গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সকল ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের
918
দীপ্ত ডকুমেন্টারিঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ১নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা-১৭ঃ “গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সকল ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের”
আজ ১৬ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। “বাংলাদেশ” নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ৯ মাস যুদ্ধে যেসকল ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ-যুদ্ধে অপরিসীম অবদান রেখেছেন, আজ সেসকল ত্রিপুরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যালোকে ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ‘অসম্পূর্ণ তালিকা’ নিম্নে প্রদত্ত হলঃ-
১। হেমদা রঞ্জন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি (কোম্পানি কমান্ডার, পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দলের সর্বপ্রথম সংগঠক)
২। সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি (মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার)
৩। প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
৪। নীলোৎপল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
৫। রণ বিক্রম ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
৬। কান্ত রাম ত্রিপুরা, বান্দরবান (একাত্তরের লড়াকু যোদ্ধা)
৭। সঞ্জয় দেববর্মা, হবিগঞ্জ
৮। মহেন্দ্র দেববর্মা, হবিগঞ্জ
৯। গোবিন্দ দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১০। সোনা মনি দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১১। দেবেন্দ্র দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১২। ব্রজেন্দ দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১৩। দীনেশ দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১৪। রাজপদ্ধ দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১৫। ভদ্র মনি দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১৬। যতিন্দ্র দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১৭। বিনয় দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১৮। সচিন্দ্র দেববর্মা, হবিগঞ্জ
১৯। ইন্দ্র মনি দেববর্মা, হবিগঞ্জ
২০। হরেন্দ্র দেববর্মা, হবিগঞ্জ
২১। বিধু দেববর্মা, হবিগঞ্জ
২২। গুন মনি দেববর্মা, হবিগঞ্জ
২৩। গোপাল নদ্র দেববর্মা, হবিগঞ্জ
২৪। বসন্ত কুমার ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি
২৫। লক্ষীধন ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি
২৬। বিজয় কুমার ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি
২৭। নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
২৮। বেনু রায় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
২৯। রথীন্দ্র ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩০। সুরেশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩১। হৃদয় কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩২। পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩৩। নির্পধন ত্রিপুরা (নির্পদ), খাগড়াছড়ি
৩৪। নীল কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩৫। ভাগ্যধন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩৬। ভুপেন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩৭। জয় কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩৮। অন্ন কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৩৯। মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৪০। ভূপেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৪১। হরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৪২। বিন্দু কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৪৩। ব্রজেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৪৪। লোকনাথ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৪৫। যুগল দাশ বৈষ্ণব (ত্রিপুরা), খাগড়াছড়ি
৪৬। রঞ্জিত দেববর্মন, খাগড়াছড়ি
৪৭। কালাচান দেববর্মন, খাগড়াছড়ি
৪৮। নীলা মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৪৯। প্রিয় জ্যোতি রোয়াজা, খাগড়াছড়ি
৫০। রাজেন্দ্র ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫১। রঞ্জিত ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫২। ফিলিপ বিজয় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫৩। গগণ চন্দ্র ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫৪। ভুবন মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫৫। মণীন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫৬। বোদন কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫৭। কর্ণ মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫৮। লাল মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৫৯। ভূটেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৬০। পূর্ণ মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৬১। চিত্ত কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৬২। বিজয় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি
৬৩। ল্যান্স নায়েক অরিন্দ্রা ত্রিপুরা (ঠিকানা জানা যায়নি)
৬৪। ভুবন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি (সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত)
৬৫। সিরাজন ত্রিপুরা, বান্দরবান
এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন, মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন, খাদ্য-আশ্রয়সহ নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন – এরূপ কিছু ব্যক্তির নাম নিম্নে তুলে ধরা হলঃ-
১। বরেন ত্রিপুরা, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, খাগড়াছড়ি
২। শিবরাম রোয়াজা, (পরশুরাম মৌজার হেডম্যান, রামগড়), খাগড়াছড়ি
৩। শুধাংশু কার্ব্বারী (পাগলা পাড়া, রামগড়), খাগড়াছড়ি
৪। বিলাসিং কার্ব্বারী (শহীদ), কুমারী পাড়া, রামগড়, খাগড়াছড়ি
৫। সুরেন্দ্র ত্রিপুরা (গাড়ীটানা, মানিকছড়ি), খাগড়াছড়ি
৬। সুবিলা ত্রিপুরা (শহীদ), বান্দরবান
এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় কালিগজিয়া গ্রামে “ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ-১৯৭১” নির্মাণে ভূমি দান করেছেনঃ ঈশান দেববর্মা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ শিক্ষিত ত্রিপুরারা মনে করেন, ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা শতেরও অধিক হয়ে থাকতে পারে।
কারণ, অনেক ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধা পড়ালেখা জানতেন না এবং তাদের পেশাও ছিল দিনমজুর কিংবা জুমচাষী।
কাজেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র যে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে তাদের খেয়ালও ছিল না।
এই সনদপত্র যে তাদের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে কাজে আসবে, এমনকি ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে যে কাজে দেবে, সে বিষয়েও তারা অবগত ছিলেন না।
তাছাড়া, তারা তো আর সনদপত্র পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেননি, তারা যুদ্ধ করেছেন বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য। অনেকে আবার ইতিমধ্যে মারা গিয়েও থাকতে পারেন। স্বভাবত এভাবেই তারা “মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তকরণ” থেকে বাদ পড়েছেন।
যেসকল তথ্যসূত্রের আলোকে ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে, সেসকল তথ্যসূত্রের লিঙ্কসমূহ নিম্নে প্রদত্ত হলঃ-
১। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/posts/259019361611806
২। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/posts/259019714945104
৩। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/posts/259018931611849
৪। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/posts/285737865606622
৫। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/posts/259021204944955
৬। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/posts/259020344945041
৭। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/posts/259025608277848
৮। https://www.facebook.com/tpr.mukul.ark/photos/a.259071254939950/321994661980942
পরিশেষে, ১৯৭১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদত্ত ডকুমেন্টারি ভিডিওটি দেখার ও শেয়ার করার জন্য সকলের প্রতি বিনীত আহবান থাকলো।
প্রতিবেদনটি পরিবেশনের জন্য ‘দীপ্ত টিভি’ চ্যানেলকে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ।
লেখক : মুকুল ত্রিপুরা
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।