ম্রো রূপকথা: চাফির সাংচিয়া (যমজ ভাই-এর গল্প)
1013
মুম আর মীয়া হলো যমজ ভাই। এদের আর কোন ভাই-বোন ছিলো না। এদের মা-বাবা ছিলোনা। একদিন গ্রীষ্মকালে কাঠফাটা দুপুরে শিকার করতে গিয়ে তাদের বাবা মারা যায়।
আর গ্রীষ্মকালে অসহনীয় গরমের মধ্যে সন্তান প্রসবকালীন অর্থাৎ মুম-মীয়া ভূমিস্থ হওয়ার পরপরই তাদের গর্ভধারিনী মা মারা যায়। যার ফলে তারা মায়ের স্নেহ ও বাবার আদর থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হয়। তাদের লালন-পালনের ভার পড়ে তাদের বুড়ি দাদীমার উপর।
দিন যায়, মাস যায়, বৎসর যায়। মুম আর মীয়া দিনে দিনে বড়ো হতে লাগলো। মুম আর মীয়া পাড়ার অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের মতো ছিলোনা। তাদের চরিত্র ছিলো অন্যান্যদের চেয়ে সম্পূর্ণ ব্যক্তিক্রমধর্মী।
তারা বয়োজ্যেষ্ঠদের কোন কথায় কর্ণপাত করতো না। কোন বৃদ্ধের কথাও মেনে নিতে রাজী হতো না। এমনকি দাদীমার কথা পর্যন্ত তারা শুনতোনা।
তাদের ইচ্ছে মতো খেলাধুলায় মেতে থাকতো। পাড়ার অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের খেলনা জোরপূর্বক কেড়ে নিতো। আবার তাদেরকে মারধরও করতো।
পাড়ার গরু-ছাগল, হাঁস-মুরুগীর উপর অত্যাচার করতো গাছে কোন ফল থাকতে পারতো না। আম-কাঁঠালের গাছে ফল দেখলে তারা আনন্দে হৈচৈ করতো। এ ছিলো তাদের দৈনন্দিন কাজ কারবার।
গ্রামবাসীরা তাদের উপর বিরক্তিবোধ করতো। তবুও তাদের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হতো না। তাদের আচরণের জন্য বুড়ি দাদীমা বারবার অন্যদের নিকট ক্ষমা চাইতো এবং অন্যদের নিকট হতে মানসিকভাবে নির্যাতিত হতো। পাড়াবাসীদের সমস্ত কত্যুক্তি বুড়িকে শুনতে হতো।
দিনটি ছিলো রোববার। প্রতিদিনের মতো সেদিনও কিশোর মুম-মীয়া তাদের দৈনন্দিনের কর্মসূচি অনুসারে কর্মক্ষেত্রে নেমে পড়লো।
ঐদিন বুড়িদাদীমা সুতাকাটছিলো। এমন সময় শুনা গেলো একজন ছেলের আর্ত চিঙ্কার। মুম আর মীয়া ছেলেটিকে মারধর করছিলো। তখন ছেলের বাবা বুড়ি দাদীকে অপমান করে চলে গেলো।
বুড়ি অপমান আর সহ্য করতে না পেরে ওদের দুজনের প্রতি কিছু কত্যুক্তি করছিলো।দাদীর কথা শুনা মাত্রই তারা ছুটে এলো দাদীর কাছে।
মুম প্রশ্ন করেঃ দাদী, তুমি আমাদেরকে কেন গালি দিচ্ছো? দাদীঃ কই? নাতো। আমি এমনি নিজে নিজে আবোল-তাবোল বকছি।
মীয়াঃ না, দাদী, নিশ্চয় আমাদেরকে বকা দিয়েছে তুমি। না, না আমি কেন তোমাদেরকে বকা দিবো? আমি তো তোমাদের দাদীমা। যাওগে, খেলা কর। দু’ভাই চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পরে আবারও এক বাচ্চার কান্নার আওয়াজ দাদীর কানে এলো। দাদী তখন চিৎকার করে বলল মুম-মীয়া, তোমরা থামো। তোমরা কেন এতো উগ্র, এতো চঞ্চল।
এ কারণেইতো তোমরা মা-বাবার মুখ দেখতে পাওনি। এ কারণেইতো তোমরা মাবাবার আদর স্নেহ ও উপদেশ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তোমরা কি জাননা, তোমাদের মা-বাবাকে কে খুন করেছে?
মুমঃ জানি না, দাদী। আমাদেরকে বলে দাও।
মীয়াঃ আমাদের মা-বাবাকে কে খুন করেছে তা আজ অবশ্যই বলতে হবে, দাদী।
দাদীঃ ঠিক আছে। শুন, বলছি। তোমাদের মা-বাবাকে সূর্য-দেবতা খেয়ে ফেলেছে। একদিন তোমার বাবা গয়াল শিকার করতে গিয়েছিলো। ঐদিন প্রচণ্ড তাপ। ফলে তোমার বাবার মৃত্যু ঘটে। আর তোমার মা গ্রীষ্মকালে কাঠ ফাটা দুপুরে তোমরা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই মারা যায়।
দাদীর কথা শুনে কিশোর যমজ ভাতৃদ্বয় ক্রোধে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো। দুজনেই প্রতিজ্ঞা করে, সূর্য দেবতাকে হত্যা না করা পর্যন্ত আমরা এ গ্রামে ফিরবো না।
দাদী, আমরা কিভাবে সূর্য দেবতাকে হত্যা করবো? সূর্য যে পথ দিয়ে আসে ঠিক সেই পথে আমরা লোহার খাঁচা বসিয়ে দেবো। যখন সূর্য আসবে তখন আমরা জোর করে খাঁচা বন্দী করে ফেলবো। হ্যাঁ দাদা, তারপর আমরা ইচ্ছে মতো সূর্যকে শাস্তি দেবো। আমরা তাকে তিলে তিলে মরতে দেবো।
পরদিন সকালে মুম-মীয়া লোহার খাঁচা তৈরিতে মগ্ন। খাঁচা, তীর-ধনুক আর তলোয়ার নিয়ে পূর্বদিকে অগ্রসর হলো। যেতে যেতে গভীর বন পাড়ি দিয়ে অবশেষে সূর্য উদয়ের পথে পোছালো।
সূর্যের পথ ছিলো দুই পাহাড়ের মাঝখানে একটা বিরাট গিরির সুরঙ্গ পথ। পথের দু ধারে মস্ত বড় বড় বট ও অশ্বথ গাছ। যমজ ভাতৃদ্বয় ক্লান্তিতে গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়লো। যখন তাদের ঘুম ভাঙলো তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। সূর্য উদয়ের পথে তারা লোহার খাচা শক্ত করে বসিয়ে দিলো।
মুমঃ মীয়া, তুমি সাবধানে থেকো। কিছুক্ষণ পরে রাত নামবে। আর রাত শেষ হলে রাক্ষসরূপী মানুষখেকো সূর্য উদিত হবে। সে যখন খাঁচায় ঢুকবে সঙ্গে সঙ্গে তখন আমি লোহার দরজা বন্ধ করবো। তখন তুমি তোমার অশ্বথ গাছ থেকে তীর-ধনুক দিয়ে কষ বের করবে এবং সূর্যের উপর নিক্ষেপ করবে।
আমিও বট গাছ থেকে কষ বের করে নিক্ষেপ করবো। বট আর অশ্বথ গাছের আঠালো কষ সূর্যের গায়ে লেগে গেলে ছুটফট করতে করতে সে যখন দুর্বল হয়ে পড়বে তখন আমরা হচ্ছে মতো আক্রমণ করতে পারবো।
হা দাদা, আজ এ গাছের তলেই আমরা রাক্ষসকে শাস্তি দেবো। এমন শান্তি দেবোসে যেন যন্ত্রণায় কষ্টে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যায়। প্রতিজ্ঞার স্বরে বললো মীয়া।
মুম ও আমার পিতামহ। এ অগ্নি ঝলসানো তলোয়ার দিয়ে আজ সাত-সকালে আমি সূর্য দেবতার শিরশ্চেদ করবো। তা না হলে আমি শান্তি পাবো না।
মীয়াও শপথ করে বললো আমার ঝানুশিকারী বাবার তীর-ধনুক দিয়ে আমি আমার পিতামাতা হত্যাকারীর চোখ তুলে দেবো। তারপর মুম তলোয়ার নিয়ে বট গাছে উঠলো। আর মীয়া তীর-ধনুক নিয়ে অশ্বথ গাছের ডালে বসলো।
কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যাতারা উদিত হলো। সমস্ত পাহাড় আলোকিত হলো। কিছু দূরে একটা আলোক পিন্ড দেখা দিলো। মুম উঁকি দিয়ে প্রশ্ন করেঃ কে তুমি? সূর্য নাকি অন্য কিছু? সন্ধ্যাতারা জবাব দেয় আমি সন্ধ্যাতারা। সূর্যের নিরাপত্তা প্রহরী।
তাহলে তুমি সত্যি সন্ধ্যাতারা। তুমি সত্যি সূর্যের নৈশ প্রহরী। সত্য কথা যদি না বলল, তাহলে পরিণাম ভালো হবে না কিন্তু। হুমকি দেয় মীয়া। সন্ধ্যাতারা কম্পিত সুরে বললো ঃহ্যা হ্যা, আমি সত্যি সন্ধ্যাতারা। সূর্যের নৈশপ্রহরী। পরে যদি আমার কথামিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে তোমাদের ইচ্ছে মতো শাস্তি দিও।
তাতে আমিও কোন দ্বিধা করবো না। সন্ধ্যাতারাকে ছেড়ে দেয়া হলো। প্রথম প্রহর শেষ হয়ে দ্বিতীয় প্রহর শুরু হলো। আবার দেখা গেলো একটা আলোক পিন্ড।
এটি আগের চেয়েও বড়। আরও আলোকিত হলো পাহাড় আর বন-জঙ্গল। মুম উঁকি দিয়ে আবারও প্রশ্ন করে, কে তুমি? সূর্য দেবতা নাকি শশী কুমার।
আমি চাঁদ। সত্যি শশী কুমার। দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দেয় চাঁদ। তোমার কাজ কি? প্রশ্ন করে মীয়া। চাঁদ ও আমার কাজ হচ্ছে, সূর্য যখন পশ্চিম আকাশের দূরদিগন্তে অস্তমিত হয়, যখন পৃথিবীকে কালোরাত্রি গ্রাস করে ফেলে তখন আমি কালোরাত্রিকে মুছে ফেলি এবং আমার জ্যোছনা দিয়ে তোমাদের পৃথিবীকে আলোকিত করি।
আমার রূপালী জ্যোছনাতে তখন তোমাদের পৃথিবীর সমস্ত জীব আনন্দে মগ্ন থাকে।
মীয়াঃ তাহলে শীঘ্রই চলে যাও। তোমার জন্য পৃথিবীর সমস্ত জীব অপেক্ষা করছে। চাঁদ যমজ ভাতৃদ্বয়ের নিকট হতে বিদায় নিয়ে উদিত হলো।
দিবাভাগে কর্মরত সমস্ত জীব শান্ত রাত্রির স্নিগ্ধ পরিবেশে বিশ্রাম নিলো। চাঁদ যেন পৃথিবীতে বিশ্রামরত সমস্ত জীবকে রূপালী জ্যোছনা দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।
ঘুমন্ত ক্লান্ত পৃথিবীটাকে চাঁদ যেন একাই অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় পাহারা দিচ্ছে। শুধু জেগে আছে দু’টো জ —- মুম আর মীয়া। প্রতিশোধের জন্য অগ্নিশর্মা হয়ে জেগে তাকে সারাটা রাত। যেমন চোখ-মুখগুলো অগ্নিগিরির জ্বলন্ত লাভা। সূর্যের অপেক্ষায় তারা প্রহর গনে।।
এমন সময় আবারও একটাআলোক পিষ্ট দেখা দিলো পূর্ব আকাশে। আলোক পিলম আসতে মীয়া প্রশ্ন করলোঃ তুমি কে ভাই? জবাব দাও?
আমি শুকতারা। সূর্যের দেহরক্ষী। তাহলে সূর্য কখন উদিত হবে ? প্রশ্ন করে মুম। শুকতারা কিছুক্ষণ পরেই সূর্য উদিত হবে। তাইতো আমি আগে আগে এসেছি। রাস্তা-ঘাট ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য।
শুকতারা চলে গেলো। রাত প্রায় শেষ হয়ে গেলো। ভোরের আলোয় প্রায় ঝাপসা ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। ঘুমন্ত পুথিবীটা সমস্ত রাত বিশ্রাম করে যেন আস্তে আস্তে ঘুম থেকে জেগে উঠছে। ঘুম ঘুম চোখে মুম। বললোঃ মীয়া, সাবধান হও। এখন সূর্য উঠবার সময় এসেছে।
আমি প্রস্তুত দাদা, দেখ না আমার তীর-ধনুক। কিভাবে সাজিয়েছি আমি। উত্তরে মীয়া জবাব দেয়। ঊষার আলো ঘুমন্ত পৃথিবীটাকে আস্তে আস্তে রাঙ্গিয়ে দিলো।
আজ সূর্য জানে না সামনে এক মহাপ্রলয় তার জন্য অপেক্ষা করছে। তাই প্রতিদিনের ন্যায় আজও সূর্য দেবতা তার লাল পঙ্খিরাজ ঘোড়ার রথে চড়ে এগুতে লাগলো। মনে হয়, যেন পৃথিবীটা পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।
মুম আর মীয়া দাঁতে দাঁত চেপে তাকিয়ে থাকে রাক্ষসরূপী সূর্যের দিকে। কাছে আসতে না আসতে গরমে তাদের শরীরের মাংসটুকু প্রায় খসে গেলো। তবুও তারা ছাড়বে না তাদের পিতামাতার হত্যাকারীকে।
মুম চিৎকার করে প্রশ্ন করলো? কে তুমি? সূর্য দেবতা? নাকি অন্য কোন অসুর ? সূর্য জবাব দেয়ঃ আমি সূর্য দেবতা। এ সৌরমন্ডলের রাজা।
তাহলে এ লোহার খাঁচায় ঢুকো। যদি না ঢুকো তাহলে তোমার পরিণাম খারাপ হবে। চিৎকার করে মীয়া।
সূর্যঃ আমি কেন এ খাঁচায় ঢুকবো। আমি তোমাদের কি করেছি? যদি আরও কথা বলে, তাহলে তোমার জিহ্বা কেটে ফেলবো। তলোয়ার ঝনঝনিয়ে সুশ জবাব দেয়।
মীয়াঃ আগে খাঁচায় ঢুকো, তারপর কথা হবে। স্তম্ভিত হয়ে সূর্য খাঁচায় ঢুকে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে মুম লোহার দরজা বন্ধ করলো। যেমন কথা তেমন কাজ। মীয়া তার অশ্বথ গাছ থেকে তীর-ধনুক দিয়ে কষ বের করে খাঁচায় নিক্ষেপ করলো।
আর মুমও বট গাছ থেকে কষ বের করে খাঁচায় নিক্ষেপ করলো। বট আর অশ্বথ গাছের আঁঠালো কষ সূর্যের গায়ে লেগে গেলো। তখন মীয়া সূর্যের বুকে তীর নিক্ষেপ করতে লাগলো।
মুম তার তলোয়ার দিয়ে সূর্যের গায়ে খোঁচা দিলো। যন্ত্রণায় সূর্য ছটফট করতে লাগলো। কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে সূর্য প্রাণ ভিক্ষা করে। ওরে যমজ ভাতৃদ্বয়, আমাকে ছেড়ে দাও।
আমি আর সূর্য হবে না। এখন থেকে আমি চাঁদ হবো। তোমাদের পৃথিবীতে আর উত্তাপ দিবো। তোমাদের পৃথিবীর মানুষ যখন আমোদ প্রমোদে মেতে উঠবে তখন আমি জ্যোছনাতে আলোকিত করবো তোমাদের পৃথিবীকে। আর চাঁদ হবে আমার পরিবর্তে সূর্য।
মুমঃ তাহলে সৌরমন্ডলের সমস্ত চাঁদ, তারা, গ্রহ, নক্ষত্রদের ডাকা হোক। আমরা বিচার চাই। তারপরে যা হবার তাই হবে। শুকতারা সৗরমন্ডলের সমস্ত চাঁদ, তারা, এহ, নক্ষত্রদের ডেকে আনলো। বিচারের পর সূর্য চাঁদ হয়ে গেলো। আর চাঁদ সূর্য হয়ে গেলো।
মুমঃ কিন্তু, একটা শর্ত আছে। কি? ভয়ে সূর্য প্রশ্ন করে।
মুমঃ শর্ত হচ্ছে, প্রতিদিন তোমরা যখন উদিত হবে, তখন আমাকে এক ঝুড়ি লাল রঙের ডিম আর মীয়ার জন্যে এক ঝুড়ি সাদা রঙের ডিম জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। চাঁদ-সূর্য তা মেনে নিলো। তখন থেকে সূর্য চাঁদ হয়ে গেলো। আর চাঁদ সূর্য হয়ে গেলো।
ম্রো উপজাতীয়রা মনে করে যে, বর্তমান চাঁদ আদিকালে সূর্য ছিলো। আর বর্তমান সূর্য ছিলো তখনকার চাঁদ। চাঁদে যে কালো দাগ দেখা যায়, সে দাগগুলো বট আর অশ্বথ গাছের কষ। মুম আর মীয়াদের শাস্তির চিহ্ন।
বর্তমানের চাঁদ যখন সূর্য ছিলো তখন খুবই গরম ছিলো এ পৃথিবী। মুম আর মীয়া এ যমজ ভাইয়ের নিকট হইতে যখন শাস্তি ভোগ করলো তখন থেকে চাঁদ-সূর্য বদল হয়ে গেলো। আর যখন যমজ ভাতৃদ্বয়কে ডিম দিতে পারেনা তখন সূর্য গ্রহণ হয়। চন্দ্রগ্রহণের বেলায়ও দ্রুপ হয় বলে ম্রোরা মনে করে।
লেখকঃ সিংইয়ং মুরুং
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।