স্বাধীন ত্রিপুরায় পর্তুগিজদের স্মৃতিচিহ্ন

Jumjournal
Last updated Aug 31st, 2021

1478

featured image

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরাদের মাঝে একটা জনশ্রুতি আজও প্রচলিত আছে –

“বুইদেসিরা (অন্যদেশের লোক তথা বিদেশী শব্দের ককবরক সংস্করণ) তৎকালীন স্বাধীন ত্রিপুরা অধিভুক্ত চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে ত্রিপুরা মহারাজার কাছ থেকে কিছু জায়গা চেয়েছিল। তারা ত্রিপুরা মহারাজার কাছে বলেছিল যে, তারা শুধু প্রদীপের আলোক সীমা পর্যন্ত জায়গা পেলেই চলবে।

কিন্তু মহারাজা বুঝতে পারেননি যে, প্রদীপের আলোক সীমা বলতে ঠিক কতটুকু!! তিনি ভেবেছিলেন একটা প্রদীপই বা কতদূর আলো দেবে!! তাই তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন।

বুইদেসিরা এক পাহাড়ের উপর একটি বড় আকারের বাতি (প্রকৃত অর্থে সারিবদ্ধভাবে অনেকগুলো প্রদীপ হবে, কারণ তখনও ইলেক্ট্রনিক বাতি উদ্ভাবন হয়নি) জ্বালিয়েছিলেন আর যতদূর পর্যন্ত ঐ বাতির আলো দেখা গেল, ততদূর পর্যন্ত তারা নিজেদের ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে দখল করে নেয়। আর তখন থেকেই অঞ্চলটি বুইদেসিদের দখলে চলে যায়।”

এই জনশ্রুতি কতটুকু সত্য, তা যাচাই করাটা একান্ত আবশ্যক। কারণ, এসব জনশ্রুতির মাঝেও লুকিয়ে থাকতে পারে ইতিহাসের নানা অজানা অংশ। হয়তো হুবহু সত্য হতেও পারে, আবার হয়তো আংশিক সত্য হতে পারে।

কিন্তু, “একদম মিথ্যা” – এমন দাবী করাটা বোধয় ঠিক হবে না। সত্যি কথা বলতে কি, এই জনশ্রুতি যদি আমার জানা না থাকতো, তাহলে এই বিষয়ে মাথা ঘামানোর ইচ্ছা আমার কখনোই হতো না। আসুন, তাহলে একটু যাচাই করা যাক।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক বিবেচনায় প্রখ্যাত স্পেনীয় নকশা খোদাইকারী ও চিত্রশিল্পী Diego de Astor নামটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ১৬১৫ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজ বণিকদের জন্য “Descripção do reino de Bengalla” নামের একটি মানচিত্র এঁকেছিলেন।

(বিস্তারিতঃ এখানে)

মানচিত্র থেকে এটা স্পষ্ট যে, সেসময় বর্তমান চট্টগ্রামের নাম ছিল CHATIGAM, যা সম্পূর্ণ ত্রিপুরা ভাষা তথা ককবরকে উচ্চারিত ও ব্যবহৃত শব্দের সাথে মিলে যায়। ককবরকে “Chati” অর্থ হচ্ছে প্রদীপ আর “Gam” অর্থ হচ্ছে “ভালো”, অর্থাৎ “CHATIGAM” শব্দের অর্থ হচ্ছে “ভালো প্রদীপ” বা “উন্নত প্রদীপ”।

আবার, যারা চট্টগ্রামের ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে থাকেন, তারা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, চট্টগ্রামের ইতিহাস ভিত্তিক সর্বপ্রথম গ্রন্থ যিনি রচনা করেছিলেন, তিনি ছিলেন জাতিতে একজন ত্রিপুরা।

তিনি ছিলেন চট্টগ্রামেরই নিবাসী এবং স্থানীয় কর্মকর্তা – চৌধুরী শ্রী পূর্ণচন্দ্র দেববর্ম্মা। ১৯২০ সালে তিনি “চট্টগ্রামের ইতিহাস” গ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন, যা ২০০৪ সালে পুনরায় প্রকাশিত হয়েছিল।

বইটির সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল প্রায় ৬ মাস আগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিপন ত্রিপুরা এটি কিনেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে বইটি নিয়ে বেশ করেকবার পড়েছিলাম।

এখন সেসবের খুব একটা মনে নেই (বইটিও পাশে নেই)। যতদূর মনে পড়ে, বইটি আসলে বহু জানা-অজানা ইতিহাস তথ্যাবলি সম্বলিত একটি চমৎকার গ্রন্থ, যা সকলেরই পড়া উচিত বলে মনে করি।

চট্টগ্রামে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, যেমন মগ, বাঙালি, বড়ুয়া, মুগল, চাকমা, পর্তুগিজ, ইংরেজ প্রভৃতি জাতিগোষ্ঠীদের কীভাবে আগমন ঘটল তার সবই এই গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে।

সেইসাথে প্রাচীন চট্টগ্রামের এমন সব তথ্য রয়েছে, যা অন্য কোন বইয়ে নেই। সরাসরি বললে যা দাঁড়ায় – অন্যান্য গ্রন্থের চেয়ে এই গ্রন্থটি বহুগুণে নিরপেক্ষ।

চট্টগ্রাম নামকরণের পেছনে “চাটি” শব্দটি যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং এটি যে ত্রিপুরাদের ভাষা থেকে গৃহীত – সেবিষয়ে শ্রী পূর্ণচন্দ্র দেববর্ম্মা তাঁর গ্রন্থে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছেন। তিনি এটাও বলে দিয়েছেন যে, পর্তুগিজ বনিকরা পাহাড়ে অনেকগুলো প্রদীপ সারিবদ্ধভাবে জ্বালাতেন, যাতে করে দূর সমুদ্র থেকে নৌযানগুলো দেখতে পায় এবং তীরে আসার সুযোগ লাভ করে।

তাছাড়া, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক জামাল উদ্দিন তাঁর “পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস” গ্রন্থে ৩৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন – “‘চাটি’ শব্দের অর্থ প্রদীপ, মাটির প্রদীপ। ‘চাটি’ আরবী বা ফারসী শব্দ নয়, চাটি এ-দেশীয় শব্দ।”

লেখক জামাল উদ্দিন অবশ্য “চাটি এ-দেশীয় শব্দ” বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন, সেটি স্পষ্ট করেননি। তবে, আমার জানা মতে, প্রদীপ অর্থে “চাটি” শব্দটি ত্রিপুরারা বাদে বাংলাদেশের অন্য কোন জনগোষ্ঠী ব্যবহার করেন না।

এমনকি এই শব্দটি কেবল বাংলাদেশের ত্রিপুরারা নয়, বরং ত্রিপুরা রাজ্য, মিজোরাম, আসামের ত্রিপুরারাও ব্যবহার করে থাকেন। কাজেই, “চাটি” শব্দটি যে ত্রিপুরা ভাষা থেকে নেওয়া, সেটি লেখক দ্বিধাহীনভাবে বলে দিতে পারতেন। কেন তিনি সেটা করেননি, তিনিই ভালো বলতে পারবেন। হয়তো “চাটি” শব্দটির উৎস বিষয়ে তিনি ঘাঁটাঘাঁটি করেননি।

উপরোক্ত তথ্যাবলি থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, অনেকগুলো প্রদীপের আলোগুলোকে দূর থেকে দেখলে এক প্রকার বড় আকারের বাতির আলো বলে মনে হতো, ঠিক যেমনটা স্থানীয় ত্রিপুরারা ভাবতেন।

তখন থেকে সেখানকার স্থানীয় ত্রিপুরারা উক্ত সারিবদ্ধ প্রদীপগুলোকে “উন্নত প্রদীপ” তথা চাটিগাম (CHATIGAM) নামে চেনে এবং ধীরে ধীরে এলাকাটির নাম চাটিগাম নামে পরিচিতি পায়। আর যে পাহাড়ে বাতি জ্বালানো হয়েছিল সেই পাহাড়টিই কালের পরিক্রমায় আজকের “চেরাগীপাহাড়” কিনা, নাকি সেই স্মৃতিচিহ্ন এখন আর নেই – এসব অবশ্য গবেষণা সাপেক্ষ্যের বিষয়।

কারণ, প্রায় ৫০০ বছরের ব্যবধানে অনেক কিছুই মুছে যাওয়া অসম্ভব কিছুই নয়। হয়তো সেসব বিষয় এখন আর জনশ্রুতিতে প্রচলন নেই। হয়তো নেই কোন নথিভুক্ত তথ্য।

এখন, প্রশ্ন উঠতে পারে যে, পর্তুগিজ বণিকরা আসা মাত্রই ত্রিপুরা মহারাজার কাছে ভূমি চেয়ে বসলো আর মহারাজাও মুহূর্তে অনুমতি দিলেন? আসলে ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। বরং এটি ছিল দুপক্ষের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের নিশান।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলের প্রকাশিত ফোল্ডারে উল্লিখিত তথ্য মতে – “Historically Chittagong was a small fishing village in the ancient kingdom of Tipperah.” ত্রিপুরাদের এই “Fishing Village”-টি বরাবরই ত্রিপুরা মহারাজাদের শাসনাধীনে ছিল।

কিন্তু দশম শতাব্দীতে এর উপর আরাকানীরা প্রথম আক্রমণ চালায় এবং দখলে নিয়ে নেয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এটি পুণরায় ত্রিপুরা শাসনাধীনে চলে আসে এবং পরবর্তীতে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা-আরাকান যুদ্ধ চলতে থাকে। এরই মাঝে ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগীজদের আগমন ঘটে।

পর্তুগিজ বণিকরা যুদ্ধে অস্ত্র চালনায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাদের কাছে বন্দুক, গোলা-বারুদের মজুদ ছিল। তাই ত্রিপুরা মহারাজা Fishing Village থেকে আরাকানীদের হটানোর জন্য পর্তুগিজ বণিকদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং তাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

আর পর্তুগীজ বণিকদের প্রয়োজন ছিল ব্যবসা করার জন্য সুনির্দিষ্ট জায়গা। তাই তারা ত্রিপুরা মহারাজার পক্ষ নেন এবং “Fishing Village” থেকে আরাকানীদের হটানোর জন্য যুদ্ধে সহযোগিতা করেন।

বিনিময়ে তারা লাভ করেন বন্দর গড়ে ব্যবসা করার অনুমতি, যার ফলশ্রুতিতে তারা “Porto Grande অর্থাৎ পর্তুগীজদের বন্দর গড়ে তোলেন এবং এটি রক্ষার্থে তারা নানাভাবে যুদ্ধে লিপ্ত হন।

এসব যুদ্ধের ফলে স্থানীয় ত্রিপুরারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। কিন্তু ততদিনে তাদের উচ্চারিত “CHATIGAM” নামটিই পর্তুগিজদের মানচিত্রে স্থান পায়।

পর্তুগিজদের সাথে ত্রিপুরা রাজন্যবর্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বরাবরই অটুট ছিল, যার ফলশ্রুতিতে ত্রিপুরা রাজ্যে “Mariam Nagar” নামক স্থানটির নামকরণ করা হয়। এবিষয়ে কিছু রেফারেন্স নিম্নে তুলে ধরা হলঃ-

(১) গত বছরের ৩১ মার্চে “Hindustan Times” পত্রিকায় “Tripura’s Portuguese settlers struggle to retain their cultural identity” শিরোনামের একটি প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছে –

“A small group of Portuguese merchants landed in Tripura in the 1530s during the reign of the then Manikya dynasty ruler, Indira Manikya. He had invited the mercenaries stationed in Chittagong and Noakhali (now in Bangladesh) to thwart a challenge to his regime by local opponents. Four merchants stayed back as ‘subedars’ of the royal family, Laggardo said. The king allotted them land in the Khayerpur area, on the outskirts of Agartala, which is now known as Mariamnagar, named after Mother Mary. There are about 60 Portuguese families from eight communities living there.” (বিস্তারিতঃ https://www.hindustantimes.com/…/story-jeUvXT4JrQ6NGAEHs6OL…)

(২) Taniya Gupta ও Antonia Navarro-Tejero এর লেখা “India in Canada: Canada in India” গ্রন্থের ২৩ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে – “They had helped the kingdom of Tripura to capture the port from the kingdom of Arakan in 1586.”

(৩) http://www.chai-online.net/html/Journal1.htm – সাইটে বলা হয়েছে – “King Amar Manikya first employed the Portuguese mercenaries of Chittagong and Noakhali in his army to ward off the Mughals of Arakan and the Chittagong hills adjoining his state. The state’s capital was then at Udaipur. When the capital was shifted north to Agartala around 1760, these Firingis, by then greatly reduced in number, settled down at cannoniers in the army and as cultivators in the rent-free land given to them. They called their village Mariamnagar.”

(৪) https://www.indianetzone.com/68/churches_tripura.htm – সাইটে বলা হয়েছে – “Mariam Nagar church is situated amidst the majestic natural beauty in a lush green backdrop in Mariam Nagar, which is considered as a historical site near Agartala. It is an ancient Catholic Church and was initially used by Portuguese settlers. Tripura had witnessed momentary settlement of Portuguese in the state in 1577 during the war of King Amar Manikya against the rampaging Mog tribal army. The King had sought the help of Portuguese as mercenaries in the war which resulted in their settlement. The war had ended in the year 1585 with their help. These Portuguese later shifted to Mariam Nagar in the period when king Krishna Kishore Manikya had shifted his capital to Agartala from ‘Purani Haveli” in 1838. However the descendents of the Portuguese settles had by now blended with the local population. Mariam Nagar Church built during that era still stand as an important place of worship for Christians and as a magnificent monument narrating an aspect of India’s history.”

(৫) http://vincentiancongregation.org/home/inst/4904/11918 – সাইটে বলা হয়েছে – “The history of Christian faith in Tripura starts from the 17th century. Records show that fr. Ignatius Gomes, a Jesuit priest visited the Christians in Tripura in the year 1683. Up until 1843 the Catholics in Tripura were left without a priest. On 16th may 1843, Fr. Barbe, the pastor of Chittagong visited the Catholics. He stayed in one of the houses of catholic for six days. These people who had settled in Tripura were of Portuguese descent and had come from Chittagong and Noakhali to work in the Raja’s army. The Tripura raja, Amar Manikya employed the Portuguese mercenaries in his army to ward off Moghs of Arakan and the Chittagong hill tracts adjoining his state. Later around 1760, when the capital was shifted from Udaipur to Agarthala, these mercenaries settled in the rent-free land given to them, they called their village Mariam Nagar.”

(৬) http://donboscoindia.com/e…/bisdirectory/directoryHouse.php… – সাইটে বলা হয়েছে – “Mariam Nagar, close to Agartala, is historically important in the annals of the Church in Northeast India. It boasted of a well-established catholic population and centre as far as back as 1683, with a colony of Portuguese soldiers at the service of the Debbarma King.”

(৭) ইউটিউবে প্রকাশিত (https://www.youtube.com/watch?v=kBLIKSOSWus) “Known unknown facts of Tripura” শিরোনামের একটা ভিডিওতে বলা হয়েছে – “Standing amidst the lush green lap of nature, seven KMs east of Agartala, Mariam Nagar is actually a historical site. The Catholic Church in this sparsely populated pastoral scenario had once been used by Portuguese settlers. Tripura’s momentous contact with Portuguese, settled in Chittagong in present Bangladesh, had commenced in 1577 when king Amar Manikya had sought their help in his war. The Portuguese who had fought for the king as mercenaries settled down in Tripura after the war had ended in 1585. When king Krishna Manikya shifted Tripura’s capital from Udaipur to “Puran Haveli” in 1760 the Portuguese, though considerably reduced in number by then, settled there. But they settled down in Mariam Nagar when Krishna Kishore Manikya (1830-1849) shifted capital from “Puran Haveli” to present Agartala in 1838. The descendants of the original Portuguese settlers have by now ethnically and culturally melted down in the local population, but the 169 Years old Church still remains the place of worship and an attractive structure.”

অবশ্য, বর্তমানে ত্রিপুরা রাজপরিবারের সাথে ত্রিপুরায় বসবাসরত পর্তুগিজদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আছে কিনা – সেবিষয়ে আমার জানা নেই। তবে, “Hindustan Times” পত্রিকায় “Tripura’s Portuguese settlers struggle to retain their cultural identity” শিরোনামের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তারা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় হারিয়ে ফেলেছেন।

কাজেই, তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় টিকিয়ে রাখতে ত্রিপুরা রাজপরিবার, রাজ্য সরকার, এমনকি রাজ্যের খ্রিস্টান সম্প্রদায়রা যে কখনো অগ্রণী ভূমিকা পালন করেনি, সেটা অনেকটা পরিষ্কারভাবে বুঝা যায়।

অথচ, তাদেরকে এবিষয়ে সহযোগিতা করা যেতো। পারতপক্ষে, তাদের বিষয়ে ভারতে অবস্থানরত পর্তুগাল দূতাবাসে (Portuguese Embassy in New Delhi, India) তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা প্রদান করা যেতো। আশা করি, সেটাই করা হোক। এতে করে ত্রিপুরার নাম হয়তো আরেক উচ্চতায় পৌঁছাবে।

লেখক: মুকুল ত্রিপুরা

জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।

আরও কিছু লেখা