই, মাইনষো শততু মইলে পুইআই।
৪. ছাগল চিগন বিছা দাঙ, মানোইত চিগন কড়া দাঙর।
৫. আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে থালে সোনা পায়।
৬. অইন লগে ছংগা পাগল, মইচ লগে গরু পাগল।
৭. পারা আলে রাছারে ড নাই, আগা আলে বাঘরে ড নাই।
৮, বই ন জানিলে লই পাই, কই ন জানিলে মই পাই।
৯, চিগন পোঅ জলাইলে লাইত পাই, কুণ্ড লাইলে কাম খাই।
১০. পেসাই কুলকুলাই, কোরল্যাই সােনা টোকা পাই।
১১. ন উড়িতে উছি লাইত, উড়ি আড়াই গিরতছআই লাইত।
১২. নিজ বাতিলোই যিদদু যাই পে, পর বাতিলোই সিদদু যাই ন পে।
১৩. যা ঘলার ধান, তা কড়া টান।
১৪. যাতুন আগে টেঙা, তা কড়া বেঙা।
১৫. যে ফুল নিনদে, সে ফুল ফিনদে।
১৬. দুর কুরুম ফুল বাইত, কাই কুরুম গুঅ বাইত।
১৭. গাইছত আগাত গুই, কুআ ভাতখাই যাইত তুই।
১৮. গাইত উছল অলে ব বাসে, নীচু অলে ছাগলে খায়।
১৯. নাঙে চাঙে বৈদ্য ভাই, গুণে জ্ঞানে কিছু নাই।
২০. পন্ডিতে বুঝে আকার ইঙ্গিতে, মুখে বুঝে ভুগে চাবড়ে।
২১. গাইত চিনে বাগলে, মানইত চিনে আক্কলে।
২২. আত্তে চিনে স্ত্রী, মাত্তে চিনে পুরুইত।
২৩. উবে উবে ব বায়, কলগ মারিয়ে মাইত ন পায়।
২৪. কারিগজ্যার ভাঙ্গা ঘ, বৈদ্য ঘত নিত্য জ।
২৫. পথ ভালা বেঙা যা, ভাত ভালা বানা খা।
২৬. বর গাঙ চানা, কাব চোবও ধোআনা।
২৭. বুআ কড়া কুআ ঘু, গাবু কড়া কাবুগ জু।
২৮. ভুইয়র গুণে রোয়া, মা গুণে পোয়া।
২৯. লাঙর দয়া একোয়া দিন, নেগর দয়া চিরদিন।
৩০. যার বাবরে কুমগে খাই, ঢেউ দেঘিলে থে ধয়াই।
৩১. ব্যাগ তিরা খা যায়, মানস্য তিরা খা ন যায়।
৩২. আগেরে মানস্যর লাইত নাই, দেগেরে মানস্যর লাইত।
৩৩. মনত তলে গুণ গএ, ভাঙ্গি কলে রন ঘএ।
৩৪. যে বাঘরে ডয়াই, সে বাঘরে লাগত পাই।
৩৫. খাবার নাই ঠুর পানি,পুনত গুলিবাত তগাই মিরা পানি।
৩৬. ঝুল থাকে ঘার, সময় থাকে আড়।
৩৭. বান্যা মোঘ সোনা নাই, মিস্ত্রি ঘরত জানালা নাই।
৩৮. যে কুগুঅ লেজ বেঙা, আছা চুমাৎ ভয়াইলেও উচু নএ।
৩৯. যার কামে যারে সাজে, আড় কামে লাড়ি মারে।
৪০. মেলা রাইত পেলা ডাঙ, মরত রাইত জুম ডাঙ।
৪১. যে দেশত যে কাল, উইনে চুমি গেল বাঘ গাল।
৪২. ধান লগে চবা থায়, গিয়া লগে পেঘা থায়।
৪৩. গম লগে পান বাড়া পায়, বচংঅ লগে পাড়ি কুনও ন পায়।
৪৪. পেরত ভোগ, মুঅত লাইত।
৪৫. দশত মুখত জয়, দশত মুখত ক্ষয়।
৪৬. একোআ সীলত তলে, একোআ কাঙা।
৪৭. নরম পালে উমগ কুয়াঅ কুড়ে।
৪৮. মআ বাশঅ লগে জেরা বাশতও পুত্র।
৪৯. পাগানা লগে কাচাও পএ।
৫০. উসুনা কুআই ডাক কাএ।
৫১. বাঘ দাত ঝেই পয়ানা।
৫২. সীল ডরে কুয়াস ন পুসানা।
৫৩. পাইতে পাইতে রাইতে পা।
৫৪. ন জিনআ কুগু র ডাঙ।
৫৫. হিসাব গরু বাঘে খায়।
৫৬. পেরত ন পোগ, মুয়ত পোগ।
৫৭. আইচ পুনত কুগুএ বোগানা।
৫৮. মআ শুগনীবাইঅ তিন পাক খায়।
৫৯. চিকন মোরত জাল বেগ।
৬০. বাঘে মইসে আল।
৬১. চু যাই, ঝু উড়ে।
৬২. মঅ গরু লারি দাঙ।
৬৩. দুধ দেরে গরুন লারি খালেও গম।
৬৪. মানিক্যা বাপর সিন্নি খানা।
৬৫. আছা বচং অলেও নিজ পোআ সোনা দোক্যা।
৬৬. পেট ঠিক দুনিয়া ঠিক।
৬৭. আছি পন্ডিরত ইছা মারাত ঘু।
৬৮. সাত বিল ঘুরি, এক বিলত দোআ শুগানা।
৬৯. মুঅ গুণে ব্যাঙ মএ।
৭০. বন বাঘে নঅ খারে, মন বাঘে খাই।
৭১. ঝা মুগাই বাঘ ডাবানা।
৭২. পাগে গই আগাও ন যাই।
৭৩. ন কানেরে পোআই দুধ ন পাই।
৭৪. জারত তালে ন লুগাই।
৭৫. ভুলত্তন সম বেগ।
৭৬. বৈদ্য বেগ অলে পিরল্যা ম।
৭৭. আছি চালাগত, পদ উএ আঘে।
৭৮. যাকোআ বুদদিএ ফল নাই।
৭৯. ঘর উনুএ বেড় কামাই।
৮০. তুলি বাইত ঘনানা।
৮১. ঘারত আইন ডুবে।
৮২. হাজার টিক্যা ন এক কুবে শেষ।
৮৩. এরাইআ চাগে মানুইত ঘিনাই।
৮৪. লেছা চামুগে টেং কাবে।
৮৫. পারা বাইশত বিছা বাছানা।
৮৬. ভাংগা টেং গারত পআনা।
৮৭. শুন্যা কড়ালোই দুনিয়া বেয়ানা।
৮৮. রোয়াংঅ খবর খয়ানা।
৮৯. মা আসাইআ কুআ স।
৯০. টিবা রাচাই আইত-গোয়া পানা।
৯১. আসাব সাবে বিত বানানা।
৯২. পুস্যা মনাই চোগত কুড়ানা।
৯৩. চিলে কুআ স নিছানা।
৯৪. মানোইত বুঝি পুগিয়ে কামাই।
৯৫. মন দুগে বনত যানা।
৯৬. বান্দর তেংমাং।
৯৭. লুরিলোই আইত বানানা।
৯৮. বান্দর আরত সিরল পআনা।
৯৯. বান্দর গলায় সোনা পিনানা।
১০০. অতুন উল ফুরানা।
১০১. চিগন পোআই আগাইছত চান মাগানা।
১০২. টুইত কালে উইত বইছে।
১০৩. পানিত ডুবি আঘানা।
১০৪. নাপিত দেগিলে নককুনি বাড়ে।
১০৫. কবাই কান নিছানা।
১০৬. গরম পানি মাইত।
১০৭. কবা চে বগা।
১০৮. পালাত তুল্যা ব্যাঙ।
১০৯. বগা কলত পআনা।
১১০. গুই বান দিয়ানা।
১১১. কানারে পদ দেগানা।
১১২. কইচ্যা মাইচরে চোখ দিয়ানা।
১১৩. নমাইচ্যা মাইনস্যে এক দুলা মাইত।
১১৪. বিল্ল পাততোআ উবাইত থায়।
১১৫. অলে দেখা, মলে অদেখা।
১১৬. কলা মুআ বুচি যানা।
১১৭. নাকালে যানা।
১১৮. কংগয়া যুগ।
১১৯. দুর কামর দেয়ানা।
১২০. অনা ভাতে ভাত, অপদে পথ।
১২১. অমানুইত মানুইত, অঘাটে ঘাট।
১২২. কলি যুগে বলি রাচা।
১২৩. অতি সুন্দরী নেগ নাই।
১২৪. বচং খব বয়ারে আনে।
১২৫. পানিত ডুবি আঘানা।
১২৬. হারত মাইত আছাইলে ন পাই।
১২৭. আইছে আইছে ডলাডলি, নল খাগড়া ঘুরি।
১২৮. কোআ ন কুইতে পানি খানা।
১২৯. কান কাবি কুগুরে ভাত দিআনা।
১৩০. অছস্যা বাগল জোড়া ন লয়।
১৩১. নাল্যা বন্দুগলই আইত মাই খায়।
১৩২. লো শুগর শালত উরানা।
১৩৩. বিলাইভ খেলা উন মতা।
১৩৪. টেন্যা পানিলোই ঘোড়া ভোএ।
১৩৫. যে তালত ভাত খাই, সে তালত আঘে।
১৩৬. দশা আলে, বাপেও খিলাই।
১৩৭. দাশি দিলে, নাচি খায়।
১৩৮. ইহিম কলা বাগলও ভালা।
১৩৯. আগুনর কুএ ঘি থানা।
১৪০. আজলে পালে বাবরেও বিয়াই ডাগে।
১৪১. আদানতুন বেগনও চেত।
১৪২. আইচ মআ কুলা ডাঘি রাঘাই ন পে।
১৪৩. আমনর আন্দাইজ পাগলেও বুসে।
১৪৪. আইচআ যেরে ন বাসে, লেচ্যান যেরে বাসে।
১৪৫. আইচআ আলে গাইত তগাতগি।
১৪৬. আইত দি আইত বানে, মানইত দি মানইত বানে।
১৪৭. উচান্যা ছেপ ফেলাইলে, নিজ মারাত পত্র।
১৪৮. কাম ড এ ঠাপ্ত অয়ানা।
১৪৯. কেচ্ছোয়া কুইতে সাপ নিগে।
১৫০. কিবিন্যার ধন ফক্করে খায়।
১৫১. আঘেরে মাইনস্যঅ লাইত নাই, দেঘেরে মাইনস্যঅ লাইত।
১৫২. গবে সবে মরত, কানে শিঙে বলদ।
১৫৩. গিরসৃসআর সেরাম বুসি, চু্এ বানে তিন বকসা।
১৫৪. চিত গম অলে লাঙ পআ বাছে।
১৫৫. জারে জাত তগায়, কাঙায় গাত তগায়।
১৫৬. ঝিয়ে মাই বৌএ শিগানা।
১৫৭. টেংগা দিলে বাঘ চুগও পায়।
১৫৮. দুবা মুগাই বাঘ ধাবানা।
১৫৯. ধুব কাবত কালি দাগ।।
১৬০. নিজর টেংগত খােরল মানা।
১৬১. বাঘর ছ শেয়াল ন অয়।
১৬২. বান্দ কিবা শুইলে, মারাত উরি বইচন।
১৬৩. বিপদত পলে রাচায়ও বাপ ডাগে।
১৬৪. বুআ বান্দরে গাইচত উড়ে।
১৬৫. মা মলে বাপ তালৈই।
১৬৬. মাগনা পালে বামনে মদ খাই।
১৬৭. শেরাম নাই যার, তিন মোখ তার।
১৬৮. এক লেচা ঝড়ে বাইচা ন যায়।
১৬৯. এক খিলি পান, হাজার টেঙার মান।
১৭০. বান্দ চুগত গুতস্যা সুমানা।
১৭১. রাধা লই কানু।
১৭২. কানা কুমত পানি ঢালানা।
১৭৩. আল্ল্যা ন বুসি সাইল্লা গিলানা।
১৭৪. সাগরান পা অরে আইত গয়া মানানা।
১৭৫. মাগলংঅ আইত নিগানা।
১৭৬. আঅ বল নিগানা।
১৭৭. তুই থাক মুই যা।
১৭৮. নোইত যায়, ধান শুগানা।
১৭৯, টাগল দারত্তুন শামী দাঙ।
১৮০. যাচ্ছিয়া ভাত ন খালে সাত দিন্যা উবাইত।
১৮১. নানু পালে কুঘুর বল।
১৮২. বুগ শমন দেগানা।
১৮৩, বাঘ মারাত উগুইন চানা।
১৮৪. একা বাইচে হাজার বাইত ঠেলে ।
১৮৫. যতারে যমেও ডয়াই।
১৮৬. ছআ ভুরে অগোল মাইত
১৮৭. কইয়াই ন ম, বইয়াই মএ।
১৮৮, চেরাগ তলে আন্ধার থাই ।
১৮৯, চোখ কান গোখ, দেত কান ন গোখ।
১৯০. দিন যায় ক্ষেণ ন যায়।
১৯১. আলস্যিআ মানচিএ নাপিয়াং ঝু।
১৯২. কর্জ খায় মইততে, জামিন অই ভইতে।
১৯৩. কুআ মুঅত ইছা পআনা।
১৯৪. মুখত দাড়ি বুগত কেত, তারে কই মত্ত বেত।
১৯৫. যা মরন য্যত, ন পানাই যায় স্যত।
১৯৬, জাতর মেলা কালাও ভালা।
১৯৭. নিজ মারাত পেসা নিজে নদেঘানা।
১৯৮. দারে উরে কামাকামি গআনা।।
১৯৯. ধন দিলে মইত, বুদ্ধি দিলে জিইত।
২০০. ঠক্কি নক্কি যে গ, ভাঙ্গা নত তে সএ।
২০১. বাঘ মারাত তাক।
২০২. খালি কুম বেগ বাজে।
২০৩. দানা থালে, কানা সেএ দিও নপএ ।
২০৪. নিজ ওজন নিজে নবুসানা।
২০৫. পাঅং পাঅং গাইচত উরং।
২০৬. টেন্যা পানিএ ঘোড়া বোএ।
২০৭. বাঘ্যাতুন শেয়াল্যা তিন বছর জেত।
২০৮. যে দেশত বৃক্ষ নাই, সে দেশত এরেন্ডা প্রধান।
তঞ্চঙ্গ্যা বানা বান্যা বা ধাধা হলো দুরুহ সমস্যা বা কৌতুহলজনক ব্যাপার আর মজার ব্যাপারও।
এককালে দাদু-দাদী সাথী-সংগীদের বা ছোট ছেলে-মেয়েদের নিকট পসন বা রূপকথা বলার সময় বানা বান্যা বা ধাঁধা উপস্থাপন করে জটলা বেঁধে জ্ঞান জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নোত্তর শুরু করতো।
আজকাল গ্রামাঞ্চলে বানা বান্যা প্রচলন নেই বললেই চলে। বর্তমানে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বানা বান্যা তাদের লোকজ সংস্কৃতি অংশ হিসেবে যা কিছু সংরক্ষিত আছে তা তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় উদ্ধৃতি করা হলোঃ
১. খালেও এক কা না খালেও এক খা- চামুক।
২. গুড়ে গুড় গুড়, ফাড়ে মাড়ি- লাঙ্গল।
৩. ধূজা সাগরত তালা ভাসে- সূর্য।
৪. ন পালে তগাই পালে ন আনে- পথ।
৫. গাইচ উবে পানি কআ- ডাব।
৬. এক বুজ্জ্যা খায়, দ্বি বুজ্জ্যা চায় তায়- মুখ ও দুটি হাটু।
৭. চিগন লগে কাড়া বুড়া অলে পারা- শন।
৮. বিল শুগালে বগা মরে- কেরোসিনের বাতি।
৯. খাইরে গুলা বুড় নাই- ডিম।
১০. শিরা নাই বুজ্জ্যা মাইনস্যরে গিলে- শার্ট।
১১. একুলত পানি ওকুলত যাই- মদ।
১২. লুরি টানিলে মোইন গুচরে- খেংখং।
১৩. এরি বিরিং তিরিংবাই, চোখ দ্বি-বা তার মারা নাই- কাঁকড়া।
১৪. জুমে জুমে ধুব ছাগল- কুমড়া।
১৫. চাল আগে তলা নাই- ছাতা।
১৬. গাছঅ উয়ে ছংআ জিল- কংচা।
১৭. ডইলে এক মুট, নডইলে এক বেয়ং- জাল।
১৮. কালাইয়া পুনত, রাংগাইয়া লেয়াই- পাতিলা।
১৯. দুইলে দুই পাই চালে নদেগে- কান।
২০. আইসো পের ভুরে মাছি গুচন- ঘ ভুরে মানুইত।
২১. লুরি টানিলে মোইন দুলে- দোলনা।
২২. মারি ফারি নিগে, চুল ধইলে ভাঙে- বাঁশ কড়ল।
২৩. পহঅর পেলে লগে থাই, আন্ধার পেলে লুগাই থাই- ছায়া।
২৪. পাইত ভায়ে তুলে চব্বিইত ভায়ে ঘিরে, এক ভায়ে ঠেলা দিলে দয্যার মধ্যে পড়ে- ভাত খাওয়া।
২৫. যার কাল্যা দেখা নাই, তারি এলে খআন।
লেচৎ ধুই ঘুরাইলে, জুরাই চিত পরান- পাখা।
২৬. সাত গাঙ সাশুইনাই, বাখকআ আইসেত গুচুনাই- বোট।
২৭. গাঙ কুয়ে কুয়ে বাঙ্গাল ঘ, আরু খুবি সালাং ঘ- কাঁকড়া গর্ত।
২৮. চাইতটেং উবা কাঙালত লেত- দোলনা।
২৯. লুরি টানিলে দুবা ঘনাই- চগা।
৩০. চাল উয়ে বো মুগো, ভাঙ্গি ন পাইলে বো শুগো- লাউ।
৩১. বো দজ্যাত চ উয়ে- ভাতের পাতিলা।
৩২. ইছ মারাত সুমি গিল, ত চিয়াবা তুই গিল- কচ্ছপ।
৩৩. মারি তলে পানি কোআ- ঠান্ডা আলু।
৩৪. এক ডুবা বাইত শুনিলে গুনি ন পুআই- চুল।
৩৫. পুগ গোই পএ জুঅ গোই থাই- মল।
৩৬. এক চিড়া ধানে ঘ ভএ- বাতি।
৩৭. ঘ ভুরে ঘ- মশারী।
৩৮. সাপপো যায় লেটটান থাই- তৈইচুমা।
৩৯. গারিলে বুজ্জ্যার গামচান ন বিছে- কচু পাতা।
৪০. খালে খা যায় খাবিলে কাবা ন যায়- পানি।
৪১. কালা কালা খে খাই, যে ভাঙ্গি ন পে তে লের খাই- কিছিক।
৪২. ঠেং আগে হাত নাই- পেন্ট।
৪৩. মা কানে পোয়া ডাঙ অয়- চরকা।
৪৪. উরি উরি যায় ধরি ন পায়- বাতাস।
৪৫. দুই আত দেই, আঙুল এক গইলে, ব্যাক খুশি উবাক কিছু বুচিলে-নমস্কার।