পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানকে মেনে নেয় নি
4341
যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কার্যত মিত্র শক্তির পক্ষে চলে গেলো, তখন ব্রিটিশ সরকার মুসলমানদের জন্যে আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে ভারতের উপর থেকে সার্বভৌমত্বের দাবী ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
লর্ড ওয়াভেল অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে নিয়ে ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে সিমলাতে এক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
ভারতের স্বাধীনতা ও বিভাজন অপরিহার্য পরিণতি আঁচ করতে পেরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকে একটি স্মারকলিপি হাতে ধরিয়ে দিয়ে ওয়াভেল আহুত সম্মেলনে পাঠানো হয়।
উদ্দেশ্য ছিলো কংগ্রেসের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব ও অন্যান্য নেতাদের সাথে সাক্ষাত করা। সেখানে পন্ডিত জওহরলাল নেহরু ও মওলানা আবুল কালাম আজাদ সাহেবের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে দীর্ঘ আলাপ হয়।
পরে ১৯৪৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক দাবী সম্বলিত আবারো একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।
আমাকে (স্নেহকুমার চাকমা) পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত ভারতীয় সাংবিধানিক পরিষদের নিখিল ভারত বহির্ভূত এলাকা উপ-কমিটিতে (All India Excluded Areas Sub-Committee of the Constituent Assembly of India for CHT) মনোনীত করা হয়। ঐ কমিটিতে আমি ১৯৪৭ সালের ৩ এপ্রিল রাঙামাটিতে বসি।
যেই মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছিলো এবং যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসমিতি বলিষ্ঠ ও কঠোর কর্মসূচীর দাবী জানাচ্ছিলো, সেই মুহুর্তে আমাদের সভাপতি কামিনী মোহন দেওয়ান তার শারীরিক সমস্যা ও মানসিকভাবে হতাশা দেখালেন।
ফলে ১৯৪৭ সালের মে মাসে প্রতুল চন্দ্র দেওয়ানকে সভাপতি ও ঘনশ্যাম দেওয়ানকে ফিল্ড কমান্ডার করে একটি সংগ্রাম কমিটি গঠনের দায়িত্ব সংগঠনের পক্ষ থেকে আমার উপর অর্পন করা হয়।
৩০ জুন ১৯৪৭, গভর্ণর জেনারেল কর্তৃক বঙ্গীয় সীমানা কমিশন (Bengal Boundary Commission) ঘোষণা করা হয়, কিন্তু কমিশনের কার্যপরিধি অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ ও অস্পষ্ট ছিলো।
আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভারতীয় সাংবিধানিক পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম। আমি সবচেয়ে জরুরী যে কাজগুলো করেছিলাম, সেগুলো হলো,
১) পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর সাথে আলাপ করি। তিনি বলেছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর [বঙ্গীয় সীমানা] কমিশনের কোন এখতিয়ার নেই।
২) ১৪ জুলাই ১৯৪৭ তারিখে বঙ্গীয় সীমানা কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করেছিলাম।
৩) বঙ্গীয় সীমানা কমিশনের শুনানী এর চেয়ারম্যান স্যার সিরিল রেডক্লিফকে ছাড়া ১৬ জুলাই ১৯৪৭ তারিখ থেকে শুরু হয়। ১৯ জুলাই ১৯৪৭ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রেরিত স্মারকলিপির উপর হট্টগোলের মধ্য দিয়ে ৯১ মিনিট শুনানী চলে।
আমার আশংকা ছিলো নিম্নোক্ত কারণে [বঙ্গীয় সীমানা] কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপ করতে পারে;
১) মূল ট্রামকার্ড স্যার রেডক্লিফ পার্বত্য চট্টগ্রামের পক্ষে বক্তব্য শোনার জন্যে উপস্থিত ছিলেন না;
২) কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভার স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে একটি শব্দও উল্লেখ ছিলো না;
৩) [বঙ্গীয় সীমানা] কমিশনের দু’জন মুসলিম সদস্য এবং মুসলিমলীগের আইনজীবী আমার আইনজীবী ও কমিশনের অপর অ-মুসলিম সদস্যদের সাথে জানে প্রাণে যুক্তিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
তাই আমি দিল্লীতে ছুটলাম এবং আমার হতাশার কথা পন্ডিত নেহরুকে জানালাম। তিনি তার পুরনো সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকেও জানালাম। তিনিও কসম খেয়ে বললেন, তিনি স্যার রাডক্লিফকে জোরালোভাবে চিঠি লিখবেন।
ইতোমধ্যে ভারত স্বাধীনতা আইন, ১৮ জুলাই, ১৯৪৭ (the Indian Independence Act of 18 July, 1947) আমার হাতে এসে পৌঁছলো।
গুজব ছড়িয়ে পড়লো বিচারপতি বিজন মুখার্জী ও বিচারপতি চারু বিশ্বাসের (বঙ্গীয় সীমানা কমিশনের অ-মুসলিম সদস্য) উপস্থাপিত সাত পাতার যুক্তিতর্ক স্যার রেডক্লিফ খারিজ করে দিয়েছেন এবং অগ্নিশর্মা হয়ে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে সর্দার বল্লভভাইয়ের পাঠানো চিঠিটা দুমড়েমুচড়ে ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন।
এক ভোর রাতে সর্দার প্যাটেলের কাছে দ্রুত ছুটে গেলাম। শপথ নিয়ে বললাম, “আমি পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরে যাচ্ছি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ হিসেবে ঘোষণা দেবো। যদি অন্যথা হয়, তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত হচ্ছি! মশায়, তুমি কী আমাদের পেছনে থাকবে?”
“নিশ্চয়ই! আমি তোমার সাথে আছি, পার্বত্য চট্টগ্রামের পেছনে আছি। ফিরে যাও তাড়াতাড়ি”। সর্দার প্যাটেল সত্যিকার অর্থে সর্দার ছিলেন!
আমি রাঙামাটিতে ফিরে এলাম। ৪ আগস্ট ১৯৪৭ আমার উপকমিটির সভাপতি শ্রী এ ভি ঠক্করকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে অবহিত করলাম।
১৪ ও ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭। দুই দিনের সন্ধিক্ষণে যখন ০০.০০টা বাজে, তখন আমার নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটিসহ ১০০০ লোকের সমাবেশ নিয়ে ডেপুটি কমিশনারের বাংলোতে গেলাম। ডেপুটি কমিশনার কর্ণেল জি.এল হাইড (Col. G.L. Hyde) বের হয়ে এসে আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন।
“স্যার, ভারত কী এখন স্বাধীন?”
“হ্যাঁ, এখন থেকে আপনারা স্বাধীন”।
“ভারতবর্ষ স্বাধীনতা আইন অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অংশ তো?”
“হ্যাঁ, ভারতবর্ষ স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত রাষ্ট্রের সীমারেখার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত”।
“তাহলে আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিত নয় কী?”
“হ্যাঁ। কিন্তু আমরা ব্রিটিশরা সুর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলন করি। অনুগ্রহ করে ভোরে আসেন এবং ফুটবল মাঠে জনসমাবেশের সামনে ভারতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। আমিও যাবো এবং সালাম জানাবো।
তারপর থেকে আমার অফিসে ও বাসায় ভারতীয় পতাকা সুশোভিত করে রাখবো। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবো।অনুগ্রহ করে আমার পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে আপনারা আসবেন”।
আমাদের প্রবীণ নেতা কামিনী মোহন দেওয়ান আমাদের সকল অনুরোধ উপেক্ষা করায় সংগ্রাম কমিটি আমাকে ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করতে বলে। শোভাযাত্রায় আমরা ডিসিকে অনুসরণ করি এবং পতাকা উত্তোলনের সরকারী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। সব জায়গায় বার্তা পাঠানো হয়েছিলো।
আমি যখন রাঙামাটিতে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করছিলাম তখন কিছুই জানতাম না পন্ডিত নেহরু পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে বি.এন র-এর (B.N. Raw) একটি গুরুত্বপূর্ণ (কিন্তু বিলম্বিত) বার্তা সর্দার প্যাটেলের কাছে প্রেরণ করেছিলেন।
১৭ আগস্ট ১৯৪৭ তারিখে বিকেল বেলায় রেডক্লিফ ঘোষিত সিদ্ধান্ত (the Radcliffe Award), তাং ১২ আগস্ট ১৯৪৭, রেডিওতে প্রচার করা হয়, সেখানে আভাস দেওয়া হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বঙ্গীয় সীমানা কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে থাকবে।
পরদিন সকাল বেলায় সংগ্রাম কমিটি তাড়াতাড়ি বসে ১৯ আগস্ট ১৯৪৭ ডিসি’র বাসভবনে একটি জরুরী সভা আহবান করার সিদ্ধান্ত নেয়। চাকমা রাজা ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সে সভায় চাকমা রাজা ও কামিনী মোহন দেওয়ানসহ আরো অনেকে অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তবলী সমর্থন করেন।
১) পার্বত্য চট্টগ্রাম রেডক্লিফ ঘোষিত সিদ্ধান্ত মানবে না;
২) প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এবং স্থানীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ স্কোয়াড গড়ে তোলা হবে;
৩) অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ ও ভারতের সমর্থন লাভের জন্যে স্নেহ কুমার চাকমা অবিলম্বে যাত্রা শুরু করবেন। তিনি তৎক্ষণাত গ্রেফতার এড়ানোর জন্যে সতর্ক থাকবেন।
সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে বার্তা প্রেরণের পর ১৯ আগস্ট ১৯৪৭, বিকেল ৩.০০ টায় রাঙামাটি ত্যাগ করি। পায়ে হেঁটে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত অতিক্রান্ত করার লক্ষ্যে রামগড়-সাব্রুম (পার্বত্য চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা)-এ চলে যাই।
আমার সঙ্গে ছিলেন ইন্দ্রমণি চাকমা (সহকর্মী) এবং গিরিশ দেওয়ানের সেনানায়কত্বের অধীনে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি সশস্ত্র দেহরক্ষী দল। ২০ আগস্ট ১৯৪৭ সাব্রুমে প্রবেশ করি এবং ২১ আগস্ট ১৯৪৭ আগরতলায় যাই।
আমি শিলং যাই এবং সেখান থেকে ২৫ আগস্ট ১৯৪৭ কলকাতায় পৌঁছি। সেখান থেকে সর্দার প্যাটেলকে তারবার্তা পাঠাই।
কয়েকদিনের মধ্যে সর্দার প্যাটেলের আমার সঙ্গে কথা হচ্ছিলো। “আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছি। আমাকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের জন্যে পাঠানো হয়েছে”।
“শুধু অস্ত্র আর গোলা বারুদ?”
“হ্যাঁ, শুধু অস্ত্র আর গোলা বারুদ। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ নিজ ভূমিতে লড়াই করতে প্রস্তুত। তারা বর্তমানে প্রয়োজনীয় যে কোন অস্ত্র চালাতে পারবে”।
“আমি অস্ত্র আর গোলা বারুদ যোগান দিতে আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কিন্তু তুমি কী জানো আমি হলাম একজন ডেপুটি? আমার কী ‘প্রাইম’ নেই?”
“তুমি কী আমাকে পন্ডিত নেহরুর কাছে ঠেলে দিতে চাচ্ছো?”
“হ্যাঁ, তুমি আগে তার সাথে দেখা করো”।
“তাহলে কী তোমার সাথে আবার দেখা করতে পারি?”
“এসো এবং জানিও”।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করতে আমার প্রায় ৫০ দিন লেগে গেলো। “আমি পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারতের কাছে ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছি। আপনি কী আমাকে কেবল অস্ত্র আর গোলা বারুদ সরবরাহ করবেন?”
ভারতের মহান প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত নেহরু তার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠলেন এবং মাথায় বাজ পড়ার মত করে বলে উঠলেন, “তুমি কী ভারতকে আবার বিদেশী শাসনে নিয়ে আসার প্রস্তাব করছো?”
আমি সর্দারকে এ সংবাদ জানিয়ে বিব্রত করতে সাহস করিনি। কলকাতায় ফিরে গেলাম এবং নিজেদের কী কী আছে তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করতে লাগলাম।
২৪ জানুয়ারী ১৯৪৭, জাতিসংঘে একটি তারবার্তা প্রেরণ করলাম এবং নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণের কাছেও টেলিগ্রাম পাঠালাম-
১. মহাত্মা গান্ধী
২. মাননীয় পন্ডিত জওহর লাল নেহরু
৩. মাননীয় সর্দার প্যাটেল
৪. মাননীয় ড. শ্যামপ্রসাদ মুখার্জী
৫. সম্পাদক, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব ইন্ডিয়া, নতুন দিল্লি।
২৯ জানুয়ারী ১৯৪৮ আমার পাঠানো তারবার্তা ও টেলিগ্রাম সম্পর্কে নিশ্চিত হলাম এবং জাতিসংঘের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করলাম। খুব সম্ভবত ১৯৪৭-এ আগস্টের শেষ সপ্তাহ এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গীয় সীমানা কমিশনের দু’জন অ-মুসলিম সদস্য (বিচারপতি বিজন মুখার্জী ও বিচারপতি চারু বিশ্বাস) ভারতীয় নেতাদের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে রেডক্লিফের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান জানাতে নতুন দিল্লিতে যান।
নেহরুজীর কাছে আমি যা শুনেছিলাম তারাও বোধয় সেই একই কথা শুনেছিলেন। [বঙ্গীয় সীমানা] কমিশনে আমার আইনজীবীও একই উদ্দেশ্য নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু গান্ধিজী তার মুখ থেকে “পার্বত্য চট্টগ্রাম” শব্দটাই বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন।
সর্দার প্যাটেল ও আরো অনেকের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ মনে করেছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর যে অন্যায় করা হয়েছিলো সেটা শোধরানোর জন্যে ভারত সরকারের সমর্থন দান করার একটা বিশেষ অধিকার(locus stand) ছিলো এবং এ বিষয়ে আবারও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
তথ্যসূত্রঃ এ লেখাটি স্নেহ কুমার চাকমা কর্তৃক আমস্টারডামে ১০ -১১ অক্টোবর ১৯৮৬ তারিখে অনুষ্ঠিত CHADIGANG CONFERERNCE -এ পঠিত ইংরেজী প্রবন্ধ CHT opposed Pakistan-এর বাংলা অনুবাদ। স্নেহ কুমার চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম, যিনি অমুসলিম অধ্যূষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যূষিত পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। সেই অজানা ইতিহাসের এক টুকরো পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো।
অনুবাদকারী: অডং চাকমা (https://goo.gl/83qmUC)
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।