রাখাইন রূপকথা: মিয়াঙ ক্যাগ্রি
841
অনেক দিন আগের কথা। তখন নির্জন অরণ্যের পাশে প্রবাহমান একটি ঝিরি। ঝিরির। জলস্রোত কাক চক্ষুর মত তলমল করে বয়ে যাচ্ছে নদীর অভিমুখে।
পাহাড়ের ধারে একটি মাচান ঘর। সে ঘরে বসবাস করত এক বুড়ী ও বুড়া। বুড়া হল গৃহের কর্তা। বুড়ী ও বুড়া খুব ভোরে পাশের আর একটি পাহাড়ে জুম চাষ করতে যাচ্ছিল।
বুড়া ও বুড়ী জুম চাষ করে প্রকৃতির নিয়মে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করল। বুড়া ও বুড়ীর বাড়িতে এক শিশু জন্ম নিল। বুড়া ও বুড়ীর আনন্দের সীমা বেড়ে গেল। বুড়ী শিশুটিকে শ্লোক গেয়ে ঘুম পাড়াত।
রাখাইন ভাষায় :
ক্রো লেঃ বাঙ, ক্রো লেঃবাঙ
ইনখাঙমাছৈ, পাখ-ছৈ।
সালে টা গ্রো-গ্রো ভঙালেতে
কাজে লাঙসা ছেলেতে।
অনুবাদ :
চারটি দড়ি দোলে
চালে দোলনা ঝুলে।
শিশুটির ক্রন্দন যাবে
ক্রাজেনের বিয়ে হবে।
শিশুটি চোখ বুজে ঘুমিয়ে পড়ল। বুড়া ও বুড়ী আবার ভোরে জুম চাষ করতে পাহাড়ে গেল। বুড়ীও বুড়া সেদিন আলু ও কচুর বীজ বুনতে লাগল। বীজ বুনন দেখে গাছের ডাল থেকে একটি বানর বলতে লাগল, “দাদা-দাদী আপনারা মনে হয় আলু বীজ বুনছেন?”
দাদাঃ “মিয়াঙ ক্যাগ্রি হ্যাঁ, আমরা আলু ও কচু বুনছি।”
বানরঃ “এভাবে আলু-কচু বুনন বা চাষতো করে না, দাদা।”
দাদাঃ “কিভাবে করতে হয় মিয়াঙ ক্যাগ্রি? ‘বানর বললঃ “আমার কথা মত কাজ কর। আলু-কচুগুলােকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে একটি পাত্রে জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করবে। সিদ্ধ আলু-কচু মাটিতে পুঁতে রাখবে। কয়েকদিন পর অনেক আলু-কচু বৃদ্ধি পাবে এবং সহজভাবে অর্থশালী হয়ে উঠবে।”
বানরের কথা শুনে বুড়া বুড়ীকে বলল, “গৃহিণী, বানরের কথা মনে হয় সত্যি আমাদের উপকারে আসবে। আসলে এভাবে চাষ করলে আমাদের অনেক লাভ হবে।” বুড়ীও সম্মত হল বানরের কথা মত আলু-কচুকে সিদ্ধ করে জুমে চাষ করতে।
বুড়া-বুড়ী বানরের কথা মত উৎফুল্ল চিত্তে সিদ্ধ করে আলু-কচু চাষ করতে লাগল। চাষ করতে করতে দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল। বুড়ী ও বুড়া বাড়িতে ফিরল। বুড়ী ও বুড়া বাড়িতে ফেরার সুযোগে বানর বাহাদুর তার সাথীদেরকে নিয়ে উপ্ত সিদ্ধ আলু-কছু মজা করে খেয়ে ফেলল।
পূর্ব দিকে সূর্য উদিত হল। সূর্য রশ্মি বাড়িতে এসে পড়ল। বুড়া ও বুড়ী জুমে গেল জুম চাষ দেখা শুনা করতে। জুমে দেখতে পেল আলু ও কচুর খোসাগুলো এলোপাতাড়িভাবে পড়ে আছে।
বুড়া ও বুড়ী কপালে হাত দিয়ে বেউ বেউ করে কাঁদতে লাগল, “আমার সমস্ত আলু ও কচুর বীজগুলি বানর বাহাদুর খেয়ে ফেলেছে। আমি আর কোথা থেকে পাবো সে সব বীজ?” এর সাথে আরও বলল বুড়ী, “বুড়া, বানরের কথা মত চাষ করতে গিয়ে কি মুশকিলে পড়লাম।” রাখাইন প্রবাদ প্রবচনে বলল, “ক্ষুলুং মাক্ষেকে আবা মা-খ।” অর্থাৎ আছাড় না খেলে বাপের নাম নেয় না।
বুড়ী ও বুড়া অনুমান করতে পেরে একটি বুদ্ধি এঁটে নিল। বুড়ী বুড়াকে উদ্দেশ করে বলল, “বুড়া, একটি ধারাল তলোয়ার নিয়ে বাড়ির ভিতর কক্ষে মরা মানুষের মত শুয়ে থাক।”
এতে বুড়া সম্মতি দিল এবং বুড়ী বলল, “আমি বানরগুলোকে করুণ সুরে ডাকবো। যখন বানর দল আসবে। আমি বানরগুলিকে তোমার নিকট নিয়ে আসব। তখন দরজাটা আমি বন্ধ করে রাখবো।
সে সময় তুমি শয়ন থেকে উঠে বানরগুলোকে একে একে কুঁপিয়ে কুঁপিয়ে বধ করবে।” এ বলার পর বুড়ী বাড়ির উঠানে গেল এবং বুড়া শুয়ে পড়ল মরা মানুষের মত। বুড়ি বানরকে করুণ সুরে বললঃ
বানর বাহাদুর, ভেঙ্গে গেছে আমার।
সাজানো ঘর সংসার।
আমার বুড়াও গেছে মরে।
আমার আপন-স্বজন আর নাইরে।
তোমরা ব্যতীত কে-বা আছে ।
আমাকে দেখবে এসে।
তোমাদের দাদার মৃত লাশকে।
দেখার ইচ্ছা নাইবা থাকে।
একা একা-নয় সবাই দেখে যাও
লাশকে কবরে হলেও পৌছিয়ে দাও।
বানরগুলি বুড়ীর করুণ সুর শুনে আসতে লাগল। বানর দল খুশি হল। বুড়ী আপ্যায়ন। করল বাহির কক্ষে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বুড়ী বানরগুলিকে মৃত লাশ দেখানোর জন্য ভিতর কক্ষে পাঠাল এবং প্রধান দরজায় হুক লাগিয়ে বন্ধ করে রাখল।
চারদিকে বানরগুলি যখন বুড়ীর আহ্বানে বুড়ার পাশে বসতে লাগল। তখন বুড়া শয়ন থেকে উঠে তলোয়ার দিয়ে বানরগুলোকে কোপাতে চেষ্টা করলে বানরগুলি প্রাণ বাঁচানোর জন্য যে যেখানে পারে সেখানে পালিয়ে গেল।
বুড়ী ও বুড়া তন্ন তন্ন করে বাড়িতে বানরদের খুঁজতে লাগল। কোন বানর পেল না। সবশেষে চুলার পাশে রাখা লাউয়ের খোলের ভিতর লুকিয়ে থাকা বানর বাহাদুর ধরা পড়ল । লবণ রাখার লাউয়ের খোলকে রাখাইন ভাষায় “ছা-পা-দাঙ” বলা হয়।
রাখাইন প্রবচনে বলা হয়, রেংসুগো রেংআনুঙ মানুঙ-রাহ্। অর্থাৎ শত্রুকে শক্র ভাবাপন্ন করতে নেই।
বানর বাহাদুর বুড়া বুড়ীর হাতে ধরা পড়লে মায়াময় সুরে বলল, “দাদা-দাদী আমাকে কি অপরাধে ধরলেন?” বুড়া বলল, “তোমাকে ধরব না, কুপিয়ে হত্যা করব। অপরাধের কথা পড়ে বলব।”
বানর বলল, “আমাকে, আপনাদের কুপিয়ে হত্যা করার ইচ্ছা থাকলেও আমার একটি কথা আপনারা শুনুন। আমাকে একটি কথা বলার সুযোগ দিন।”
বানরকে কথা বলার সুযোগ দিয়ে বুড়া বলল, “যা বলার আছে তাড়াতাড়ি বলে দাও।” বানর বলল, “আমাকে। কুপিয়ে হত্যা না করে আপনার শিশুটিকে সেবা-যত্ন করার জন্য রাখলে ভাল হবে না বুঝি?
একদিকে আপনার সন্তানকে দেখাশুনা ও অপর দিকে রান্না-বান্না করে আপনাদেরকে সেবা-যত্ন করতে পারবো। আমার প্রাণও রক্ষা পাবে।” বুড়া-বুড়ী বানরের কথায়।
মনোনিবেশ হয়ে বানরকে হত্যার কবল থেকে রক্ষা করল এবং বাড়িতে দেখাশুনার জন্য বানরকে রাখা হল। সেদিন থেকে বানর বুড়া-বুড়ীর একমাত্র সন্তানটিকে সেবা-যত্ন করতে লাগল।
পরদিন পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী বুড়া-বুড়ী জুমে চাষ করতে গেল। বানর বাড়িতে বুড়ীর সন্তানকে নিয়ে রয়ে গেল। বানর পেটের ক্ষুধায় ছটফট করতে লাগল। বানর বাহাদুর ঐ মানব সন্তানটিকে তার নখ দিয়ে আঁচড় দিল।
নখের আঁচড়ে মানব শিশুটি ক্রন্দন করতে লাগল। ক্রন্দনের শব্দ আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হল। ক্রন্দনের শব্দ জুম থেকে বুড়া-বুড়ী শুনে বানরকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, “এত কাঁদছে কেন? কি হয়েছে আমার ছোট মনির? সে কি চায়?”
বানর উত্তরে বলল, দাদা-দাদী, আপনাদের পরমধন আপনাদের সবচেয়ে বড় মোরগটি খেতে চায়। তাই খেতে না পেয়ে সন্তানটি কাঁদছে।”
বুড়ী উত্তরে বলল, “ওকে মোরগটি খেতে দাও, বানর বাহাদুর”। বানর মোরগটিকে সুন্দরভাবে কেটে রান্না করতে লাগল। রান্না-বান্না করার পর বানর মানব সন্তানকে
মোরগের মাংস খেতে না দিয়ে তার বন্ধুদেরকে ডাকল। বানর তার সঙ্গীদের নিয়ে আরাম করে মোরগের মাংস খেতে লাগল। খাওয়া শেষে হাড়গুলিকে চুষে খাওয়ার জন্য মানব। শিশুকে দিল। মানব শিশুও হাড় চুষে খেতে লাগল।
দিন পেরিয়ে রাত হল। বুড়া-বুড়ী মোরগের মাংস নিয়ে মজা করে ভাত খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়ল। কাক ডাকা ভোরে পূর্ব আকাশ থেকে উঁকি দিয়ে সূর্য হাসল।
বুড়া-বুড়ী পূর্বের ন্যায় আবারও জুম দেখা-শুনার জন্য পাহাড়ে খামার বাড়িতে গেল। খামার বাড়ি থেকে ফিরল জুম চাষ করে। বানর বাহাদুর, মানব শিশু ও বুড়া-বুড়ী গল্প বলার মাধ্যমে ঘুমিয়ে পড়ল।
পরদিন বুড়া-বুড়ী আবার জুমে গেলে বানর মানব শিশুটিকে আঁচড় দিলে শিশুটি কাঁদতে লাগল। ক্রন্দন ধ্বনি শুনতে পেয়ে বুড়া-বুড়ী আবারও বানরকে জিজ্ঞাসা করল, “কি হয়েছে বানর বাহাদুর?” উত্তরে বলল, তোমাদের একমাত্র ধন বাড়িতে সবচেয়ে বড় শূকরটি খেতে চায়, তাই কাঁদছে।”
বানর জানতো যে, বুড়া-বুড়ীর খুব আদরের এ শিশুটি। সে যা চায় বুড়া-বুড়ী তা’অবশ্যই দেবে। বুড়ী বলল, “তাকে শূকর মাংস খেতে দাও। বানর খুশি হয়ে গেল। যেহেতু শূকর মাংস সে মজা করে খেতে পারবে।
মানব সন্তানটি খেতে জানে না। পূর্বের ন্যায় শূকর রান্না করা হল এবং বানর সঙ্গীদেরকে ডেকে আরাম করে শূকর মাংস খেতে লাগল। খাওয়ার পর হাড়গুলি মানব শিশুকে চুষে খাওয়ার জন্য দিল।
বুড়া-বুড়ীর জন্য কিছু মাংস রাখা হল। বুড়া-বুড়ী বাড়িতে এসে শূকর মাংস খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
পরদিন ভোর হল। বুড়া-বুড়ী জুম চাষ দেখাশুনা করার জন্য জুমে গেল। বানর বাহাদুর নখের আঁচড় দিলে মানব সন্তানটি কাঁদতে লাগল। ক্রন্দন ধ্বনি শুনতে পেয়ে বুড়ী বলল, “কি হয়েছে বানর বাহাদুর?”
বানর বলল উত্তরে, “সে আঁখের ক্ষেতে সবচেয়ে বড় আঁখটি খেতে চায়। তাই কাঁদতে শুরু করেছে। বুড়ী বলল, তাকে আঁখের ক্ষেত থেকে বড় আঁখ কেটে খাইয়ে দাও বানর বাহাদুর।”
পূর্বের ন্যায় বানর বাহাদুর তার সঙ্গীদের নিয়ে খেয়ে ফেলল। আঁখের ছোবড়া মানব শিশুটির মুখে জোর করে ঢুকিয়ে দিল। শিশুটির গলায় আঁখের ছোবড়া আঁটকে গেল এবং সে মরে গেল।
বানর নিরুপায় হয়ে ঝিরি থেকে শিশুটির সমপরিমাণ একটি পাথর জোগাড় করল এবং পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলল। পাথরটিকে কাপড় ঢেকে রাখল, যাতে সহজে দেখা না যায়। বানর বাহাদুর মৃত মানব শিশুটিকে সুন্দরভাবে রান্না করল।
বুড়া ও বুড়ী জুম থেকে কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরল। তখন বানর শিশু রূপি পাথরটিকে ঢোলনায় দিয়ে শ্লোক গেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিল।
রাখাইন ভাষায়ঃ
ইয়াংয়াং ইয়াং-য়াং ম্রা ইয়াংয়াং
ক্রাউফাগ্রী তোয়েংরে ইনজোয়েং গা,
ক্রঙশে মেরে ঠো ঠাঙ গা,
খেওয়াশে মেরে প্রিং-ড-গা,
আবুশে ঙোরে পা-খ-গা।
ব্যাঙ ব্যাঙ এইসাং স্লা ইয়াং য়াং।
অনুবাদ :
দোল দোল দোলনে
মোরগ ডাকে ঘরের কোণে,
বিড়াল ডাকে ছাদের কোণে,
শেয়াল ডাকে কচু ঝাড় কোণে,
শিশুটি কাঁদে দোলনে,
শিশুটি ঘুমায় স্বর্ণ দোলনে।
শ্লোক গাওয়া শুনে বুড়ী আনন্দিত হয়ে বলল, “কি হয়েছে বানর বাহাদুর।” বানর ও শিশুটিকে ঘুম পাড়িয়েছি। সে ঘুমিয়েছে। এই বলে বানর পাকশালার দিকে চলে গেল।
পাকশালা থেকে বানর বুদ্ধি এঁটে একটি ইয়াঙমা (ভাত নাড়ানোর ছড়ি) ঘরের নিচে ফেলে দিল। বুড়ীকে ইয়াঙমাটি তুলে আনবে বলে বানর বাহাদুর মাচান বাড়ি থেকে নিচে নেমে গেল।
বানর ইয়াঙমা না তুলে বাড়ির পাশের একটি আম গাছে উঠল। আম গাছ থেকে জাম গাছ, এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে চড়তে লাগল। বুড়া-বুড়ী মাংস রান্না দেখে খুবই খুশি হল। বানর গাছে চড়ে বুড়া-বুড়ীর ভাত খাওয়া দেখে বললঃ
রাখাইন ভাষায়ঃ
মাঙ আশে আছা কাঙয়াঙলা ?
প্য-প্য রি-রি মাঙোবেনা- চা,
মসালা, ছেঙন্নাই খেলো
খেয়াঙ থারে মাঙশে আছা।
মিংবাঙ খেয়াঙ-চ লাঙরে
খেয়াঙরে শোয়াঙ লা?
অনুবাদঃ
তোমাদের পুত্রের মাংস,
কেমন হয়েছে রান্না ?
মজা করে খাও, করিওনা কান্না।
মসলা ও চালের গুড়া দিয়ে
রান্না হয়েছে তোমাদের শিশুর মাংস।
নাতির হাতের রান্না
মজা হয়েছে তো?
বুড়া-বুড়ী বাড়ি থেকে নেমে বানর বাহাদুরকে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা করল। কিন্তু ব্যর্থ হল। বুড়া-বুড়ী ব্যর্থ হওয়ায় বানর গাছ থেকে বলল, “দাদী, হাতের কুড়ালখানা আমাকে। দাও, কাঠের ডান্ডাটি তোমরা নিয়ে রেখ।”
বুড়া বানরের কথা মত কুড়াল খুলে ডান্ডাটি রেখে বানরকে দিল। বানর বুড়ার দেওয়া কুড়ালটিকে বুড়ার মাথায় ছুড়ে মারল। বুড়া ছটফট করে মরে গেল। রাখাইন প্রবাদে উল্লেখ করা হয়েছে,
যা-লাঙবোয়েঙ- ন্না থামাঙ চালে,
ইয়াং লাঙবোয়েঙ-মা খি চাইতে।
অর্থাৎ
যে বাসন দিয়ে ভাত খায়
সে বাসনে মলত্যাগ করে।
অবস্থা মরণাপন্ন হওয়ায় বুড়ী বেদনায় ছটফট করে মুখ খুলে বলল,
লুগো মাক্কা মাক্রেংগাঙ,
মিয়াঙক্যা মাছি ওয়াগ্যিছি।
অর্থাৎ
অপরের কুলুদ্ধি নিতে নেই,
বানর না মরে বুড়া মরল।
বুড়ী লাফাতে লাফাতে মাচান ঘরের পাকশালা ধ্বসে পড়ে গেল। বুড়ীও মরে গেল। বানর প্রাণে রক্ষা পেয়ে অরণ্যে তার সঙ্গীদের সাথে মিলেমিশে জীবন অতিবাহিত করতে লাগল।
লেখকঃ উ খ্যাই রাখাইন
জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।